Class 9 Bengali Model Activity Task Part 5 | August Activity Task | wbbse
1. কমবেশি 15 টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখ:
1.1. হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করেছেন কোন চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন ?
উদ্ধৃত অংশটি সৈয়দ মুস্তাফা আলী রচিত নব নব সৃষ্টি নামক রচনার উৎস থেকে সংগৃহীত । যেকোনো ভাষার শব্দভাণ্ডার অন্য ভাষা থেকে গ্রহণ করা আগন্তুক শব্দ দ্বারা সমৃদ্ধ হয় । হিন্দি সাহিত্য এই তকমাটি ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তাই হিন্দি সাহিত্যকদের হিন্দি থেকে আরবি-ফারসি ইংরেজি শব্দকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক এখানে উল্লেখ করেছেন ।1.2. এরই মাঝে বাংলার প্রাণ কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন ?
আকাশে সাতটি তারা কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার নরম ধানের গন্ধ, হাঁসের পালক, পুকুরের জল, চাল ধোয়া ভিজে ভাত কিশোরের পায়ের দলা মুথা ঘাস এসবের মাঝে বাংলার প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন ।1.3. এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে পত্রলেখক এর দৃঢ় বিশ্বাস টি কি ?
উদ্ধৃত অংশটি স্বামী বিবেকানন্দ রচিত চিঠি রচনাংশ থেকে গৃহীত।পত্রলেখক স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস যে মিস নোবেল এর শিক্ষা পবিত্রতা অসীম ভালোবাসা প্রভৃতির জন্য ভারতের কাজে বিশেষত নারী সমাজের কাজে তার এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে ।
1.4. যা গিয়ে ওই উঠানে তোরা দাঁড়া' সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন দৃশ্য দেখা যাবে ?
উদ্ধৃত অংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত আবহমান কবিতা থেকে গৃহীত ।কবি বলেছেন সেখানে অর্থাৎ লাউ মাষাটার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে দেখা যাবে সন্ধ্যার বাতাসে ছোট্ট একটা ফুল দুলছে ।
1.5. তোমার বাড়ি কোথায় রাধারানী এই প্রশ্নের উত্তরে কি বলেছিল ?
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাধারানী গল্পে রাধারানী এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল তার বাড়ি শ্রীরামপুরে ।2. কমবেশি 60 টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখ :
2.1 সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন ?
উদ্ধৃত অংশটি সৈয়দ মুস্তাফা আলী রচিত নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধ থেকে গৃহীত ।প্রাবন্ধিক বলেছেন সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল কারণ কোন নতুন চিন্তা অনুভূতি কিংবা বস্তুর জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সমস্কৃত অন্য কোথাও না খুঁজে আপন ভান্ডারে অনুসন্ধান করে । কোন ধাতু বা শব্দ সামান্য অদলবদল করে কিংবা পুরনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দ নির্মান করা যায় কিনা তার চেষ্টা করে । তবে সংস্কৃত যে কখনো বিদেশি শব্দ গ্রহণ করেনি তা নয় নিলেও খুব মুষ্টিমেয় ।
2.2. পৃথিবীর কোন পথ এই কন্যারে দেখেনিকো কোন কন্যার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে ?
উদ্ধৃত অংশটি কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত আকাশে সাতটি তারা কবিতা থেকে গৃহীত ।আলোচ্য কবিতায় কবি কেশবতী কন্যা বলতে সন্ধ্যার অন্ধকার কে বুঝিয়েছেন কেশবতী কন্যার উচ্চারণের মাধ্যমে সামনে ভেসে ওঠে এলোচুলে এক রুপসী কিশোরীর ছবি । সন্ধ্যার অন্ধকারে নরম সজীব প্লবতা একমাত্র চুলের সঙ্গে তুলনীয় বলেই কবি এমন মন্তব্য করেছেন ।
2.3. মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যবহার করেছেন ?
উদ্ধৃত অংশটি স্বামী বিবেকানন্দ রচিত চিঠি রচনার অংশ থেকে গৃহীত ।মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত কথাটির অর্থ হল খাঁটি পুরুষের কথা আর হাতির দাঁত একবার বের হলে আর ভেতরে যায় না অর্থাৎ খাঁটি মানুষের কথা নড়চড় হয় না ।
স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেল কে তার ভারতের জন্য কাজের সাহায্য করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন স্বামীজি জানিয়েছিলেন ভারতের সংস্কারমূলক কাজের মিস নোবেল সফল হোক বা বিফল হোক তিনি সব রকম পরিস্থিতিতে তার পাশে থাকবেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত একবার বেরোলে তা ভিতরে যায় না তার কথার নড়চড় হয় না সে সেটা ছিল তার প্রতিজ্ঞা ।
2.4. ফুরায় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা কোন পিপাসাকে কেন দুরন্ত বলা হয়েছে ?
অংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত আবহমান কবিতা থেকে সংগৃহীত ।উন্মুক্ত সবুজ গ্রাম্য পরিবেশে শান্ত নিরীহ গ্রাম্য জীবনে মানুষের ফিরে আসার ইচ্ছা কে পিপাসা বলা হয়েছে ।
আবহমান কবিতায় কবি আধুনিক সভ্যতার এক গভীর সত্যকে তুলে ধরেছেন আধুনিক নগরজীবনের জটিলতায় ক্লান্ত মানুষ বেঁচে থাকার সুর খুঁজে পাইনা ভোগবাদী জীবনের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে তারা কেবল ছুটে বেড়ায় ।
3. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
3.1. বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান , নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কিভাবে সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন ?
উদ্ধৃত অংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধ থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।
প্রাবন্ধিক বলেছেন বাঙালির চরিত্রের বিদ্যমান তা সে হিন্দু হোক বা মুসলিম হোক ধর্ম বদলালে জাতির চরিত্র বদলায় না রাজনীতি ধর্ম যখন যেখানে মানুষ সত্যের সন্ধান পেয়েছে তখনই সেটা গ্রহণ করতে চেয়েছে । কেউ যদি গতানুগতিক পন্থা প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে সেই প্রচেষ্টায় বাধা দিতে গেলে মানুষ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে এবং তার চেয়েও বড় কথা যখন সে বিদ্রোহ উশৃংখল এ পরিণত হতে চেয়েছে তখন তার বিরুদ্ধে আবার বিদ্রোহ করেছে ।
3.2. "আসিয়াছে শান্ত অনুগত" বাংলার নীল সন্ধ্যা "আকাশে সাতটি তারা " কবিতার অনুসরণে সেই সন্ধ্যার বিবরণ দাও ?
আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ পল্লীবাংলার চিরন্তন সন্ধ্যা শোভা তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন ।পড়ন্ত গোধূলি বেলায় সূর্য অস্ত যায় আকাশের মেঘ যেমন লাল কামরাঙ্গার মত হয়ে ওঠে গঙ্গা সাগরের ঢেউয়ে ডুবে যায় কবির মনে হয় যেন এক মৃত মনিয়ার রক্তে সাগরের জল লাল হয়ে উঠেছে ধীরে ধীরে সূর্যের শেষ আভা টুকু মিলিয়ে যায় আলো-আঁধারিতে নিস্তব্ধ নীল সন্ধ্যা নেমে আসে গ্রামবাংলায় কবির মনে হয় যেন আকাশে কোন কেশবতী কন্যা এসেছে আকাশের রং আর কেশবতী কন্যা খোলা চুল চিত্রকল্পে একাকার হয়ে যায় । কবিতার স্পর্শ অনুভব করেন কেশবতী কন্যার চুল তার মুখের উপর চোখের উপর ভাসে । আসলে এই কেশবতী কন্যা হলো গ্রাম বাংলার সন্ধ্যাকালীন রূপ । বাংলার প্রকৃতি কাঁঠাল জাম্ গাছের পাতাও এই কন্যা চুলের স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হয়নি । কবি এই স্নিগ্ধ রূপ যেখানে অনুভব করেছেন তা আর কোথাও অনুভব করেননি।
3.3. চিঠি অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশি ভক্ত অনুগামীদের পরিচয় দাও ?
ক). মিস নোবেল - সম্পূর্ণ নাম মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল স্বামীজীর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম অগ্নিকন্যা স্বামী বিবেকানন্দের অনুপ্রেরণায় এদেশে আসেন এবং ভারতের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেন ভারতের স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের কাজে এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ভারতীয় আদর্শে স্ত্রী শিক্ষা প্রচলনের জন্য কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন যা নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় নামে খ্যাত ।খ.স্স্টাডি- স্বামী বিবেকানন্দের একজন উল্লেখযোগ্য ইংরেজ ভক্ত হলেন স্টাডি ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে তিনি স্বামীজীকে সাহায্য করেন ।
গ. মিস মুলার - সম্পূর্ণ নাম মেয়ে হেনরিয়েটা মুলার বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে তিনি অর্থ সাহায্য করেছিলেন ।
ঘ. মিসেস সেভিয়ার - স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত ইংরেজ শিষ্য ছিলেন মিসেস সেভিয়ার স্ত্রী । বেদান্ত প্রচারের কাজে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন । রামকৃষ্ণ সংঘএ তিনি মাদার নামে পরিচিত ছিলেন ।
ঙ. মিস ম্যাকলাউড - স্বামী বিবেকানন্দের পাশ্চাত্য দেশীয় প্রধান অনুরাগী ভক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ম্যাকলাউড । তিনি সবসময় স্বামীজীকে তার কাজে সাহায্য করতেন।
3.4. নটে গাছটা বুড়িয়ে উঠেছে কিন্তু মুড়োই না উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ?
উদ্ধৃত অংশটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত আবহমান কবিতা থেকে সংগৃহীত ।এই কবিতায় ফুটে উঠেছে গ্রামজীবনের চিরন্তন সমৃদ্ধি ও সৌন্দর্য আধুনিক পৃথিবীতে মানুষ ভোগবাদ দিয়ে জীবনের প্রলোভনে শহরমুখী হয়েছে কিন্তু নাগরিক জীবন বুকের উপকরণ দিতে পারলেও মানুষকে দিতে পারেনি অন্তর আত্মার শান্তি এই শান্তির খোঁজে তাই তাকে ফিরে যেতে হবে গ্রামের সহজ-সরল জীবনে গ্রামের প্রকৃতি তাকে ডাকছে ।
সুদূর অতীত কালে এই গ্রাম থেকেই শুরু হয়েছিল মানব সভ্যতার বিকাশ আজও সেই গ্রাম সভ্যতার নিজের সমৃদ্ধি ও সৌন্দর্য নিয়ে তেমনি রয়েছে গ্রাম সভ্যতার জীবন তৃষ্ণা কোনদিন ফুরাবেনা অনেকেই তাকে ছেড়ে গেছে অনেকেই আবার ফিরে এসেছে তাই ছেলেভুলানো গল্পের নটে গাছটি মুড়ই গেলেও গ্রাম সভ্যতার নটে গাছটি বুড়িয়ে যায় তবুও মুড়িয়ে যায় না অর্থাৎ এই সভ্যতার প্রাচীন হয়েছে তবু প্রাণহীন হয়নি ।
3.5. তাহারা দরিদ্র কিন্তু লোভী নয় কাদের কথা বলা হয়েছে ? পাঠ্যাংশ অনুসরণে তাদের দরিদ্র এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো ?
উদ্ধৃত অংশটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাধারানীর রচনাংশ থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।এখানে 10 - 11 বছরের পিতৃহীন বালিকা রাধারানী ও তার বিধবা মায়ের কথা বলা হয়েছে ।
পিতৃহীন রাধারানীর একমাত্র সহায় তার মা রথের পূর্বে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে সে মায়ের পথের জোগাড় করতে রথের মেলায় মালা বিক্রি করতে একপ্রকার বাধ্য হয় ঘর দুর্যোগের মধ্যে সে মালাগুলো বেচতে পারে না তখন সে কাঁদতে শুরু করছিল এমন সময় হঠাৎ এক দয়ালু ব্যক্তির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় সেই ব্যক্তিকে রাধারানীর দুঃখের কথা শুনে তার মালা গুলো কিনে নেয় এবং রাধারাণীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাই । তার পয়সার মালার মূল্য 6 টাকা দিয়েছিল কিনারা ধারা নিয়ে বারবার জানতে চায় কারন অন্ধকারে দেখতে পায়নি এবং রাধারানী এটাও বলে যে ঘরে গিয়ে প্রদীপ জ্বেলে যদি দেখে টাকা তবে ফিরিয়ে দেবে রাধারানী ঘরে গিয়ে দেখেছিল টাকা দিয়েছে সে দয়ালু ব্যক্তি কিন্তু বাইরে এসে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না । এমনকি পাশের দোকানিকে দিয়ে রাধারানীর জন্য কাপড় পাঠিয়েছে আবার একখানা নোটে রাধারানীর নাম লিখে ফেলেছেন কিন্তু সেই ব্যক্তির সন্ধান তিনি পেলেন না । তারা নটি ভাঙলো না তুলে রাখলো এর মধ্য দিয়ে তাদের নির্লোভতার পরিচয় পাওয়া যায় ।