বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ দশম শ্রেণী | অনুক্ত কর্তা বলতে কি বোঝো?তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?

 আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।

বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ দশম শ্রেণী | অনুক্ত কর্তা বলতে কি বোঝো?তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?

নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।

১. "তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন"-তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কি?

উত্তর: উপরিউক্ত উক্তিটি আশাপূর্ণা দেবীর "জ্ঞানচক্ষু" গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।

             "জ্ঞানচক্ষু" গল্পের নায়ক তপন একটি গল্প লেখে। সেটি তার ছোট মেসোর উদ্যোগে "সন্ধ্যাতারা" পত্রিকায় ছাপানো হয়। তপন তার মাকে নিজের লেখা গল্প পড়ে শোনাতে গিয়ে দেখে মেসো গল্পটি আগাগোড়াই সংশোধন করেছে। নিজের লেখা গল্প পড়তে গিয়ে যখন অন্যের লেখা গল্প পড়তে হয় তখন তার থেকে অপমানের কিছু থাকেনা। লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে এবং তার মনে হয় এই দিনটিই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।

২. "আমাদের ইতিহাস নেই"- এই উপলব্ধি টির মর্মার্থ লেখ।

উত্তর: উপরিউক্ত উদ্ধৃতিটি সমাজ সচেতন কবি শঙ্খ ঘোষের "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

               ইতিহাস হলো প্রকৃতপক্ষে কোন জাতি বা সভ্যতার আত্মবিকাশের পথ ও পর্যায়ের কাহিনী। তাই অতীতের উপরে দাঁড়িয়ে যখন বর্তমানকে তৈরি করা যায় তখনই তা যথাযথ হয়। কিন্তু যখন সেই ইতিহাস নিয়ন্ত্রিত হয় কোন ক্ষমতাবান গোষ্ঠী, ধর্মসম্প্রদায় কিংবা রাজনৈতিক দ্বারা তখন ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে। ক্ষমতাবানরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলে। যথার্থ মানুষের ইতিহাস কোন দাম পায় না। প্রথাগত ইতিহাস মানুষকে অন্ধ করে তোলে, চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকে নিজেদের ইতিহাস বলে মেনে নিতে হয়। ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে বর্তমানের সঙ্কটে তাই বাঁচার পথ খুঁজে পাওয়া ক্রমশ দুষ্কর হয়ে ওঠে। তাই কবি বলেছেন- আমাদের ইতিহাস নেই।

৩. "এল মানুষ ধরার দল"- তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল?

উত্তর: আলোচ্য পঙক্তিটিতে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "মানুষ ধরার দল" বলতে উন্নত ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি যারা আফ্রিকাকে আক্রমণ করেছিল তাদের কথা বুঝিয়েছেন।

         "আফ্রিকা"কবিতায় আমরা দেখতে পাই একসময় ক্ষমতালোভী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি আধিপত্য স্থাপনের জন্য আফ্রিকায় পৌঁছায়। তাদের আগমনের পূর্বে আফ্রিকার প্রকৃতি সবুজে আচ্ছন্ন ছিল। ঘন অরণ্যে ঘেরা ভূখণ্ডে আফ্রিকার জন্ম। জন্মলগ্নে আফ্রিকার ভৌগলিক পরিবেশ ছিল অত্যন্ত প্রতিকূল। বাকি পৃথিবীর কাছে সে ছিল অপরিচিত। স্বল্প আলোকিত প্রদেশে নিভৃতের অবকাশে আফ্রিকা দুর্গমের রহস্য কে উপলব্ধি করতে পেরেছিল, আর সেইসঙ্গে চিনে নিতে পেরেছিল জল-স্থল-আকাশের দুর্বোধ্য রহস্যকে।

৪. "সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতো ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান"-প্রবন্ধ অনুসারে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেছেন "হারিয়ে যাওয়া কালি কলম" প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার।

      আলোচ্য প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক নিখিল সরকার নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করেছেন। এক সময় রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে লেখকরা কলম তৈরি করতেন। কালি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই মুখটা চিরে দেওয়া হতো। লেখা হতো কলার পাতায়। কালি ও নিজেরাই তৈরি করতেন। বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি আর কলা পাতা তে লেখক এর প্রথম লেখালেখি।

      শহরের হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে বাঁশের বা কঞ্চির কলম এবং কালি তৈরি বন্ধ হয়ে গেল। কাচের দোয়াতে তখন এই কালি বানানো হতো কালি ট্যাবলেট গুলে। তৈরি কালি পাওয়া যেত দোয়াতে। ফাউন্টেন পেনের জন্য ছিল বিদেশি কালি, রকমারি নিব ও হ্যান্ডেল। ফাউন্টেন পেন কে প্লাটিনাম, সোনা ইত্যাদি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হতো। এরপর দোয়াত কলম হয়ে গেল ঘর সাজানোর আসবাব। কিন্তু ফাউন্টেন পেন প্রচলিত হওয়ার আগে পর্যন্ত লেখালেখি ছিল রীতিমতো ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান।

৫. "সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে"- কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতির বিবরণ দাও।

উত্তর: পাবলো নেরুদা তার "অসুখী একজন"কবিতাটিতে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এক চিরন্তন ভালোবাসার কথা তুলে ধরেছেন। ফলে যুদ্ধের বীভৎসতা, তার ধ্বংসাত্মক চেহারা অত্যন্ত প্রকট হয়ে উঠেছে তার কবিতায়। শিশু হত্যা,আশ্রয় হীনতা- যুদ্ধের ভয়াবহতা কে আরো স্পষ্ট করে দেয়। মারণ যুদ্ধের স্পর্শে ছারখার হয়ে যায় পৃথিবী, ধ্বংস হয়ে যায় সবকিছু। যুদ্ধের আগুনে দগ্ধ হয়ে যায় চারপাশ। মন্দিরের ভিতরে প্রতিমার সঙ্গে ঈশ্বরের ঈশ্বরত্ব ধ্বংস হয়। যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যায় কবির স্মৃতি। তার ফেলে আসা সুন্দর বাড়ি, সেই বারান্দা যেখানে তিনি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমাতেন, গোলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জল তরঙ্গ সবকিছুই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় অর্থাৎ যা কিছুই ছিল কবির ফেলে আসা যুদ্ধ পূর্ববর্তী জীবনের স্মৃতি সবকিছুই চূর্ণ হয়ে যায়।

৬.অনুক্ত কর্তা বলতে কি বোঝো?

উত্তর: কর্মবাচ্যে অথবা ভাববাচ্যে বিভক্তিযুক্ত কিংবা অনুসর্গ যুক্ত কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলা হয়।

যেমন- মহাশয়ের নিবাস কোথায়?(ভাববাচ্যে)

তোমার দ্বারা এ কাজ হবেনা।(কর্মবাচ্যে)

৭. অকারক পদ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: অকারক পদ দুই প্রকার। যথা- ক)সম্বন্ধ পদ, ও খ)সম্বোধন পদ।

৮.তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হলে তাকে তির্যক বিভক্তি বলে। যেমন- "এ" ,"য়" ,"তে" ইত্যাদি বিভক্তি হল তির্যক বিভক্তি।

Previous Post Next Post