আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ:
১.১ তপন গভীরভাবে সংকল্প করে-
ক) আর কখনো লেখা ছাপানোর জন্য নিজে কোথাও যাবেনা।
খ) মেসো কে নয়, মাসিকেই লেখা জমা দেবে।
গ) ডাকে লেখা পাঠাবে।
ঘ) তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে।
উত্তর-ঘ) তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে।
১.২ "ডুবে ছিল ধ্যানে"- কত দিনের ধ্যান?
ক)এক যুগ
খ) শতবর্ষ
গ) হাজার বছর
ঘ) যুগের পর যুগ ধরে।
উত্তর-গ) হাজার বছর
১.৩ আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল-
ক) ঝরনা কলম
খ) রিজার্ভার পেন
গ) কুইল
ঘ) স্টাইলাস
উত্তর-খ) রিজার্ভার পেন
১.৪ যে কর্তা অন্যকে দিয়ে কাজ করায়, সে হলো-
ক) প্রযোজ্য কর্তা
খ) প্রযোজক কর্তা
গ) উহ্য কর্তা
ঘ) অনুক্ত কর্তা
উত্তর-খ) রিজার্ভার পেন
২. কমবেশি ২০ টি শব্দে উত্তর লেখ:-
২.১ কে কার বুকের থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল?
উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা "আফ্রিকা" কবিতায় আফ্রিকা ভূখণ্ডকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভয়ঙ্কর উত্তাল সমুদ্র পৃথিবীর পূর্ব দিকের দেশগুলি থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
২.২ "ক্যালিগ্রাফিস্ট" কাদের বলে?
উত্তর: প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার রচিত "হারিয়ে যাওয়া কালি কলম" প্রবন্ধে ক্যালিগ্রাফিস্ট বলতে যারা ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপিকুশলী তাদের বোঝানো হয়েছে।
২.৩ "বিকেলের চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা"- কোন কথাটা?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের নায়ক তপন তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি লেখা লেখে। তপনের লেখা গল্পটি মেসো মশাইয়ের "সন্ধ্যাতারা" পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথায় বিকেলের চায়ের টেবিলে ওঠে।
২.৪সম্বন্ধ পদ কে কারক বলা যায় কিনা কারন সহ লেখ।
উত্তর: আমরা জানি কারক হল নাম পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের প্রত্যক্ষ সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু সম্বন্ধ পদে সম্বন্ধ পদের সঙ্গে ক্রিয়ার প্রত্যক্ষ কোন সম্পর্ক না থাকাই সম্বন্ধ পদ কে কারক বলা যায় না।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০টি বাক্যে উত্তর লেখ:
৩.১ "পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে!"-তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ টি লেখ।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী রচিত "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন তার লেখক ছোট মেসো কে দেখে উৎসাহিত হয়ে তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প লিখে ফেলে। তপনের ছোট মেসো বই লিখতেন এবং সেই বই ছাপা ও হতো। তপনের লেখা গল্পটি পড়ে তার ছোট মেসো তপনকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে "সন্ধ্যাতারা" পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছাপিয়ে দেবে। এরপর তপন প্রতীক্ষায় থাকে তার ছাপা গল্প দেখার জন্য। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একদিন ছোট মাসি ও মেসো এল তপন দের বাড়ি বেড়াতে হাতে একখানি সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে। পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। সে ভাবে ছাপার অক্ষরে তপন কুমার রায়ের লেখা গল্প হাজার হাজার ছেলের হতে ঘুরছে। এই ঘটনাকেই তপন অলৌকিক মনে করেছে।
৩.২ "আমরা ভিখারী বারোমাস"-এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখ।
উত্তর: উপরিউক্ত উক্তিটি কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি"কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার অনেক সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এই অস্থির সময়ের প্রেক্ষাপটে কবি সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বিপুল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করে উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
কবির উপলব্ধি আজকের পৃথিবী পরিচালিত হয় ক্ষমতাবান শাসকদের দ্বারা। পৃথিবীর ইতিহাসে যারাই যখন ক্ষমতায় থেকেছে ইতিহাসকে তারা তখন নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত করেছে। সাধারণ মানুষ সেখানে উপেক্ষিত। অন্যের দয়ার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকা ছাড়া তার অন্য কোন গতি নেই। তাই আমরা অসহায় এর মত অন্যের ইতিহাসকে নিজের ইতিহাস বলে মেনে নিই। ভিখারি বৃত্তিতে জীবন কাটানো অভ্যেস হয়ে যাওয়ায় নিজেদের ইতিহাসের খোঁজ টুকুও আমরা করিনা। এই হীন কাজের দ্বারা জীবিকা নির্বাহ কে কটাক্ষ করে কবি উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
৪. কমবেশি ১৫০ শব্দে নিচের প্রশ্নটির উত্তর লেখ:
৪.১ "আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই"-প্রবন্ধ অনুসারে কালি তৈরি পর্বের বর্ণনাটি নিজের ভাষায় লেখ।
উত্তর: "হারিয়ে যাওয়া কালি কলম" প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক তার ছেলেবেলায় কালি তৈরি নিয়ে প্রচলিত ছড়ার কথাটি বলেছেন। যথা-
"তিল ত্রিফলা শিমুল ছালা
ছাগ দুগ্ধে করি মেলা
লৌহ পাত্রে লোহায় ঘসি
ছিড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।"
এই ছড়ায় তিল, ত্রিফলা, শিমুল গাছের ছাল, ছাগলের দুধ ইত্যাদি বিভিন্ন উপকরণের কথা আছে। এতগুলি উপকরণ জোগাড় করে কালি তৈরি খুব সহজ কাজ ছিল না। তাই লেখক অন্য উপায়ে কালি তৈরি করতেন।
লেখক এর বাড়ির রান্না হত কাঠের আগুনে। তাতে কড়াই এর তলায় জমে থাকা কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে পাথরের বাটিতে জলে গুলে রাখা হতো। কখনো কখনো আতপ চাল ভেঙ্গে পুড়িয়ে এবং তা বেটে ওই জল মেশানো হতো। এগুলি ভালো করে মিশিয়ে একটি খুন্তির গোড়ার দিক পুড়িয়ে লাল করে জলে স্পর্শ করলে তা টগবগ করে ফুটত। তারপর তা ছেকে মাটির দোয়াতে ভরে নিলেই তৈরি হয়ে যেত কালি।