আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
নিচের প্রশ্নের উত্তর লেখো :
১. স্নায়ুকোষের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্ন লিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো।
(ক) ডেনড্রন (খ)সোয়ান কোষ (গ) প্রন্তবুরুষ (ঘ) অ্যাস্কালেমা
২.জীবনের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়সিসের ভূমিকা উল্লেখ করো।মাইটোসিস কোষ বিভাজনের অনাফেজ দশায় তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
জীবনের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়সিসের ভূমিকা:সমসংস্থ ক্রোমোজোমগুলির মধ্যে ক্রসিং অভার ও জিনের পুনঃ সংযুক্তির ফলে নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত অপত্য কোষের (জননকোষের) সৃষ্টি হয়।ওই প্রকার কোষের মিলনে জীবের সৃষ্টি হয়,তাদের মধ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের সংযোজন ঘটে, যা ভেদ বা প্রকরণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
মাইটোসিস কোষ বিভাজনের অনাফেজ দশায় তিনটি বৈশিষ্ট্য:
- (১)এই দশাটি ক্যারিও কাইনেসিসের তৃতীয় ও সর্বাপেক্ষা স্বল্পস্থায়ী দশা।
- (২)এই দশার শেষে সমসংখ্যক অপত্য ক্রোমোজোম বেসের বিপরীতে মেরুতে পৌঁছায়।
- (৩)আনাফেজ চলনের সময় ক্রোমোজোমগুলি বিভিন্ন ইংরেজি অক্ষেরের ন্যায় আকৃতি ধারণ করে,যেমন - মেটাসেনট্রিক ক্রোমোজোম V, সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম L,(প্রভৃতি) আকৃতির মত দেখায়।
৩. অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার তিনটি ভূমিকা লেখো।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনুসুলিন হরমোনের ভূমিকা লেখো।
অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার তিনটি ভূমিকা:
অগ্রস্থ প্রকটতা সৃষ্টি করে অক্সিন হরমোন ।
ভূমিকা:
- í) অক্সিন হরমোন কোষের আকার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- íí) ফটোট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ: কান্ড মুলের আলোকিত অংশের দিকে কম অক্সিন ও আলোর বিপরীত দিকে বেশি অক্সিন সঞ্চিত হয়। যেহেতু কান্ডের কোষ বেশি অক্সিন ঘনত্বের ও মূলের কোষ কম অক্সিন ঘনত্বে সক্রিয় হওয়াই কান্ডের অগ্রভাগ আলোর দিকে ও মূলের অগ্রভাগ আলোর বিপরীতে বেঁকে যায়।
- ííí) কোষের বিভাজন: উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঞ্চলের কোষগুলির বিভাজনে অক্সিন হরমোন সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনুসুলিন হরমোনের ভূমিকা: রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে ইনসুলিন ও গ্লুকাগন নামে দুটি হরমোনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে ইনসুলিন রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কে গ্লাইকোজেন এ পরিণত করে (গ্লাইকোজেনেসিস) যকৃতে সঞ্চয় করে। অপরপক্ষে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে গ্লুকাগন যকৃত সঞ্চিত গ্লাইকোজেন কে পুনরায় গ্লুকোজে বিশ্লিষ্ট করে, রক্তস্রোতে পাঠায়, ফলে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে।
৪.মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব নির্ধারণ করো।হাঁটু ও কাধেঁ কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায়।
মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব:
- í) পৃষ্ঠ পাখনা দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও জলের মধ্যে ঢেউ সৃষ্টি করে মাছের অগ্রগমনে সাহায্য করে।
- íí) এক জোড়া বক্ষ পাখনা মাছকে অগ্র-পশ্চাৎ গমনে জলের উপরে ও নিচে ওঠানামা করতে সাহায্য করে।
- ííí)একজোড়া শ্রোণী পাখনা জলের মধ্যে নির্দিষ্ট উচ্চতায় ভেসে থাকতে ও উপরে-নিচে ওঠানামা করতে সাহায্য করে।
- ív) পায়ু পাখনা জল কেটে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
- v) পুচ্ছ পাখনা জলের মধ্যে দিক পরিবর্তনের ও অগ্রগমনে সাহায্য করে।
হাঁটু ও কাধেঁ কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায়?
হাটুতে কব্জা সন্ধি বা হিঞ্জসন্ধি দেখা যায়।
কাঁধে বল ও সকেট অস্থিসন্ধি দেখা যায় ।