আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
আধুনিক যুগে বিশ্বে যে শিল্প বিপ্লব ঘটে তা অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের শুরু হয় এবং পরে তা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ইংল্যান্ডের শিল্পায়ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্প বিপ্লব ঘটাতে সহায়তা করেছিল ।যেমন -
বস্ত্রশিল্পে আবিষ্কার : অষ্টাদশ শতকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বস্ত্রশিল্পে উন্নতি সহায়তা করে। এই আবিষ্কার গুলি হল জনকের ফ্লাইং শাটল (উরন্ত মাকু),হারগ্রিভস এর স্পিনিং জেনি,আর্করাট এর ওয়াটার ফ্রেম, ক্রম্পটন এর মিউল,রাইট এর পাওয়ার লুক প্রভৃতি।
বাষ্পীয় ইঞ্জিন : জেমস ওয়াট বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করলে শিল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্র গুলি চালানোর কাজে খুবই সুবিধা হয় ।
লৌহ শিল্পে প্রযুক্তি : আব্রাহাম ডারবি আবিষ্কৃত লোহা গলানোর পদ্ধতি ,জন স্মিটন আবিষ্কৃত ব্লাস্ট ফার্নেস (লোহা গলানোর চুল্লি),হেনরি বেসিমার আবিষ্কৃত ইস্পাত তৈরির কৌশল প্রভৃতি ইংল্যান্ডের শিল্পায়নে সহায়তা করে।
নিরাপত্তা বাতি : মাটির নিচে থেকে নিরাপদে কয়লা কয়লা সহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদ উত্তোলন এর ক্ষেত্রে হামফ্রে ডোভ আবিষ্কৃত সেফটি ল্যাম্প খুবই সহায়তা করে।
পরিবহন : টেল ফোর্ড ও ম্যাকাডাম আবিষ্কৃত পিচের রাস্তা,জর্জ স্টিফেনসন আবিষ্কৃত বস্পচালিত রেল ইঞ্জিন, ফুলটন আবিষ্কৃত বাষ্পীয় স্টিমার,টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন প্রভিতি ইংল্যান্ডের শিল্পায়নে খুব ই সহয়াতা করে।
উপসংহার :শিল্প বিপ্লব ইংল্যান্ডের যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।যন্ত্রের দ্বারা উৎপাদনের ফলে শিল্পউৎপদনের বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। বিক্রি পণ্যের বাজার ধরতে তারা এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।