আরো শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হয়ে।কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকলে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।
![]() |
চিত্র: তৃতীয় পক্ষের রেফারেন্স |
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশি রাখি কেনো ?
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য প্রধান শক্তি সঞ্চয়ী খাদ্য। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাপ শক্তি উৎপাদন করা কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান কাজ। 1 গ্রাম অনু শর্করা থেকে 4.0 Kcal শক্তি পাওয়া যায় ।সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে। প্রাণীদেহের যকৃৎ ও পেশীতে সঞ্চিত থাকে, যা প্রয়োজনের সময়ে গ্লুকোজ উৎপাদন করে দেহের অতিরিক্ত তাপ শক্তি সৃষ্টি করে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের 80 শতাংশ অর্থাৎ প্রায় 400 গ্রাম এই প্রকার খাদ্য থেকে সংগৃহীত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ যে প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ না করলেও শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য বিশেষ করে শ্বেতসার খেয়েও মানুষ সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন যাবৎ বেঁচে থাকতে পারে এজন্য কার্বোহাইড্রেটকে প্রোটিন মিতব্যয়ী খাদ্য বা প্রোটিন বাঁচোয়া খাদ্য বলে।কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান উৎস উদ্ভিজ্জ খাদ্য। চাল,গম,ভুট্টা,আলু,ডাল,কচু ইত্যাদিতে শ্বেতসার। খেজুর আঙ্গুর আপেল ইত্যাদিতে গ্লুকোজ।শাক,সবজি ,বেল,তরমুজ ইত্যাদিতে ফল শর্করা পাওয়া যায়।অল্প বয়সে মধুমেহ রোগের কারণ কি ?
আমাদের শরীরে দিবারাত্রি বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে চলে ।যখন দেহে অস্বভাবিক রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তখন দেহে নানা রকম গোলযোগ দেখা যায়, যার ই একটি ফল এই মধুমেহ বা ডাইবেটিস রোগ।শরীরে যখন ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কম হয় তখন বিশেষত এই রোগ দেখা দেয়।রক্তে শর্করার পরিমাণ 100cc রক্তে 80 থেকে100mg,যখন রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তখন এই রোগ দেখা যায়। এই রোগে ওজন হ্রাস পায় ,বারবার মূত্রত্যাগ হয় ঘনঘন তৃষ্ণা পায়।ডায়াবেটিসের (মধুমেহ) কারণে প্রায়শই অন্যান্য গুরুতর এবং জটিল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, যেমন অন্ধত্ব, হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর অসুখ এবং অঙ্গচ্ছেদ।যে সব ডায়াবেটিস ইনসুলিন নির্ভর তাকে type-I ডায়াবেটিস এবং অপরপক্ষে যেসব ডায়াবেটিস ইনসুলিন নির্ভর নয় তাকে type-II ডায়াবেটিস বলে।