আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত
হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
অধ্যায়: দাঁড়াও-শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও।
১.১। "দাঁড়াও" কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত "দাঁড়াও" কবিতাটি "মানুষ বড় কাঁদছে" নামক কাব্যগ্রন্থ
থেকে নেওয়া হয়েছে।
১.২। সকাল থেকে কবির কার কথা মনে পড়ছে?
সকাল থেকে কবির পরোপকারী, হৃদয়বান মানুষের কথা মনে পড়ছে।
১.৩। কবি কিভাবে মানুষকে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন?
শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত "দাঁড়াও" কবিতায় কবি সমস্ত স্বার্থপরতা, হীনতা সরিয়ে
রেখে মানুষ হয়ে সমস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
১.৪। কবিতাটিতে "মানুষ" শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?
"দাঁড়াও" কবিতাটিতে 'মানুষ' শব্দটি সাতবার ব্যবহৃত হয়েছে।
১.৫। দল বিশ্লেষণ করো:
মানুষ; একলা; ভেসে; ভালোবেসে।
মানুষ= মা-নুষ ।(দুটি দল)।
একলা= এক-লা। (দুটি দল)।
ভেসে= ভে-সে । (দুটি দল)।
ভালোবেসে= ভা-লো-বে-সে। (চারটি দল)।
২। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
২.১। মানুষের পাশে মানুষ কিভাবে দাঁড়াতে পারে?
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় প্রতিটি মানুষকে মানবিক অনুভবের টানে প্রত্যেক
অসহায় নিঃসঙ্গ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।তিনি অনুভব করেছেন আজকের সভ্যতায়
মানুষের অন্তরাত্মা গুমরে কাঁদছে। সেই কাতর মানুষদের দুঃখ ভুলিয়ে কাছে টেনে নিতে
হবে, মানুষকে ভালোবেসে আপন করে নিতে হবে অর্থাৎ আর্থিক, মানসিক,সামাজিক প্রভৃতি
সমস্ত দিক দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২.২।"দাঁড়াও" কবিতাটির প্রথম স্তবকে প্রকাশিত কবির অন্তর্নিহিত ভাবনাটির পরিচয় দাও।
মানুষ আজ প্রকৃতি ও সমাজের বুকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করলেও স্বার্থপরতা,
বিশ্বাসহীনতা কবলে পড়ে খুবই অসহায়। এই অসহায় মানুষের একাকিত্ব ও যন্ত্রণা
কবিকে ব্যাথিত করেছে।সেই কারণেই আজ প্রতিটি মানুষেরই উচিত তার মনুষ্যত্বকে আশ্রয়
করে প্রতিটি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। কবি এই কবিতার প্রথম স্তবকে
মানুষকে এই মানবিক দায়িত্ব পালনের আবেদনটুকুই প্রকাশ করেছেন।
৩। রচনাধর্মী প্রশ্ন
৩.১।"দাঁড়াও"কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
সমাজের অবক্ষয় কবি মনকে ব্যথিত করে তুলেছে। বর্তমান সমাজে মানুষ বড়ই
একাকী ও অসহায়। তাই এই অসহায়, অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষদের আমাদের সব সময়
পাশে থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের সমাজে একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা নিজেদের
স্বার্থসিদ্ধির জন্য মনুষ্যত্বকে বিক্রি করে। অসহায়, নিপীড়িত, দারিদ্র মানুষদের
উপর অত্যাচার চালায়, মানুষকে শোষণ করে। অন্যদিকে আর একদল মানুষ আছে যারা এই
সমস্ত অসহায় নিপীড়িত অত্যাচারিত মানুষদের প্রতি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে
দিতে প্রস্তুত। তারা সর্বদা সর্বক্ষণ সাহায্য বা পরোপকার করতে ভালোবাসে।
দীন-দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাড়ায়। পরিশেষে এসে বলা যায়, সমস্ত কবিতা জুড়ে
কবি একটাই আর্জি জানিয়েছেন তা হল স্বার্থপরতা, হিংসা-মারামারি, বিশ্বাসহীনতা
সমস্ত ভুলে গিয়ে অসহায়, হতদরিদ্র, অত্যাচারিত মানুষের পাশে আমাদের সকলকে
দাঁড়াতে হবে।
<
/div>
অধ্যায়: কি করে বুঝবো- আশাপূর্ণা দেবী।
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১.১। বুকুর মায়ের নাম কি?
আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "কি করে বুঝবো" গল্পে বুকুর মায়ের নাম নির্মলা।
১.২। বুকুদের বাড়ি কলকাতার কোন অঞ্চলে?
বুকুদের বাড়ি কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে।
১.৩। ছেনু মাসিরা কোথা থেকে এসেছেন?
ছেনু মাসিরা উত্তরপাড়া থেকে এসেছেন।
১.৪। বুকুর স্কুলের নাম কি?
বুকুর স্কুলের নাম আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১.৫। অতিথিরা বিদায় নেওয়া মাত্র বুকুর মা কি করেছিলেন?
অতিথিরা বিদায় নেওয়া মাত্র বুকুর মা বুকুকে ধরে প্রহার করেছিলেন।
২। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
২.১। অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা কি করেছিলেন?
অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা চোটে মোটে রেগে গিয়েছিলেন। তিনি
বলেছিলেন ছেনু মাসীরা কি আসার আর দিন পাননি?তাদের সিনেমার টিকিট গুলো নষ্ট করার
জন্যই হইতো বেছে বেছে এই দিনটি তে এসেছিলেন।
২.২। বুকুর মতে অতিথিরা চলে গেলে কি করতে হয়?
বুকুর মতে বেড়াতে আসা লোক চলে গেলে তাদের নিন্দা করতেই হয়, বলতে হয় তাদের
ছেলেটি অসভ্য ও হ্যাংলা, মাসীরা খুব অহংকারী, তারা এসে তো মাথা কিনলেন অকারণে
অনেক পয়সা খরচ হয়ে গেল ইত্যাদি।
৩। রচনাধর্মী প্রশ্ন
৩.১। বুকু কি বুঝতে পারেনি এবং এ বিষয়ে তোমার ধারণা কি?
আশাপূর্ণা দেবী রচিত "কি করে বুঝবো" গল্পে বুকু বুঝতে পারেনি যে বড়দের কথা
কিভাবে পালন করলে তারা খুশি হয়। বুকুর বাবা মা বুকু কে সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন
যে কখনো মিথ্যা কথা বলতে নেই, কোনো কথা গোপন করতে নেই। বুকু সেই মোতাবেক কাজ
করেছে। ছেনু মাসীরা আসাই তার বাবা বিরক্ত বোধ করলে বুকু তাদের সামনেই তা বলে
দেয়। কেননা ছয় বছরের ছোট্ট শিশুটি জানে না কোন কথা গোপন করতে। বুকু নির্দোষ।কারণ
তাকে যেটা শেখানো হয়েছে সে সেটাই বলেছে। কিন্তু সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে
সত্য কথা বলার জন্য বাবা মা-র হাতে তাকে বেধরক মার খেতে হবে।