ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ১ দশম শ্রেণী | চুয়াড় বিদ্রোহ কে চুয়াড় বিপ্লব বললে ভুল হবে কেন?

আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে। 

অধ্যায়:  

  •               ১. ইতিহাসের ধারণা
  •               ২. সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা
  •               ৩. প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

history model activity task part 1 class 10


 ক) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। (৩ অথবা৪ টি বাক্যে)

 ১. স্মৃতিকথা কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে উদাহরণ সহ লেখ।

 উত্তর: ইতিহাস লেখার জন্য বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করতে হয়। তারমধ্যে লিখিত উপাদান হলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালীন ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে গুলির গুরুত্ব অপরিসীম।

   স্মৃতিকথা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জীবনস্মৃতি" গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তি ইতিহাস ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই গ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথের ছোট বেলার শিক্ষারম্ভ, ঠাকুরবাড়ির বর্ণনা, সাহিত্যচর্চার কথা জানা যায়।

২. বাংলার নবজাগরণ ছিল কলকাতা শহর কেন্দ্রিক- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: উনিশ শতকে বাংলায় সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তির ক্ষেত্রে যে মৌলিক পরিবর্তন ঘটে তাকে বাংলার নবজাগরণ বলে গণ্য করা হয়। এই নবজাগরণের উদ্ভব হয়েছিল কলকাতায়।

          উনিশ শতকে নবজাগরণ কলকাতা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণের ফলে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা, ধর্মীয় উদারতা, সমাজ সংস্কার, আধুনিক সাহিত্য প্রভৃতির ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি ঘটেছিল। মূলত বাংলায় নবজাগরণের সূচনা হয় রাজা রামমোহন রায়ের সময় থেকে এবং শেষ ধরা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কালে।

৩. "চুয়াড় বিদ্রোহ" কে "চুয়াড় বিপ্লব" বললে ভুল হবে কেন?

উত্তর: চুয়াড় ছিল বাংলার এক আদিবাসী সম্প্রদায়। তারা বর্তমান মেদিনীপুর জেলার উত্তর পশ্চিমাংশ এবং বাঁকুড়া জেলার দক্ষিণ পশ্চিমাংশে বাস করত।

অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে চুয়াড়রা ইংরেজদের শাসন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু করে তা "চুয়াড় বিদ্রোহ" নামে পরিচিত। 

       চুয়াড়রাই শুধুমাত্র এই আন্দোলনে যোগ দেয়। উচ্চপদস্থ মানুষ এই বিদ্রোহে যোগ দেয়নি। এছাড়াও এই বিদ্রোহের প্রভাব ছিল সীমিত এলাকায়।

         ব্রিটিশ সরকার চুয়াড় বিদ্রোহ দমনের জন্য বিভিন্ন কূট কৌশল প্রয়োগ করেন। তারা বিভেদ নীতির প্রয়োগ করে চুয়াড় সরদার ও পাইকদের পুলিশের কাজে নিয়োগ করে বিদ্রোহীদের নিস্তেজ করে দেয়। এভাবে অর্থের দ্বারা স্বাধীন চুয়াড়দের ক্রয় করে ব্রিটিশ সরকার "চুয়াড় বিদ্রোহ" দমন করে। তাই সবদিক থেকে বিচার করে বলা যায় "চুয়াড় বিদ্রোহ" কে "চুয়াড় বিপ্লব" বললে ভুল হবে।

খ) ভারতের মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থান গুলি চিহ্নিত করো ও নাম লেখ:

সাঁওতাল বিদ্রোহের এলাকা, ফরাজি আন্দোলনের কেন্দ্র, কোল বিদ্রোহের এলাকা, মুন্ডা বিদ্রোহের অঞ্চল, সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের এলাকা।

গ) উপযুক্ত তথ্য সহযোগে নিচের ছকটি পূরণ করো:

উত্তর: 

সাময়িক পত্র/সংবাদপত্র/সাহিত্য সম্পাদক সময়কাল বিষয়বস্তু
বঙ্গদর্শন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ স্বদেশ চেতনা এই পত্রিকার বিষয়বস্তু।
সোমপ্রকাশ দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ সমাজ সংস্কার, সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন।
সম্পাদক উমেশচন্দ্র দত্ত ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ নারী শিক্ষা ও নারী মুক্তি।
সময়কাল হরিনাথ মজুমদার ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ গ্রামীণ সমাজ ও মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ।
বিষয়বস্তু কালীপ্রসন্ন সিংহ ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ ইংরেজি শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের স্বরূপ।

ঘ) নির্ভুল তথ্য দিয়ে ফাঁকা ঘরগুলো পূরণ করে-

উত্তর:

বিদ্রোহ আন্দোলন সময়কাল অঞ্চল নেতৃত্ব কারণ প্রভাব
সাঁওতাল ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দ সাঁওতালরা বীরভূম, মানভূম, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি অঞ্চলে বসবাস করত। সিধু,কানহু মহাজন ও ইংরেজদের অত্যাচার। সাঁওতাল পরগনা গঠন ও মহাজনদের ক্ষমতা হ্রাস।
মুন্ডা ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ রাচি,সিংভূম অঞ্চল। বিরসা মুন্ডা খুৎকাঠি প্রথা বা ধর্মান্তরিত করা। খুৎকাঠি প্রথা পরিবর্তন ও প্রজাস্বত্ব আইন পাস, বেগার প্রথার অবসান।
নীল ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দ নদিয়া বারাসাত যশোর। বিষ্ণুচরন ও দিগম্বর বিশ্বাস। নীলকর সাহেবদের অত্যাচার, দাদন প্রথা। নীল কমিশন গঠন ও কৃষক শিক্ষিত সম্প্রদায়ের ঐক্য।
ওয়াহাবি ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দ নারকেলবেড়িয়া। তিতুমীর ইসলাম ধর্মের মুক্তি করণ ও কুসংস্কার রোধ। মুসলমান সমাজ সংস্কার।
ফরাজী ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ ঢাকা, ফরিদপুর। দুদুমিয়া বা মোহাম্মদ মহসিন। ইংরেজদের হাত থেকে মুক্তি। ব্রিটিশবিরোধী কৃষক আন্দোলন গঠন।
Previous Post Next Post