কোষের গঠন ও কার্য অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন আলোচনা করা হয়েছে।
নিউক্লিয়প্লাজম বলে।
কোষের গঠন ও কার্য | মাইটোকনড্রিয়া | নিউক্লিয়াস |সাইটোপ্লাজম | নিউক্লিওপ্লাজম | জেনোফার | সেলকোট | মাইসেলি | প্লাজমোডেজমাটা | রাইবোজম | অটো ফ্যাগোসোম
১. প্রোক্যারিয়টস কাকে বলে ?
আদি নিউক্লিয়াস যুক্ত জীবকে প্রোক্যারিয়টস বলে।২. মেসোক্যারিয়াটস অর্থ কাকে বলে ?
মধ্য নিউক্লিয় কোষ যুক্ত জীবকে মেসোক্যারিয়াটস বলে।বিজ্ঞানী ডজ ১৯৬৬ সালে এই শব্দটি প্রথম ব্যাবহার করেন।৩. গলগি বডি কি ?
সজীব কোষের নিউক্লিয়াস এর কাছে সাইটোপ্লাজম এ এক বিশেষ ধরনের চ্যাপ্টা থলির মত অঙ্গানু সমান্তরালভাবে সাজানো থাকে,এদের গলগি বডি বলে।৪. রাইবোজম কি বা কাকে বলে ?
কোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্ত করে অথবা এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয়ার পর্দা রাইবোনিউক্লিও প্রোটিন দ্বারা গঠিত কণিকা বা দানা থাকে তাদের রাইবোজোম বলে।৫. প্রোটোপ্লাজম কি ?
কোষ মধ্যস্থ সজীব দানাদার কলডিয় বস্তুকে প্রোটোপ্লাজম বলে। এটি সাইটোপ্লাজম এবং নিউক্লিয়াস দিয়ে গঠিত অর্থাৎ সকল অংশকে একত্রে সাইটোপ্লাজম বলে।৬. প্রোটোপ্লাস্ট কি ?
কোষ মধ্যস্থ সজীব প্রোটোপ্লাজম ও নির্জীব বস্তু সমূহ কে একত্রে প্রোটোপ্লাস্ট বলে।৭. সাইটোপ্লাজম কি বা কাকে বলে ?
নিউক্লিয়াস ব্যতীত প্রোটোপ্লাজমের অর্ধ তরল জেলির মত অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে এটি হায়ালোপ্লাজম এবং কোষ আঙ্গানু নিয়ে গঠিত।৮. হায়ালোপ্লাজম কি ?
সাইটোপ্লাজমের জেলির ন্যায় স্বচ্ছ ও অর্ধতরল ধত্রে কোষ অঙ্গনুগুলি অবস্থান করে তাকে হায়ালোপ্লাজম বা সাইটোপ্লাজমীয় মাতৃকা বলে।৯.এন্ডোপ্লাজম কাকে বলে ?
কোষ এর ভেতরের দিকে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত ও দানাদার সাইটোপ্লাজমের স্তরকে এন্ডোপ্লাজম বলে।১০.নিউক্লিয়প্লাজম কি বা কাকে বলে ?
নিউক্লিয়াস মধ্যস্থ স্বচ্ছ অর্ধতরল ও দানাদার পদার্থকেনিউক্লিয়প্লাজম বলে।
১১. প্লাজমোডেসমাটা কি বা কাকে বলে ?
উদ্ভিদ কোষের কোষপ্রাচীর অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র বিশিষ্ট,যেগুলির দ্বারা পার্শ্ববর্তী কোষ গুচ্ছের মধ্যে সাইটোপ্লাজমীয় সংযোগ স্থাপিত হয় এই সাইটোপ্লাজমীয় সংযোগ গুলিকে প্লাজমোডেসমাটা বলে।১২.একক পর্দা কি ?
কোষের যে সকল পর্দা প্রোটিন লিপিড প্রোটিন (P-L-P) নামক তিনটি স্তর দিয়ে গঠিত তাদের একক পর্দা বলে।১৩. সেলকোট বা গ্লাইকোকালিক্স কাকে বলে ?
অনেক প্রাণী কোষের প্লাজমা পর্দার বাইরে মিউকো পলিস্যাকারাইড, গ্লাইকোপ্রোটিন, গ্লাইকোলিপিড ইত্যাদি দিয়ে গঠিত আবরণ থাকে একে সেল কোট বা গ্লাইকোকালিক্স বলে।১৪.নিউক্লিয়াস কি ?
ইউক্যারিওটিক কোষের প্রোটোপ্লাজমের সর্বাপেক্ষা ঘন প্রায় গোলাকার ও পর্দা বেষ্টিত যে অংশটি বংশগত অর্থাৎ DNA বহন করে এবং সাইটোপ্লাজম এর অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে নিউক্লিয়াস বলে।১৫. সিনোসাইট কি ?
প্রকৃতপক্ষে মিউকর রাইজোপাস ভাউকরিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের প্রাচীন বহুনিউক্লিয়াসযুক্ত সূত্র বা অনুসুত্রকে সিনোসাইট বলে।১৬. নিউক্লিওলাস কি বা কাকে বলে ?
নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত এক বা একাধিক ঘন গোলাকার উজ্জ্বল যে বস্তু আম্লীক রঞ্জকে রঞ্জিত হয় তাকে নিউক্লিওলাস বলে।১৭. পলিরাইবোজম বা পোলিজম কি ?
mRNA এর সঙ্গে বহু রাইবোজোম যুক্ত হয়ে যে রাইবোজোম শৃংখল তৈরি হয় তাকে পলি রাইবোজোম বা পলিজোম বলে অর্থাৎ mRNA এর ফিতেতে আবদ্ধ রাইবোজোম এর সমষ্টিকে বলে পলিরাইবোজম বা পলিজম বলে।২০.সেল থেওরি কি ?
"কোষ হল জীবদেহের গঠনমূলক ও জৈবনিক ক্রিয়ামূলক একক; প্রত্যেক জীব দেহ এক বা একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত; প্রত্যেক জীবের জীবন যাত্রা শুরু হয় একটি মাত্র কোষ থেকে; পূর্ব সৃষ্টি কোষ থেকেই অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়" এই তথ্য গুলিকে একত্রে সেল থিওরি বলে ।২১. ক্রোমাটোফর কি ?
সালোকসংশ্লেষ কারী ব্যাকটেরিয়া নীলাভ সবুজ শৈবাল ইত্যাদির আদিকষের রঞ্জক পদার্থ যুক্ত প্লাস্টিডকের নেয় এক প্রকারের বস্তুকে ক্রোমাটোফোর বলে।২২. মাইক্রোভিলাই কাকে বলে ?
কোষের কোষপর্দা যখন ভাজ হয়ে আঙ্গুলের আকার ধারণ করে তখন অংশগুলিকে মাইক্রোভিলাই বলে ক্ষুদ্রান্তের এপিথেলিয়াম মাইক্রোভিলাই দেখা যায়।২৩.পিনজম ও ফ্যাগজম বলতে কি বোঝ ?
পিনোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট তরল বস্তু সহ গহ্বরকে পিনোজম এবং ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট কঠিন বস্তুসহ ফ্যাগোজম বলে।২৪. 70S রাইবোজোম এর 'S' কথার অর্থ কি ?
'S' কথার অর্থ হল ভেদবর্গা একক ।২৫. মাইটোকনড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলে কেন ?
মাইট্রোকন্ডিয়ার মধ্যে কোচের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয় মাইটোকনড্রিয়া কে কোষের শক্তিঘর বলে।২৬. রাইবোজোম কে প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলে কেন ?
রাইবোজোম এর মধ্যে কোষের প্রোটিন সংশ্লেষণ হওয়ায় রাইবোজোমকে প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলে।২৭.লাইসোজোমকে সুইসাইডাল ব্যাগ বা আত্মঘাতী থলি বলে কেন ?
লাইসোজোম পর্দা কৃত উৎসেচক থলির মত অঙ্গনু।লইসোজম কর্তৃক নিঃসৃত উৎসেচকের দ্বারা কোষ উপাংশোগুলি পাচিত হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় লাইসোজোম কে আত্মঘাতী থলি বলে।২৮. ইলেক্ট্রোফরেসিস কাকে বলে ?
কলয়েড কণা তড়িৎ আহিত থাকে।তাই কোন কলয়েডকে তড়িৎ ক্ষেত্রে রাখলে কণাগুলো ক্যাথোড ও অ্যানোড এর দিকে এগিয়ে যায় তড়িৎ ক্ষেত্রে কলয়েড কণার এ জাতীয় চলনকে ইলেক্ট্রোফরেসিস বলে।২৯. কল্যাইমাডীয়া কি ?
কল্যাইমাডীয়া এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া সদৃশ পূর্ণজীবি এককোষী অণুজীব,যারা চোখের কনজাংটিভাইটিস এবং ' টিয়াপাখির জ্বর" রোগ সৃষ্টি করে।