হাইড্রোপনিক পদ্ধতি কি ?কিভাবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ করা যাবে ?
![]() |
চিত্র : তৃতীয় পক্ষের রেফারেন্স |
হাইড্রোপনিক :
এটি একটি চাষ আবাদ পদ্ধতি এই পদ্ধতিতে চাষ আবাদ করলে বিশেষত মাটির প্রয়োজন পড়ে না এবং অল্প জায়গার মধ্যেই করা যায়।এই বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল।এই পদ্ধতিতে বিশেষ বাংলাদেশেই অবলম্বন করা হয় তাই বাংলাদেশের এক বিশেষ ব্যাক্তির অভিজ্ঞতা দিয়ে যে জ্ঞান অর্জন করেছেন তার মাধ্যমে এই বিষয়ে আপনাদের আলোকপাত করবো ।
হাইড্রোপনিক কি ও কেনো ব্যবহার করবেনঃ
বর্তমান সময় উপযোগী একটি বিজ্ঞানসম্মত ঘাস চাষ ব্যবস্থাপনা।সাধারণত আমরা ঘাস চাষ করতে হলে জমি ও মাটির চিন্তা করি কেমন জমিতে ঘাস চাষ করব।আমাদের দেশ হল নদীমাতৃক একটি দেশ।এই দেশের বিভিন্ন স্হান ৫/৬ মাস পানির নিচে থাকে তাছাড়া অনেকর ইচ্ছা আছে দুগ্ধজাত খামার করা কিন্তু উভয় সংকটের কারণে করতে পারে না।
হাইড্রোপনিক হল মাটি ছাড়া শুধু পানি ব্যবহার করে ঘাস চাষ করা হয় এই পদ্ধতিকে হাইড্রোফনিক ঘাস বলে।আমাদের দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে ও মেধাবী জাতি গঠনে প্রচুর পরিমাণে দুধ ও মাংসের প্রয়োজন।হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ঘাস চাষ করলে জমির প্রয়োজন হয় না।তাই ইচ্ছে করলে সব খামারিরা এই পদ্ধতিতে ঘাস চাষ করতে পারবে।
হাইড্রোপনিক ঘাস চাষ করতে কি উপকরণের প্রয়োজনঃ-
প্রথমে প্রয়োজন একটি ছায়াযুক্ত ঘর যেখানে সৃর্য আলো পড়বে না।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বীজ ও চাষ পদ্ধতিঃ
ভুট্রা,গম,ছোলা,সয়াবিন,মাসকলাই ইত্যাদি।হাইড্রোপনিক চাষ পদ্ধতিঃ
- বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে আমরা যেমন ধানের বীজ থেকে চারা তৈরী করার জন্য যে ভাবে ধান প্রথমে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখি।তারপর আবার পানি ঝরিয়ে বস্তা বন্ধি করে ২৪ ঘন্টা অন্ধকার স্হানে বায়ুরোধ করে রেখে দেয়।ঠিক একই প্রথম অবলম্বন করতে হবে।
- তারপর ছিদ্রযুক্ত কাঠ,টিন বা প্লাটিকের ট্রেতে ঐ বীজ গুলো বিচিয়ে সূতী কাপড় দিয়ে ২ দিন ঢেকে রাখতে হবে,যাতে বাহিরে আলো বাতাস না লাগে এবং কাপড় সারাক্ষন ভিজা রাখতে হবে।
- তৃতীয় দিন কাপড় গুলো সরিয়ে আধা ঘন্টা পর পর পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।একটি ঘরে বাশঁ বা কাঠের তাক বানিয়ে ট্রে গুলি সাজিয়ে দিতে হবে।এবং দিনের তাপমাত্রার উপর নির্ভর দিনে কয়েক বার পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। কোন অবস্থাতে যেন রস না কমে।
- ৮-১০ দিন পর প্রতি ট্রে থেকে ৮ /৯ কেজি ঘাস পাওয়া সম্ভব যদি ১০০%পিউর থাকে। ৫ বিঘা জমি থেকে উৎপাদন হয় তা মাত্র ৩০০ বর্গফুট টিন শেড ঘর থেকে সমপরিমাণ ঘাস উৎপাদন করা সম্ভব।
হাইড্রোপনিক ঘাসের উপকারিতাঃ-
- সবুজ ঘাস উৎপাদনে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
- অল্প জায়গাতে অধিক পরিমাণে ঘাস উৎপাদন করা যায়।
- আঁশ জাতীয় খাদ্যের ৪০-৫০ ভাগ হাইড্রোপনিক ঘাসে পাওয়া যায়।
- ১০-১৫ ভাগ দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
- এই ঘাস শতকরা ৯০ ভাগ হজমযোগ্য।
- রাসয়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার নাই।
- এই ঘাসে দানাদার খাবার থেকে ১০ থেকে ২০ গুন বেশি পরিমাণ ভিটামিন। এ,ভিটামিন বি,ভিটামিন সি বিদ্যমান।
- গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি পায়।
- এই ঘাসে আশঁ উদ্ভিদ আমিষ,নানা বিদ ভিটামিন ও খনিজের বিদ্যামান।
- এটি লাভজনক ও মানসম্পূর্ন ফসল।