আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
১. "চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ" -অষ্ট গজরাজ এর পরিচয় দাও।
উত্তর: অষ্ট গজরাজ শব্দের অর্থ হলো আটটি হাতি। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী এই অষ্ট গজরাজ আটটি হাতি হল আটটি দিকের রক্ষাকর্তা। এদের নাম হল- কুমুদ, ঐরাবত, পুণ্ডরীক, অঞ্জন, বামন, সুপ্রতীক ও সার্বভৌম।
২."ধীবর-বৃত্তান্ত" নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে?
উত্তর: "ধীবর-বৃত্তান্ত" নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে বাস্তব জীবনের বেশ কয়েকটি চিত্র ফুটে উঠেছে তা হল- জোর যার মুলুক তার অর্থাৎ চিরকাল, চিরদিন সাধারণ হতদরিদ্র ক্ষমতাহীন মানুষদের উপর ক্ষমতাবান মানুষরা হেয় প্রতিপন্ন ও শোষণ অত্যাচার করে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। একজন সৎ নিরীহ ধীবর কে বাটপার, গাঁটছড়া ইত্যাদি বলতে এরা দ্বিধা বোধ করেনি। এমনকি রক্ষীদের মুখে শোনা যায়- হয় তোকে শকুন দিয়ে খাওয়ানো হবে না হয় তোকে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে। এই মন্তব্য শুনে নিঃশব্দে আমরা বলতে পারি রক্ষীদের চরিত্রের মধ্য দিয়ে অমানবিক, অবিবেচকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
৩. "এটা খুবই জ্ঞানের কথা"- কার, কোন কথাকে জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: লিও তলস্তয় এর রচিত "ইলিয়াস" গল্পের ইলিয়াস এর কথা কে জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে।
ইলিয়াস বাস্তব জীবনের এক চরম সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছিল এবং সেটা তিনি সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন। আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন তার উপাসনা করার জন্য, তাই আমাদের উচিত পার্থিব লোভ-লালসা ত্যাগ করে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা। আলোচ্য অংশে এই কথা কেই জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে।
৪. "আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে"- বক্তা কে? তিনি কিভাবে অমরত্ব লাভ করেছেন?
উত্তর: আলোচ্য উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা "দাম" গল্পে গল্পের অঙ্কের মাস্টার মহাশয়।
সুকুমার এর অংকের মাস্টারমশাই ভাবতে পারতেন না যে, তার ছাত্র হয়ে কেউ অংক করতে পারবে না। মেরে, বোকে, শাসন করে হলেও তিনি অংক শেখাতেন। এর ফলে ছাত্রদের কাছে তিনি বিভীষিকাময় শিক্ষক ছিলেন। তার এক ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালে মাস্টারমশাইয়ের এই বিভীষিকার কথা একটি পত্রিকায় তুলে ধরেছিলেন। সেটি পড়ে অঙ্কের মাস্টার মশাই উপরোক্ত কথাটি বলেছেন।
৫. "নোঙ্গর" কবিতায় নোঙ্গর কিসের প্রতীক তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: নোঙ্গর হল নৌকা বা জলযন্ত্রকে একই স্থানে স্থির রাখার যন্ত্র। কিন্তু রোমান্টিক কবি এখানে এই অর্থে ব্যবহার করেননি। রোমান্টিক মন সংসার ছেড়ে অনেক দূর দূরান্তে চলে যেতে চায়। কিন্তু নোঙ্গর এর মত কবির সংসার জীবন স্নেহ, ভালোবাসা, মায়া মমতা প্রভৃতি কবির মনকে আটকে রাখে। তাই কবি সংসার জীবনে মায়া, মমতা, স্নেহ, ভালোবাসা ইত্যাদিকে নোঙরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৬. "কন্যা>কইন্যা>কনে" এর ক্ষেত্রে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন রীতি অনুসৃত হয়েছে?
উত্তর: এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের অভিশ্রুতি রীতি অনুসৃত হয়েছে।
অপিনিহিতির ফলে যখন পূর্বে আগত ই কার কিংবা উ কার সন্নিহিত স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে ধ্বনি পরিবর্তন সাধন করে, তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে।
এখানে কন্যা (মূল শব্দ) >কইন্যা (অপিনিহিতি) >কনে (অভিশ্রুতি)।
৭. কৃদন্ত ও তদ্ধিতান্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তর: ধাতুর সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে শব্দটি গঠিত হয় তাকে কৃদন্ত শব্দ বলে। যেমন- দা+তব্য, শ্রু+অনিয়।
মৌলের শব্দের সঙ্গে তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে শব্দ গঠিত হয় তাকে তদ্ধিতান্ত শব্দ বলে। যেমন-
৮. মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কয়টি?
উত্তর: মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা সাত টি।
যথা- অ, আ, ই, এ, ও, উ, অ্যা।