Class 8 Bengali Model Activity Task Part 5 | August Activity Task | WBBSE | অষ্টম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৫

Class 8 Bengali Model Activity Task Part 5 | August Activity Task | WBBSE | অষ্টম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট

Class 8 Bengali Model Activity Task Part 5 | August Activity Task | WBBSE | অষ্টম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৫

নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

১. ' দাঁড়াও ' কবিতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আততী কিভাবে ধরা দিয়েছে ?

মানবিক বোধসম্পন্ন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াও কবিতায় মনুষ্যত্ব বিবেক বোধ ইত্যাদি গুণসম্পন্ন মানুষকে অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ! একমাত্র প্রার্থনা যে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক কিংবা নিসংগতা মানুষ যেন মানবিক মানবিকতাবোধ থেকে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়! নিঃসঙ্গতার সঙ্গী হয়ে ব্যথিত মানুষের সমব্যথী হয়ে ওঠে পাশে দাঁড়াও পাশে এসে দাঁড়াও এই শব্দগুলি যথাক্রমে 3 বার করে মোট ছয়বার কবি কবিতার ব্যবহার করেছেন এর মধ্যে দিয়ে কবি মানুষের লুকিয়ে থাকা অন্তর মানবিক চেতনাকে জাগ্রত করে পাঠক মনকে মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

২.' লাঠি ধরলে বটে !' বক্তা কে? কার সম্পর্কে তাঁর এই উক্তি? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার কোন মনোভাবের পরিচয় পাও?

উক্তিটির বক্তা হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পল্লীসমাজ উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র পিরপুরের প্রজা আকবর ।

তিনি রমেশের সম্পর্কে উক্তিটি করেছেন ।

উক্তিটির মধ্য দিয়ে একজন প্রকৃত লাঠিয়াল আকবরের রমেশ যার কাছে এসে পরাজিত হয়েছিল তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রস্ফুটিত হয়েছে তার চালনায় আকবর মুগ্ধ হয়েছেন রমেশের লাঠির আঘাতে আহত হয় তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরে কিন্তু সে থানায় গিয়ে নালিশ জানাতে রাজি নয় কারণ তার আত্মসম্মানবোধ প্রবল এবং সে জানে রমেশ নিজের স্বার্থে নয় গ্রামবাসীদের সাথে লাঠি ধরেছে ।

তাই তার কাছে পরাজিত হয়েও তার কোনো আক্ষেপ নেই ।

৩. 'প্রাণ আছে, প্রাণ আছে'
- 'ছন্নছাড়া ' কবিতা এই আশাবাদ কিভাবে ধ্বনিত হয়েছে ?


একটি বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়া একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ফাঁকা ট্যাক্সি করছিল এবং সেটি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায় রক্ত মাংসের দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখেরীর শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে শরীরটি তোলার সময় তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে কারণ তারা বুঝতে পেরেছে এখনো প্রাণ আছে শরীর টিতে । এই ভাবেই শহরের ইট-কাঠ-পাথরের পরিবেষ্টিত দয়ামায়াহীন পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি মায়া-মমতা পূর্ণ বিশ্বাসের বিজয় শঙ্খধ্বনি শোণিত হয়ে ওঠে প্রাণ আছে প্রাণ আছে কথাগুলি মাধ্যমে । কারণ প্রাণ থাকলে মর্যাদা থাকে এখানে মৃতপ্রায় ভিকারি যেন মরতে বসে সমাজের রূপক । কিন্তু এই সর্বহারা ছন্নছাড়া যুবকদের মানবিকতার ছোঁয়ায় তাতে প্রাণ ফিরে এসেছে আলোচ্য কবিতায় এই ভাবেই আশাবাদ ধ্বনিত হয়েছে ।

৪. 'শিমুল গাছ অনেক দেখিয়াছো।'
- 'গাছের কথা' গদ্যাংশে শিমুল গাছের প্রসঙ্গ লেখক কিভাবে স্মরণ করেছেন ?

উদ্ধৃত লাইনটি বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা গাছের কথা নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে । প্রবন্ধের শুরুতে তিনি বলেছেন ছেলেবেলায় একা মাঠে পাহাড়ে বেড়াতে গেলে সবকিছুই যেন তার খালি খালি লাগতো গাছ পাখি কীটপতঙ্গ কে লেখক তখন সেভাবে ভালোবাসতে শিখেন নি পরে যখন ভালোবাসতে শিখল তখন তাদের তখন তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বুঝতে পারলেন যে গাছ কথা না বললেও তাদের জীবন আছে । এই প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক গাছের বিভিন্ন লক্ষণ তুলে ধরেছেন তিনি গাছের বীজ ছড়ানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন যে পাখিরা ফল খেয়ে দূর দূর দেশে বীজ নিয়ে যায় ফলে অনেক জনমানবহীন দ্বীপে গাছ হয় এছাড়া অনেক সময় বীজ প্রবল বাতাসে উড়ে গিয়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে এই প্রসঙ্গে তিনি শিমুল গাছের কথা স্মরণ করেছেন শিমুল গাছের ফল রোদ্রে ফেটে যাওয়ার পর তার বীজ তুলোর সঙ্গে উড়ে বেড়াতে থাকে ।

অষ্টম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট


৫. 'বিশ্বের বুক ফেটে যায় এই গান - '
কোন হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায় ?

উদ্ধৃত লাইনটি বুদ্ধদেব বসুর লেখা" হাওয়ার গান" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে । কবিতাতে হাওয়াদের এক জীবন্ত সত্তাই কল্পনা করা হয়েছে। তাদের কোনো বাড়ি নেই তাই তারা কেঁদে মরে তারা বাড়ির সন্ধান করেছে সর্বত্র কিন্তু কোথাও তার খোঁজ মেলেনি তাদের চোখে অন্যান্যদের গৃহস্থলী ধরা পড়েছে কিন্তু তাদের কোনো নির্দিষ্ট বাড়ি নেই। তাই তাদের কোনো বিশ্রাম নেই তারা চিরকাল উদ্দাম উত্তাল হাওয়াদের এই দুরাবস্থা ও হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায় । তাদের এই হাহাকার যেন কোন বিলাপের সুর হাওয়ারা পার্কের বেঞ্চিতে শুকনো পাতা উড়িয়ে জালনার সারসি কাঁপিয়ে কখনো বা চিমনিতে হাহাকার তুলে অথবা বাগানে কেঁদে কেঁদে ঘুরে বেড়ায় তাদের শন শন শব্দ গর্জন আসলে গানের সুরের মতো ধ্বনিত হয়েছে । হাওয়াদের যে বাড়ি নেই সেই কথাটি কে তারা কবিতার মধ্যে দুবার বলেছে গানের সঞ্চারী মত করে তাদের বেদনাতুর হৃদয়ের কান্নায় আসল হওয়ার গান ।

৬. 'ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত!'
- বুকুর কোন কথায় তার মা অতিথিদের সামনে অসস্তিতে পড়লেন ?

উদ্ধৃত অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর রচিত "কি করে বুঝবো" গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। বুকুর মুখে উত্তরপাড়া থেকে ছেনু মাসিরা এসেছেন শুনে বুকুর মা বিরূপ মন্তব্য করে বলেছিলেন অসময়ে বাড়িতে লোকের বেড়াতে আসা একদম পছন্দ করেন না অথচ অতিথিদের সামনে এসে তিনি ভীষণ আনন্দের সঙ্গে তাদের অভ্যর্থনা জানান এবং এতদিন আসেননি কেন তা নিয়ে অভিমান প্রকাশ করতে থাকেন । মায়ের এই পরিবর্তন দেখে বুকু হঠাৎ সবার সামনে মায়ের সেই বিরূপ মন্তব্য গুলিকে বলতে শুরু করে বুকুর বাবা-মা বুকুকে সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন যে কখনো মিথ্যা কথা বলতে নেই, কোন কথা গোপন করতে নেই সেই অনুযায়ী কাজ করেছে । ছয় বছরের ছোট্ট ছেলেটি জানে না কোন কথা গোপন করতে হয় আর কোন কথাটি নয় তাই বুকুর মুখে এই সত্যি কথাগুলো শুনে তার মা নির্মলা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়ে যান ।

৭. 'পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি' কবিতায় গ্রাম জীবন সম্পর্কে কবির যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার পরিচয় দাও ।

কবি জীবনানন্দ দাশ হলেন প্রকৃতিপ্রেমী কবি আলোচ্য পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি কবিতায় কবি গ্রামবাংলার দু পহররের অসাধারন রুপের বর্ননা কে ছন্দ প্রদান করেছেন! রৌদ্রস্নাত গ্রাম বাংলার শঙ্খচিল জলসিঁড়ির পাশে পড়া চালতা গাছ মালিকহীন ঝাঁজরা নৌকার হিজলে বাধা থাকা, দুপুরের শান্ত স্তব্ধতায় ইত্যাদি যেন অপরূপ মহিমা উদ্ভাসিত হয়েছে কবির বাণীতে । প্রকৃতিপ্রেমী কবির হাত ধরে যেন গ্রামবাংলার দুপুরের মায়াময়ী রূপ কবিতাটিতে ফুটে উঠেছে ।

৮."এলাহি ব্যাপার সব। " নাটকের কথা রচনাংশ অনুসরণে সেই এলাহি ব্যবস্থাপনার বিবরণ দাও

প্রভিন্সিয়াল কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার জন্য নাটোরের দিকে যাওয়ার সময় স্টিমারে খাওয়া-দাওয়ার প্রসঙ্গ আলোচনায় লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত সরল মনের পরিচয় দিয়েছেন।

স্টিমারে খাওয়ার টেবিলে একদিকে বয়সে বড়রা এবং অন্যদিকে বসেছিল ছেলেছোকরার দল । টেবিলে অত্যন্ত ভালো এবং লোভনীয় খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল সেখানে খাওয়া-দাওয়ার এলাহী ব্যবস্থাপনা ছিল খাদ্য তালিকা থেকে মাংস মাছ ডিম মিষ্টি পিঠা পায়েস কিছুই বাদ ছিল না , তারা বাড়িতে বসেই এবেলা ওবেলা নানা রকম মিষ্টি তৈরি করে এমনকি লেখোকের আবদারে তাকে গরম সন্দেশ খাওয়াতে খাবার ঘরের সামনেই হালুইকর বসে গেল অতিথিদের জন্য স্বয়ং রাণীমা নিজের হাতে পিঠে পায়েস তৈরি করেন ।

9. 'গড়াই নদীর তীরে' কাব্যাংশে প্রকৃতি চিত্র কিভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে ?

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের লেখা গড়াই নদীর তীরে কবিতাটি পল্লীপ্রকৃতি এর সহজ স্বাভাবিক রূপ নিয়ে চিত্রিত প্রকৃতির সৌন্দর্যে আরোপিত কোন কৃত্রিমতা নেই তাই কবিতায় কবি পরম মমতায় গ্রামীণ কুটিরের ছবি এঁকেছেন সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশের বর্ণনা দিতে গিয়ে কবি বলেছেন কুটির খানি যেন লতাপাতা আর ফুলের মায়া সমাচ্ছন্ন । মাচান এর উপর সিম লতা আর লাউ কুমড়োর ঝাড় আবৃত রয়েছে সেগুলি ফুলে ফুলে রঙ্গিন কোনে হাওয়ায় দুলছে কবির ভাবনায় তারাও যেন হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে । গড়াই নদীর তীরে বাড়িটির সঙ্গে এই সমস্ত গাছগাছালির যেন এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের পাখিরাও নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে গাছে এসে বসে এবং বাড়িটিকে কলকাকলিতে ভরিয়ে তোলে পাখিগুলোর সঙ্গে বাড়ির মানুষের যেন আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কেউ কারো কোন ক্ষতি করেনা। পাখি বসে থাকে উঠোনে চরে বেড়ায় এভাবে বাড়ির সাথে বিভিন্ন গাছপালা ও পাখিদের এক নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ।
Previous Post Next Post