![]() |
চিত্র: তৃতীয় পক্ষের রেফারেন্স |
গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাতটার সময় দিল্লির জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি তে ফ্যাসিবাদী এবিভিপি গুন্ডারা হামলা চালায় । ফ্যাসিবাদী এই গুন্ডারা তাদের মুখ ঢেকে রেখেছিল এবং তাদের হাতে ছিল অস্ত্র শস্ত্র যেমন ধরুন লোহার রড ও লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র। তারা জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির মধ্যে ঢুকে ওসব ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সেখানকার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর হামলা চালায়। এর ফলে জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ গুরুতর ভাবে আহত হয় এবং তাঁর মাথায় গভীর চোট লাগে।
জহরলাল নেহেরুর ইউনিভার্সিটি তে হামলা নিয়ে পুলিশের তৎপরতার উপর প্রশ্ন উঠেছে অনেকেরই।তাদের অভিযোগ পুলিশের সামনে মারধর করা সত্ত্বেও তারা ছিল নির্বাক দর্শক তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এ হামলার বিরুদ্ধে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটির হামলার জন্য দিল্লি পুলিশের উপর অনেকের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে আবার দিল্লি পুলিশ সেই একই কাজ করলো। এ বিষয়ের জন্য সকলের মনে একটি প্রশ্ন দিল্লি পুলিশ কার জন্য কাজ করছে। আর এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। কারণ আমি ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে মাত্র এই 7 মাসে ভারতের আইন শৃঙ্খলা যেভাবে ভেঙে পড়েছে এর আগে কখনোই হয়নি।
পুলিশদের উপর প্রশ্ন উঠে এসেছে
1.কেন সন্ধ্যা সাতটার সময় জহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির সামনে প্রায় 1.7 কিমি এলাকাজুড়ে রাস্তার লাইট গুলোর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
2. পুলিশ কেন শুধু কিছু লোককে ইউনিভার্সিটির দিয়েছিল কেন বাকি গুলোদের নয়?
কেন কোনো ছাত্র শিক্ষক ও মিডিয়াকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।এমনকি পরিবারের কোনো সংশ্লিষ্টত সদস্যকেও নয়, যিনি তোর বোনের কাছ থেকে সবরমতী হস্টেলে সহায়তা পেয়েছিলেন।
3. পুলিশ কেন তাদের গ্রেপ্তার করেনি যখন তারা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইউনিভার্সিটির মধ্যে আক্রমণ করেছিল।
4.পুলিশ কেন এসব আক্রমনাত্মক ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেনি তারা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে বলছিল নকশালবাদীদের শিক্ষা দেওয়া হোক। তখন তারা হকিস্টিক লাঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল।
প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও যদি শিক্ষার্থী-শিক্ষক সাংবাদিকদের উপরে আক্রমণ চলে তাহলে তারা কিসের জন্য ?
আরো পড়ুন: