Class 10 Bengali Model Activity Task Part 5 | wbbse | August Activity Task

Class 10 Bengali Model Activity Task Part 5 | wbbse | August Activity Task

Class 10 Bengali Model Activity Task Part 5 | wbbse | August Activity Task

1. কমবেশি 20টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখ :

1.1 গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা । হরিদা কোন গল্প শুনেছেন ?

সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি সংগৃহীত হয়েছে ।

অবস্থাপন্ন জগদীশ বাবুর বাড়িতে সাত দিন ধরে এক উঁচুদরের সন্ন্যাসী এসেছিলেন তার বয়স হাজার বছরের বেশি এবং তিনি সারা বছরে শুধু একটি হরিতকী ছাড়া কিছুই খান না । জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকে তিনি পায়ের ধুলো দেননি সেটাও জগদীশবাবু কৌশল করে নিয়েছিলেন । সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় জগদীশবাবু জোর করে 100 টাকার নোট সন্ন্যাস এর পকেট এ দিয়েছিলেন এ গল্পটি শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গেলেন ।

1.2. 'বিদায় এবে দেহ বিধুমুখী ' বহুমুখী কে ?

মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা মেঘনাদবধ কাব্যের অভিষেক কাব্যাংশে থেকে গৃহীত হয়েছে।

উদ্ধৃতাংশের বিধুমুখী হলে মেঘনাদের প্রিয়তমা স্ত্রী প্রমিলা সুন্দরী ।

1.3. মাভৈঃ মাভৈঃ - এমন উচ্চারণ এর কারণ কি ?

উদ্ধৃতাংশ টি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয় উল্লাস কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

মাভৈঃ শব্দের অর্থ ভয় করোনা কবি কাজী নজরুল স্বাধীনতা সংগ্রামের মহা ক্ষেত্রে পশুর রুপি ইংরেজ নিধনের জন্য বিপ্লবীদের সংগ্রামে নির্ভীকচিত্তে প্রলয় সৃষ্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন পরাধীনতার বন্ধন মোচনের দিন সমাগত প্রলয় শেষে জয়টিকা বিপ্লবীদের কপালে শোভা পাবে মরণকে জয় করে এই বিপ্লবীরা হয়ে ওঠে মরণজয়ী সেদিন পূর্ণিমা আসবে ভারত বর্ষ স্বাধীন ভারতের স্বপ্নকে সার্থক করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকদের ভয়হীন হতে হবে ।

1.4. দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল বন্ধুদের কোথা থেকে আসার কথা ছিল ?

উদ্ধৃতাংশ টি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

পথের দাবী গল্পে গিরীশ মহাপাত্র জানিয়েছে এনাজান থেকে দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল।

2.1 হ্যাঁ ওটা কি একটা বহুরূপী ? প্রশ্নটিই কাদের মনে জেগেছে ? তাদের মনে এমন জায়গা কারন কি ?

উদ্ধৃত অংশটি সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন হরিদ্বা । তিনি এমন ভাবে বহুরূপী সাজতেন যে নিজের লোকের বোঝার সাধ্য ছিল না । তিনি একজন বহুরূপী গল্পের চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে সাজিয়ে তুলতেন নিপুণভাবে । উপরিক্ত প্রশ্নটি যারা বহুরূপী সেজে হরিদা কে চিনতে পারতো না এবং যারা প্রথমে দেখেছে তাদের মনে জেগেছে ।

মনের মধ্যে প্রশ্ন জেগে ওঠার কারণ হলো হরিদ্বার নানান ছদ্মবেশ ধারণ যেমন উন্মাদ পাগল রূপসী ভাইজি পুলিশ সন্ন্যাসী প্রভৃতি বহুরূপী সেজে অর্থ উপার্জন করতেন তার প্রতিটি রূপ ধারণ এর আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এই চরিত্রগুলি কে খুঁজে নিয়ে নিপুণভাবে তার অভিনয় করা একেবারেই সহজ ব্যাপার নয় এই কারণে তাদের মনে এরকম প্রশ্ন জেগেছে ।

2.2. নাদিলা কর্বুরদল হেরি বীরবরে মহা গর্ভে --কর্বুরদল শব্দের অর্থ কি ? উদ্ধৃতাংশের বীর বর কোথায় উপনীত হয়ে এমনটি ঘটেছে ?

উদ্ধৃতাংশ টি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত মেঘনাদবধ কাব্যের অন্তর্গত অভিষেক কাব্যাংশে থেকে গৃহীত হয়েছে ।

কর্বুরদল শব্দের অর্থ রাক্ষস দল ।

প্রমোদ কাননে আনন্দ রত অবস্থায় মেঘনাথ যখন শুনেছে তার প্রিয় ভাই বীরবাহু নিহত হয়েছে এবং পিতা যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত সে দ্রুত ছুটে গেছে স্বর্ণলঙ্কা ।

সেখানে গিয়ে সে দেখেছে পিতা লংকাদিপতি রাবণ যুদ্ধ সাজে সজ্জিত । যুদ্ধযাত্রার এইরকম প্রাক-মুহূর্তের আয়োজন যখন তৈরি তার মাঝে ইন্দ্রজিতের উপস্থিতি রাক্ষসদের মনে গর্ব বা সাহস সঞ্চয় ঘটিয়েছে । সমাবেশে উপস্থিত হওয়া মাত্রই সমস্ত রাক্ষস দল উল্লাসে গর্জন করে উঠেছে ।

2.3. 'তোরা সব জয়ধ্বনি কর ' কার জয় ধ্বনি করতে কবির এই আহ্বান ? কেন তার জয় ধ্বনি করতে হবে ?

উদ্ধৃত অংশটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয় উল্লাস কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

আলোচ্য কবিতায় পরাধীন দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও শোষিত মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বিপ্লবীদের আগমনকে ইঙ্গিত এর মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়েছে । বিপ্লবীদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন কবি ।

কবি স্বপ্ন দেখেছেন বিপ্লবের পূর্ণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারতের স্বাধীনতার সূর্য উদিত হবে তবে এই বিপ্লব কোন একক মানুষের কীর্তি নয় সকল ভারতবাসী স্বাধীনতা স্পৃহার প্রতি উদ্বুদ্ধ হলে হৃদয়ের মধ্যে বিপ্লবের প্রদীপ জ্বালাতে পারলে তবে পরাধীনতা মোচন সম্ভব হবে । তাই কবি সকলকে জয়ধ্বনি দিতে বলেছেন । যাতে সকলেই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে । সকল ভারত বাসীকে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাঙ্গণে দেখতে চেয়েছেন তিনি ।

2.4. 'কিন্তু ইহা যে কত বড় ভ্রম 'কোন ভ্রমের কথা বলা হয়েছে ?

অংশটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

সুদূর ভাম নগরের উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে অপূর্ব ছিল ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর যাত্রী তার কামরায় আর কোন লোক ছিল না । অপূর্ব ভোজ নাদি শেষ করে হাত-মুখ ধুয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে আশ্রয় করল বিছানায় । তার ভরসা ছিল সকাল পর্যন্ত তার ঘুমের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না । এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল কারণ সেই রাত্রে বেলায় ঘুম ভাঙ্গিয়ে পুলিশের লোক তার নাম ঠিকানা লিখে নিয়েছিল । তার ঘুমের যে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল।

3.1. বড় চমৎকার আজকের এই সন্ধ্যার চেহারা বহুরূপী গল্পে অনুসরণে উক্ত সন্ধ্যার দৃশ্য বর্ণনা করো ?

উদ্ধৃত অংশটি সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

গল্পকথক ও তার বন্ধুরা যে সন্ধ্যায় জগদীশ বাবুর বাড়িতে স্পোর্টের চাঁদা আদায়ের জন্য হাজির হয়েছিলেন প্রদত্ত অংশে সেই সন্ধ্যার কথা বলা হয়েছে ।

বড় চমৎকার সেই সন্ধ্যায় দৃশ্য চাঁদের আলোয় একটা স্নিগ্ধ শান্ত উজ্জ্বলতা ফুটে উঠেছিল চারিদিকে ফুরফুর করে মৃদুমন্দ বাতাস বইছিল জগদীশ বাবুর বাড়ির বাগানের সব গাছের পাতা ঝিরঝির শব্দ করে হৃদয়ের কথা বলতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল সবমিলিয়ে সুন্দর দৃশ্যটি খুব মধুর ।

3.2 "ছিরিলা কুসুমদাম রুষ্ট মহাবলী "মহাবলী কে ? তিনি রুষ্ট কেন ?


উদ্ধৃত অংশটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত মেঘনাদবধ কাব্যের অন্তর্গত অভিষেক কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

মহাবলী বলতে মেঘনাথ কে বোঝানো হয়েছে ।

ধাত্রী মাত্রার কাছে রাম কর্তিক বীরবাহুর মৃত্যু এবং রাক্ষসরাজ রাবণের যুদ্ধ যাত্রার উদ্যোগ শুনে মেঘনাথ প্রমোদ উদ্যানের সজ্জিত কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলেন । তিনি যে ইন্দ্রজিৎ এরকম মুহূর্তে উল্লাসে রত থাকায় নিজের প্রতি ধিক্কার জানান এবং রুষ্ট হন । কেননা বীরপুত্র থাকতে যদি পিতাকে যুদ্ধে যেতে হয় তাহলে জগতে এ কলঙ্ক যা মেঘনাথ এর পক্ষে লজ্জাজনক ও অসম্মানের ।

3.3. প্রলয় বইয়েও আসছে হেসে মধুর হেসে কে আসছেন ? তার হাসির কারণ বিশ্লেষণ করেন ?

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত অগ্নিবীণা কাব্যের অন্তর্গত প্রলয় উল্লাস কবিতায় মহাকালের আসার কথা প্রদত্ত অংশে বলা হয়েছে ।

মহাকাল প্রলয় অর্থাৎ ধ্বংসের বার্তা বহন করে আনছে । তবুও তার মুখে হাসি কারণ এই ধ্বংসের মধ্যে নিহিত রয়েছে নতুন সৃষ্টির বীজ । হিন্দু পুরাণ অনুসারে ধ্বংসের দেবতা রুদ্রদেব পুরাতন যুগের অবসান ঘটিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেন ইতিহাসেও দেখা গেছে যে পুরাতন সভ্যতা ধ্বংসের থেকে নতুন সভ্যতার জন্ম হয় ! ধ্বংসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা এইজন্যই প্রলয়ঙ্কর প্রলয় বয়ে আনবে ও তার মুখে হাসি ।

3.4. বাবুজি এসব কথা বলার দুঃখ আছে বক্তা কে ? কোন কথার পরিপেক্ষিতে সে কথা বলেছে ?

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী গদ্যাংশ রামদাস তলওয়ারকর অপূর্বকে উক্ত কথা বলেছেন !

রামদাস এর সঙ্গে বহু কথোপকথন কালে অপূর্ব জানায় যে পুলিশকর্তা নিমাইবাবু তার কাকা এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী হলেও ভারতবর্ষের মুক্তিকামী বিপ্লবীরা তার থেকে অনেক বেশি আপন । পরাধীন ভারত বর্ষের ব্রিটিশ রাজত্ব করেন নিমাইবাবু এই প্রসঙ্গে রামদাস মুখে হেসে উপরক্ত উক্তিটি করেছিলেন ।

4.1. এইজন্য চরিত্র চাই গোয়ার রোখ চাই -- ক্ষিতীশ সিংহ কিভাবে কোনির চরিত্র এবং গোয়ার রোখ তৈরিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন ?

মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের গঙ্গার ঘাটে বারুণী তিথিতে দেবতার উদ্দেশ্যে উপসর্গ উৎসর্গ করা আম দখলের ঘটনা থেকে ক্ষিতীশ কোনিকে আবিষ্কার করেছিলেন ! তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন তারপর তিনি একদিন কণিকে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব দিলেন !
কোনি সেই প্রস্তাবে এককথায় বাতিল করে দিলেও ক্ষিতীশ হাল ছাড়েননি তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন তিনি কোনিকে নামকরা সাঁতারু তৈরি করবেন !

কোনির বাড়িতে গিয়ে ওদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন ওরা খুব গরিব । তাই নিজেই তিনি কোনির সব দায়িত্ব নিলেন জুপিটার ছেড়ে অ্যাপেলো ক্লাবে এলেন শুধু কোনির জন্য । নিজের সংসার পরিবারের কথা ভুলে গিয়ে কণিকে নিয়ে চলল তার প্রতিজ্ঞা পূরণের কাজ । কণিকে নিয়ে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন করাই ছিল ক্ষিতীশ এর একমাত্র লক্ষ্য ।

ক্ষিতীশ বাবু নিজে এই কোনির জন্য উপযুক্ত খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করলেন । ধীরে ধীরে কোনি সাঁতার দিলেন একসময় যাবতীয় প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কোনি মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম হয়। তার এবং ক্ষিতীশ এর স্বপ্ন পূরণ করে ।

4.2. ক্ষুধা এবার আমরা কি খাবো উদ্ধৃতিটি এর আলোকে কোনির যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনযাত্রার পরিচয় দাও ?

মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো কনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী কনির দাদা দুরারোগ্য ব্যধিতে আকস্মিক মৃত্যুতে তাদের গোটা পরিবারের দারিদ্রতায় ছায়া নেমে আসে । সহোদরের মৃত্যু শোকের ছায়া ছাপিয়ে কোনির কন্ঠে তখন ধ্বনিত হয় আগামীর অন্নসংস্থানের চিন্তা ।

কোনির প্রথম লড়াইটা ছিল দরিদ্রের সঙ্গে সে এমন এক পরিবারের মেয়ে যেখানে তিন বেলা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকায় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল সুতরাং তার পরিবারের পক্ষে কণিকে সাঁতার শেখানো তো দূরের কথা একটা কস্টিউম কিনে দেওয়ার সামর্থ্য তাদের ছিল না ।

ক্ষিতীশ বাবু কোনির জীবনযাত্রাকে একটা নিয়মে বেঁধে দিয়েছিলেন । কোনিকে প্রতিদিন দুটো কলা দুটো টোস্ট দুটো ডিম খাওয়ার কথা ক্ষিতীশ বলেন এগুলি কনিকে খেতে দেওয়া দেওয়া হবে আরো একঘন্টা বেশিক্ষণ জলে থাকলে এই ভাবে লোভ দেখিয়ে কঠোর অনুশীলনের পর তাকে সাফল্য শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল ।
Previous Post Next Post