Class 10 History Model Activity Task Part 6 | September Activity Task | WBBSE | গোগণেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন | ভারতমাতা চিত্রটি কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :
১. ক স্তম্ভের সাথে খ স্তম্ভ মেলাও : ১×৪
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
---|---|
১.১. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা | খ) ১৮৬৩ খ্রি |
১.২. ভারত সভা | ঘ) ১৮৭৬ খ্রি |
১.৩. ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস | গ) ১৮৮৫ খ্রি |
১.৪. ইলবার্ট বিল | ক) ১৮৮৩ খ্রি |
২.সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো। ১×৪
২.১. ১৮৫৭ এর বিদ্রোহকে জাতীয়তাবাদীরা 'ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ' বলে ব্যাখ্যা করেন। সত্য
২.২. ওইপনিবেশিক ভারতের লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন। সত্য
২.৩. ' বর্তমান ভারত ' গ্রন্থে স্বামী বিবেকান্দ শুদ্র জাগরণের কথা বলেছেন। সত্য
২.৪. ' আনন্দমঠ ' উপন্যাসটি স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত। সত্য
৩. দুই বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও। ২×২৩.১. ' গোরা ' উপন্যাসের মধ্য দিয়ে কোন দ্বন্দ্বের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় ?
বাংলা উপন্যাসে ভারত চিন্তা ও জাতীয়তা বোধের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ' গোরা ' । এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের , সমাজের সঙ্গে ধর্মের, ধর্মের সঙ্গে মানবসত্যের বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্বের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।৩.২. গোগণেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন ?
ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী ও বঙ্গীয় ঘরানার একজন চিত্রকর হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় হয়ে আছেন । ' প্রবাসী ' ও ' মডার্ন রিভিউ ' তে তাঁর আকা কার্টুন গুলি ছাপা হত।তাঁর ' বিরূপ বজ্র ' গ্রন্থে ১৯০৬ থেকে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার যেমন বাঙালি সমাজের ইংরেজ প্রীতি, বাঙালি চরিত্রের নানা দিক এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের কার্টুন অংকিত হয়েছে।৪. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও। ৪×১
' ভারতমাতা ' চিত্রটি কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল ?
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ' ভারতমাতা ' ছবিটি শিক্ষিত ও প্রগতিশীল ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।i) প্রেক্ষাপট : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের সমানতরাল সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই উদ্দেশ্যে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সময় হিন্দুদের ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে তিনি ভারতমাতা চিত্র টি অঙ্কন করেন।
ii) স্বদেশিয়ানা : অবনীন্দ্রনাথের চতুর্ভূজা ' ভারতমাতা ' র চার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শিষ, জপের মালা ও শ্বেতবস্ত্র। এগুলো মূলত ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক ।এগুলি দ্বারা শিল্পী স্বদেশী আন্দোলনের যুগে দেশবাসীর মধ্যে স্বাদেশিয়ানা ও জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।
iii) শান্তির প্রতীক : সশস্ত্র আন্দোলনের সুস্থ জাতীয়তাবাদের বিকাশে বাধার সৃষ্টি করে।অবনীন্দ্রনাথের' ভারতমাতা '- র হতে কোনো অস্ত্র নেই ।এর দ্বারা তিনি স্বদেশী ভাবনায় সশস্ত্র আন্দোলনকে দূরে রেখেছেন।
iv) জাতীয়তাবাদের চেতনা : ব্রিটিশ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে মিছিলের সামনে ' ভারতমাতা ' চিত্রটি রাখা হত। নবজাগ্রত ভারতীয় জাতীয়তাবাদ এবং বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনেই ছিল ' ভারতমাতা ' অঙ্কনের অনুপ্রেরণা।