আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
১. "কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি" কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে?
২. "ধীবর বৃত্তান্ত" নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা নির্দেশ করো।
মহাকবি কালিদাসের লেখা "ধীবর-বৃত্তান্ত" নাটকে রাজশ্যালক চরিত্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই নাটকে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নগর রক্ষায় নিযুক্ত রাজ শ্যালককে প্রথমদিকে দাম্ভিক রুপে দেখতে পাই। তিনি রক্ষীদের সঙ্গে ধীবরের পেশা নিয়ে ঠাট্টা করেছেন এবং তার পেশা কে ঘৃণা করেছেন। তবে তাকে আবার আমরা দায়িত্বশীল কর্মচারী হিসেবেও দেখেছি। তিনি মহারাজের আদেশের জন্য অপেক্ষা করেছেন কিংবা ধীবর কে তার কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। সে যাতে প্রকৃত বিচার পায় তার ব্যবস্থাও করেছেন। রাজশ্যালক রাজার আদেশ পালন করার জন্য ধীবরকে মুক্তি দিতে বলেছেন। শুধু তাই নয় ধীবরের পাওয়া আংটি টি যে রাজা কে প্রিয়জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, তা বুঝতে পেরে তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছেন। রাজার বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত ধীবরকে প্রাপ্ত পরীতোষকের অর্ধেক দান করতে দেখে রাজশ্যালকের মনে ধীবরের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা গড়ে ওঠে। ধীবরের সততা ও নির্লোভ মানসিকতা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে তার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু বলেও গ্রহণ করেছেন।
৩. ইলিয়াসের জীবনে কিভাবে বিপর্যয় ঘনিয়ে এসেছিল?
লিও তলস্তয় এর লেখা "ইলিয়াস" গল্পে আমরা দেখতে পাই দীর্ঘ ৩৫ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর ইলিয়াস প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছিল। অবস্থাপন্ন হওয়ার পর তার ছেলেরা আয়েসি হয়ে উঠলো। বড় ছেলেটি মারামারিতে প্রাণ হারালো। আবার ছোট ছেলেটি এক ঝগড়াটে বউ বিয়ে করে আনার পর তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে বাধ্য হল এবং তাড়িয়ে দেওয়ার সময় একটি বাড়ি ও কিছু গরু ,ঘোড়া দিয়েছিল। এরপরে মরক এর ফলে ইলিয়াসের অনেকগুলি ভেড়া মারা যায়। এরপর আবার পরের বছর দুর্ভিক্ষের ফলে খাদ্যের অভাবে অনেকগুলি গরু-মোষ ও মারা যায়। এর ওপর কিরবিজরা তার ভাল ঘোড়া গুলি চুরি করায় ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়ে এবং অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে ওঠে। এভাবেই ইলিয়াসের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছিল।
৪. "দাম" গল্পে সুকুমার কোন উপলব্ধিতে পৌঁছেছে?
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা "দাম" গল্পের শেষে আমরা দেখতে পাই বহু বছর পর সুকুমার তার অঙ্কের মাস্টার মশায়ের সঙ্গে কিছু কথা বিনিময়এর পর এই উপলব্ধিতে অবতীর্ণ হন যে তিনি যেন স্নেহ-মমতা-ক্ষমার এক মহাসমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন।
৫. "নোঙর" কবিতায় "বাণিজ্যতরী" বাঁধা পড়ে থাকার তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
কবি অজিত দত্ত তার "নোঙর" কবিতায় মানুষের জীবনকে বাণিজ্যতরীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই বাণিজ্য তরীতে মানুষ নিজ নিজ পসরা সাজিয়ে জীবনের পথে অগ্রসর হয়, জীবন তরী কে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে উদ্যোগ, উদ্যম ও কর্মচঞ্চলতা যা দাড়ের মত কাজ করে। কিন্তু মানুষের জীবন সর্বদা স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের সুতোই বাধা। জীবনের নানা প্রতিকূলতা মানুষকে তার কর্ম প্রচেষ্টায় বাধা দেয়। ফলে প্রার্থিত মুক্ত জীবনের পরিবর্তে বদ্ধ দৈনন্দিনতার ঘাটে মানুষের বাণিজ্যতরী বাধা পড়ে।
৬. স্বরভক্তির অপর নাম কি?
উত্তর: স্বরভক্তির অপর নাম মধ্যস্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ।
৭. উপসর্গের-ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর: উপসর্গগুলি ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে মূল শব্দের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ কিংবা সংকোচন ঘটায় । যেমন- "জানা" এই শব্দটির পূর্বে "অ" উপসর্গ বসে হয় "অজানা"।
৮. উদাহরণসহ "অপিনিহিতি" বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: "অপি" শব্দের অর্থ পূর্বে এবং "নিহিতি" শব্দের অর্থ সন্নিবেশ। অনেক সময় শব্দের মধ্যে ই কার বা উ কার কোনো ব্যঞ্জন এর সাথে যুক্ত থাকলে তা যে স্থানে উচ্চারিত হওয়ার কথা সেই স্থানে না হয়ে তার আগেই উচ্চারিত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এইভাবে যে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে তাকে অপিনিহিতি বলে। যেমন- করিয়া > কইরা।