History Model Activity Task Part 2 Class 7 |শশাঙ্ক বৌদ্ধ বিদ্বেষী ছিলেন - এই উক্তিটি ঠিক না ভুল ?সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমনের পিছনে প্রকৃত কারণ কি ছিল বলে তোমার মনে হয় ?

আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।

History Model Activity Task Part 2 Class 7 |শশাঙ্ক বৌদ্ধ বিদ্বেষী ছিলেন - এই উক্তিটি ঠিক না ভুল ?সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমনের পিছনে প্রকৃত কারণ কি ছিল বলে তোমার মনে হয় ?


১.শশাঙ্ক বৌদ্ধ বিদ্বেষী ছিলেন - এই উক্তিটি ঠিক না ভুল ?তার উত্তরের সাপেক্ষে দুটি অথবা 3টি বাক্য লেখো।

শশাঙ্ক ধর্মীয় বিশ্বাসের ছিলেন শিবা শিবের উপাসক আর্য মঞ্জুশ্রিমূলকল্প নামক বৌদ্ধ গ্রন্থের এবং সুয়ান জাং এর বিবরণীতে তাঁকে বৌদ্ধ বিদ্বেষী বলা হয়েছে। শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা করেছিলেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন।কিন্তু শশাঙ্কের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছর পর চিনা পর্যটক ই - ৎ সিঙ্ এর নজরে পড়েছিল বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের উন্নতি। এছাড়াও সুয়ান জাং কর্ণসুবর্ন নগরীর উপকণ্ঠে রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধবিহারের সমৃদ্ধ করেছিলেন।এমনকি কর্ণসুবর্নে বৌদ্ধ ও শৈব উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ ই বসবাস করত। সুতরাং বলা যায় শশাঙ্ক বৌদ্ধ বিদ্বেষী ছিলেন না।

২.সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমনের পিছনে প্রকৃত কারণ কি ছিল বলে তোমার মনে হয় ?(৭০/৮০টি শব্দে লেখো।

সুলতান মাহমুদের ১৭ বার ভারত আক্রমন এর পিছনের মূল কারণ ছিল মন্দিরগুলি থেকে কোন সম্পদ লুন্ঠন করে ঘোষণা এবং মধ্য এশিয়ায় তার সামনে রাজ্যে ব্যয় করা আনুমানিক ১০০০ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাহমুদ প্রায় ১৭বার ভারত আক্রমণ করেন।

এই সকল ধন-সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়ে তার আমলে রাজধানীর গজনী এবং অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে ছিলেন। সেখানে প্রাসাদ ,মসজিদ ,গ্রন্থাগার তৈরি করেছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যেখানে শিক্ষকদের বেতন এবং ছাত্রদের বৃত্তির সুযোগ সুবিধা ছিল।

সুতরাং বলা যায় ভারতের আক্রমণের মূল কারণ ছিল ভারতের ধন করে নিয়ে গিয়ে নিজের সাম্রাজ্যকে সাজিয়ে তোলা বা উন্নতি সাধন করা।

৩. নীচের শব্দ গুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখো -

ক)মাৎস্যন্যায় :

মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝানো হয়। পুকুরের বড়ো মাছ যেমন ছোট মাছ গুলোকে যেমন খেয়ে ফেলে, অরাজকতার সময় তেমন ই শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের উপর অত্যাচার করতো।

খ) ব্রহ্মদেয় :

ব্রাহ্মণ দের কিছু জমি দেওয়া হতো,যার কর নেওয়া হতো না।এই জমি দেওয়াকে ব্রহ্মদেয় ব্যবস্থা বলা হতো।

গ) খিলাফত :

মহম্মদের (সা:) পর ইসলাম জগতে কে নেতৃত্ব দেবেন ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।খলিফা ই হলে ইসলামিয় জগতের ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নেতা। যেসব অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়েছিল,সেই গুলি হলো দার উল ইসলাম।খলিফা এই পুরো দারুল উল ইসলাম এর প্রধান নেতা।তাঁর অধিকারের অঞ্চলের নাম খিলাফত।

Previous Post Next Post