আমাদের কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হয়ে প্রশ্ন পাঠান অথবা নিচে দেওয়া নম্বরে মেসেজ করুন।
নদীর মধ্যগতি সম্পন্ন হয় মালভূমি ,সমভূমি অঞ্চলে ফলে সেখানে অনেকটা গতি কমে যায় এবং নতুন করে কাজ করতে পারে না আগে যে পাথর চূর্ণ-বিচূর্ণ মাটির ছিল তাই বহন করে অর্থাৎ মধ্যগতিতে নদী পরিবহনের কাজ করে।
নিম্ন গতি সম্পন্ন হয় সাগর বা জলভাগের কাছাকাছি সেখানে ভূমির ঢাল একেবারেই থাকে না ফলে স্রোতের বেগ কম হয় ফলে নদী ক্ষয়কাজ বা বহনকাজ কিছুই করতে পারেনা। নদীর জলে থাকা পলি, বালি নদীগর্ভে সঞ্চিত হয় তাই নিম্নগতিতে নদী সঞ্চয় কাজ করে।
1. নীচের বিকল্প গুলির মধ্যে সঠিক বিকল্পটি বেছে উত্তর লেখো।
ক.শাখা নদী বোঝাতে গেলে নিজের সঠিক ছবিটি হলো
উত্তর : দ্বিতীয় চিত্র।
খ. নিচের উল্লেখ করা ভূমিরূপ গুলির মধ্যে বেমানান হল -(অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ/জলপ্রপাত/ গিরিখাত ও ক্যানিয়ন)
খ. নিচের উল্লেখ করা ভূমিরূপ গুলির মধ্যে বেমানান হল -(অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ/জলপ্রপাত/ গিরিখাত ও ক্যানিয়ন)
উত্তর:অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ।
3.গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর মধ্যে পার্থক্য গুলি উল্লেখ করো।
গিরিখাত | ক্যানিয়ন |
---|---|
গিরিখাদ সৃষ্টি হয় নদীর উচ্চ গতিতে বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞ্চলে | ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয় বৃষ্টিহীন শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে |
গিরিখাত ইংরেজি অক্ষর 'V' আকৃতির হয় | অত্যন্ত গভীর এবং খুব বেশি সংকীর্ণ হয় বলে ইংরেজি I আকৃতির হয় |
গিরিখাতে নদীতে পার্শ্ব ক্ষয় অপেক্ষা নিম্ন ক্ষয় বেশি হয় | ক্যানিয়নে বৃষ্টিপাতের অভাবে পার্শ্ব ক্ষয় প্রায় হয় ই না নিম্নক্ষয় সর্বাধিক হয়। |
4. নদীর উচ্চগতি মধ্যগতি ও নিম্নগতির সাথে মূলত পরিবহন ও সঞ্চয় কাজ যথাক্রমে প্রাধান্য পায় কেন উল্লেখ করো ।
নদীর উচ্চ গতি সম্পন্ন হয় পাহাড়ের খাড়া ঢাল এর ফলে সেখানে নদী প্রচন্ড শক্তিতে দুরন্ত গতিতে বয়ে চলে ফলে পাহাড়ের পাথর চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ক্ষয়কাজ করে।নদীর মধ্যগতি সম্পন্ন হয় মালভূমি ,সমভূমি অঞ্চলে ফলে সেখানে অনেকটা গতি কমে যায় এবং নতুন করে কাজ করতে পারে না আগে যে পাথর চূর্ণ-বিচূর্ণ মাটির ছিল তাই বহন করে অর্থাৎ মধ্যগতিতে নদী পরিবহনের কাজ করে।
নিম্ন গতি সম্পন্ন হয় সাগর বা জলভাগের কাছাকাছি সেখানে ভূমির ঢাল একেবারেই থাকে না ফলে স্রোতের বেগ কম হয় ফলে নদী ক্ষয়কাজ বা বহনকাজ কিছুই করতে পারেনা। নদীর জলে থাকা পলি, বালি নদীগর্ভে সঞ্চিত হয় তাই নিম্নগতিতে নদী সঞ্চয় কাজ করে।
4.অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কিভাবে সৃষ্টি হয় তা ব্যাখ্যা করো।
সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতি ভূমির ঢাল কম থাকায় সামান্য বাধা পেলে নদী এঁকেবেঁকে বইতে শুরু করে। বাঁক ঘোরার সময় নদীর যে পাশে স্রোতের আঘাত খুব জোরে লাগে সেই স্থান ভাঙতে থাকে ও বিপরীতে উত্তল বাঁকে আঘাত কম লাগায় পলি,বালি জমে চড়ার সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলতে থাকলে পার্শ্ববর্তী অংশ কমতে কমতে একসময় পরস্পর জুড়ে যায় ও নদী তখন সোজা পথ ধরে চলতে থাকে । পরিত্যক্ত বাঁক টি হ্রদের আকারে পড়ে থাকে ।ঘোড়ার খুরের মত বাঁকা ভাবে এই হ্রদ অবস্থান করে বলে একে অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ বলে।![]() |
চিত্র: তৃতীয় পক্ষের রেফারেন্স |