Class 8 History Model Activity Task Part 5 | August Activity Task | WBBSE | সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝো | পন্ডিতা রমাবাই স্মরণীয় কেন

Class 8 History Model Activity Task Part 5 | August Activity Task| WBBSE | সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝো | পন্ডিতা রমাবাই স্মরণীয় কেন

Class 8 History Model Activity Task Part 5 | August Activity Task| WBBSE | সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝো | পন্ডিতা রমাবাই স্মরণীয় কেন

১) ক স্তম্ভের সাথে খ স্তম্ভ মেলাও:
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
১.১.আবওয়াব ঘ) বেআইনি কর
১.২. সাহুকার ক) মহাজন
১.৩. দাদন খ) অগ্রিম অর্থ
১.৪. রায়ত গ) কৃষক

২. সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করো :
বিদ্রোহ যেকোনো একজন নেতার নাম কারণ
নীল বিদ্রোহ দিগম্বর বিশ্বাস নীল চাষে বাধ্য করা ও নীলচাষীদের অত্যাচার।
বারাসাত বিদ্রোহ মীর নিসার আলী ধর্মীয় সংস্কার এবং ব্রিটিশ ও জমিদারদের অত্যাচার।
সাঁওতাল বিদ্রোহ সিধু ব্রিটিশ ভূমি রাজস্ব নীতি
মুন্ডা বিদ্রোহ বিরসা মুন্ডা জমিদারদের অত্যাচার

৩.প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

৩.১.পন্ডিতা রমাবাই স্মরণীয় কেন ?

পন্ডিতা রামাবাই ছিলেন ভারতে নারী ও সংস্কার ও নারীশিক্ষা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব তিনি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে হয়েও সমাজের যাবতীয় সমালোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে বিয়ে করেছিলেন শূদ্রক পুরুষকে । ভারতীয় শাস্ত্র সম্পর্কে তিনি অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে । তাছাড়া তিনি বিধবা মহিলাদের জন্য তৈরি করেছিলেন একটা আশ্রমও ।

৩.২. ইয়ং বেঙ্গললের দুটি সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করো ।

ইয়ং বেঙ্গললের দুটি সীমাবদ্ধতা নিম্নে দেওয়া হলো -
i) ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী আন্দোলন শুধুমাত্র সমাজের উঁচু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে নি ।

ii)ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের অতিমাত্রায় প্রগতিবাদী মনে করতো ফলে তারা কালী ঠাকুরকে ম্যাডাম বলে ডাকত নিষিদ্ধ খাবার খেতো আর ধর্মের তীব্র সমালোচনা করত ! তাই সাধারন ভারতবাসীর মন তারা কখনও জয় করতে পারেনি ।

৪.'সম্পদের বহির্গমন' বলতে কী বোঝো ?

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ভারতীয় অর্থনীতির অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পদের বহির্গমন । সম্পদের বহির্গমন এর মূল কথাটি হলো ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নানানভাবে যেমন রাজস্ব আদায় এবং বাণিজ্যনীতি নানান উপঢৌকন প্রভৃতির মাধ্যমে ভারত থেকে নিজ দেশের সম্পদ পাঠিয়ে দিত। সুলতানি ও মোগল আমলে দেখা গেছে সম্রাটরা রাজস্ব আদায় করলেও তা ভারতে খরচ করা হতো । কিন্তু ব্রিটিশরা তাদের সংগ্রহ করা অর্থ ব্রিটেনে পাঠিয়ে দিত । মাদ্রাজের এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা-জন সুলিভান বলেছেন ভারত থেকে স্পঞ্জের মত করে সম্পদ শোষণ করা হতো গঙ্গাপাড়ের যাবতীয় সম্পদ স্পঞ্জে তুলে নিয়ে টেমস নদীর তীরে সব নিংড়ে নিত । ভারত থেকে প্রায় বছরে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ ব্রিটেনে যেত এই সময়ে ভারতীয় জাতীয় আয় ৬% আর বৃটেনের জাতীয় আয় ২ % ছিল যা ভারতকে সম্পূর্ণভাবে নিঃস্ব করে দিয়েছিল ফলস্বরূপ ভারতে দেখা দেয় নানা দুর্ভিক্ষ মহামারী।
Previous Post Next Post