Clase 10 Geography Model Activity Task Part 6 | September Activity Task | WBBSE | Banglar shikkha activity task | ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাবগুলি আলোচনা করো | অক্ষাংশভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয় ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো | হিমালয় পর্বতমালা কিভাবে ভারতের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে
১.১.আরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটু ভূমিরূপ হলো -
ক) গিরিখাত
খ) রসে মতানে
গ) বালিয়াড়ি
ঘ) গৌর
উত্তর : গ) বালিয়াড়ি
১.২. ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো :
ক) উত্তর - পশ্চিম ভারতের প্রাচীন ভঙ্গীল পর্বত - নীলগিরি
খ) দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদী - নর্মদা
গ) আন্দামান - নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ - মেহগনি
ঘ) উত্তর পূর্ব ভারত - কৃষ্ণোমৃত্তিকা
উত্তর : গ) আন্দামান - নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ - মেহগনি
১.৩.ভারতের রূঢ় বলা হয় -
ক) জামশেদপুরকে
খ) দুর্গাপুরকে
গ) ভিলাইকে
ঘ) বোকারকে
উত্তর : খ) দুর্গাপুরকে
২. বাক্যটি সত্য হলে ঠিক এবং অসত্য হলে ভুল লেখো । ১×৩২.১. নদীখাতে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গর্ত গুলি হল মন্থকূপ।
উত্তর : ঠিক
২.২. ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনের বেলা স্থল বায়ু প্রবাহিত হয়।
উত্তর : ভুল
২.৩. শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়া চা চাষের পক্ষে আদর্শ।
উত্তর : ভুল
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।৩.১. 'অক্ষাংশভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয় ।' ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো । ২
ভৌগোলিক কারণ :কোন স্থানে হিমরেখার উচ্চতা নির্ভর করে অক্ষাংশের ভিত্তিতে , অবস্থান, ভূমির উচ্চতা, ঋতু পরিবর্তন প্রভূতির ওপর।তাছাড়া আমরা জানি অক্ষাংশের মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা কমতে থাকে ফলে হিমরেখার উচ্চতাও কমে ।নিরক্ষরেখা থেকে ক্রমশ উত্তর ও দক্ষিণের যেহেতু উষ্ণতা কমতে থাকে তাই হিমরেখার অবস্থান এর উচ্চতা ও কমতে থাকে । শীতকালে উষ্ণতা কমে যায় বলে হিমরেখা পর্বতের নিম্নাংশে এবং গৃষ্মকালে উষ্ণতা বেড়ে যায় বলে পর্বতের উর্ধাংশে অবস্থান করে।তাই দেখা যায় হিমরেখা, নিরক্ষীয় অঞ্চলে গড়ে ৫৫০০ মিটার, হিমালয় পর্বতে ৪৫০০ মিটার, আল্পস পর্বতে ২৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থান করে।৩.২. হিমালয় পর্বতমালা কিভাবে ভারতের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে ? ৩
হিমালয় পর্বত শ্রেণীর ভারতের জলবায়ুর উপর অসাধারণ প্রভাব রয়েছে :উত্তরের তীব্র শীত প্রবাহ থেকে রক্ষা করে: হিমালয় পর্বতের অবস্থান ভারতীয় উপমহাদেশকে এশিয়ার হাড়কাঁপানো শীতের হাত থেকে রক্ষা করেছে। হিমালয় পর্বত না থাকলে ভারতেও রাশিয়া ও চীনের মতো তীব্র শীত দেখা যেত।
বৃষ্টিপাতের সাহায্য করা : সমুদ্র থেকে আগত জলীয়বাষ্প পূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিমে মৌসুমী বায়ু হিমালয় পর্বতের ঢালে বাধা পেয়ে উত্তর মধ্য ভারতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। মৌসুমী বায়ু প্রবাহের দ্বারা সংঘটিত বৃষ্টিপাতে হিমালয় পর্বতের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।
উচ্চ আক্ষাংশে শীতল জলবায়ু সৃষ্টি: ভারত এমনিতে উষ্ণ মৌসুমি জলবায়ুর দেশ হলেও উচ্চতার প্রভাবে হিমালয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে অনেকটা তুন্দ্রা অঞ্চলের মতো অতি শীতল জলবায়ু দেখা যায়।
মরু জলবায়ু সৃষ্টিতে অবদান : আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে মধ্য এশিয়ার গোবি ও তাকলামাকান মরুভূমি সৃষ্টির ক্ষেত্রে হিমালয় পর্বতের যথেষ্ট অবদান রয়েছে ।ভারতের জলবায়ুর উপর এই দুই মরুভূমির প্রভাব কম বেশি অনুভূত হয়।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ব্যাপকতা হ্রাস : হিমালয় পর্বত এর জন্য শীতকালীন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কেবলমাত্র উত্তর-পশ্চিম ভারতের সীমাবদ্ধ থাকে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে উত্তর-পূর্ব ভারতের হিমালয় ও পূর্বাঞ্চলের পর্বত গুলির মধ্যে যে সামান্য ফাঁক রয়েছে সেই ফাঁক দিয়ে অতি শীতল উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় প্রবেশ করে এবং সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতের উষ্ণতার হ্রাস ঘটায়।
৪. ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাবগুলি আলোচনা করো। ৫
উত্তর : ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো -i) বসতির অভাব : ভারতীয় বড় বড় নগর গুলিতে জনসংখ্যার চাপ এতটাই বেশি যে সকল মানুষের জন্য বাসস্থান বা আবাসস্থল এর অভাব পরিলক্ষিত হয় । তাছাড়া মানুষ জীবিকার খোঁজে শহরে চলে এলে এখানে বাসস্থানের অভাব সৃষ্টি হয় ।ফলস্বরূপ রেললাইনের পাশে ,রাস্তার ধারে, খালপাড়ে ,বস্তিতে মানুষ আশ্রয় নেয়।
ii) পরিবহন সমস্যা : ভারতীয় শহরগুলিতে পরিবহন গত সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যানজট সম্পর্কিত সমস্যা। ভারতের প্রায় প্রতিটি শহরের নিত্যদিনের একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে ।বড় বড় নগর গুলির বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার সামলানোর জন্য যে পরিমাণ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজন তা না থাকায় এই ভারতীয় শহর বা নগরগুলিতে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
iii) পানীয় জলের অভাব : মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয় জলের। কিন্তু বড় বড় শহরগুলোতে বসবাসকারী মানুষের ব্যবহার ও পানীয় জলে যে বিপুল চাহিদা দেখা যায় তা অনেক সময় পূরণ করা সম্ভব হয় না। ফলে পানীয় জলের জন্য শহরগুলিতে হাহাকার দেখা যায়। কেবলমাত্র মানুষের ব্যবহারে প্রয়োজনীয় জল নয় শিল্পকারখানাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে জলের প্রয়োজন পড়ে তাই বর্তমানে শহরগুলিতে জলের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে শহরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে জল সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় জলের যোগান দেয়া হয়ে থাকে। যেমন ভারতের চেন্নাই শহরে জলের অভাবের সমস্যা দেখা দেয়।
iv) বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা : শহর বা নগর একটি দেশ বা অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। মনুষ্য পরিষেবা মূলক প্রায় সব রকমের কার্যাবলীর উপস্থিতি শহর অঞ্চলে দেখা যায় । শিল্প ,পরিবহন, বাণিজ্য ,সামাজিক কাজে নগর বা শহর অঞ্চলে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ভারতের প্রায় প্রতিটি শহরে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়।
v) বেকারত্ব বৃদ্ধি : ভারতীয় নগর গুলিতে গ্রাম অঞ্চলের তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে সবথেকে বেশি। তাই গ্রামীণ অঞ্চলে থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজের আশায় নগরগুলোতে পরিব্রাজন করে ।কিন্তু সেই পরিব্রাজনকারী মানুষের সংখ্যা একসময় এতটাই বেড়ে যায় যে সকল মানুষের কাজের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না, ফলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়।
vi) কঠিন বর্জ্য পদার্থ জনিত সমস্যা : শহর অঞ্চলের কঠিন বর্জ্য পদার্থ জনিত সমস্যা বড় সমস্যা। কঠিন পদার্থ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো পরিত্যক্ত কাগজ, পলিথিন ব্যাগ ,কাঁচ ও প্লাস্টিকের বোতল । পারিবারিক বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য শিল্প-কারখানার প্রভৃতি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ শহর অঞ্চলের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যা নিক্ষেপ করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার অভাব দেখা যায়। শুধু তাই নয় এই বর্জ্য গুলির ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত পরিকাঠামো ভারতের বেশিরভাগ শহরে নেই।