History Model Activity Task Part 3 Class 9 | রিসিজিমেন্টো কি ?ঘেটো কি?ফ্যাক্টরি প্রথা কি ?

আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।

History Model Activity Task Part 3 Class 9 | রিসিজিমেন্টো কি ?ঘেটো কি?ফ্যাক্টরি প্রথা কি ?

 1. ক. ইয়ং ইতালি কি?

ইয়ং ইতালি হলো ইতালির ঐক্য আন্দোলনের নেতা জোসেফ ম্যাৎসিনি  কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত(১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দ) একটি যুব সংগঠন। চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত সকলেই এর সদস্য হতে পারত ।

খ. জোলভেরাইন এর রাজনৈতিক গুরুত্ব কী ছিল?

রাজনৈতিক ইতিহাসে জোলভেরাইন এর গুরুত্ব ছিল- 

  • i.  জোলভেরাইন এর মাধ্যমে জার্মানিতে দ্রুত ও অর্থনৈতিক বিকাশের ফলে জার্মানির শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • ii. জার্মান রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগ ও ভাবের আদান-প্রদান বৃদ্ধি পায়।
  • iii. জোলভেরাইন পরিচালনায় নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে প্রাশিয়া জার্মানির রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করে।

গ. রিসিজিমেন্টো কি ?

ইতালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আগে ইতালীয়দের মনে জাতীয় চেতনার সঞ্চার ঘটে।তারা ইতালিতে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন যা রিসিজিমেন্টো বা পুনর্জাগরণ নামে পরিচিত।

ঘ. ঘেটো কি?

ঘেটো হল শহরের কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল, সামাজিক অর্থনৈতিক বা ধর্মীয় সংখ্যালঘু কিছু মানুষ বসবাস করে ভেনিস শহরে- ইহাদের বসবাসের এলাকা নির্দিষ্ট করতে ঘেটো শব্দটি ব্যবহার করা হয়। পরে বহিরাগত মানুষদের নির্দিষ্ট অঞ্চলকে ঘেটো বলা হয়।

ঙ. ফ্যাক্টরি প্রথা কি ?

শিল্প বিপ্লবের ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বৃহৎ শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে। এসব কল-কারখানা গুলি যান্ত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিল্পোৎপাদনের গুণগত ও পরিমাণগত ব্যাপক উন্নতি ঘটানো সম্ভব হয়। বৃহৎ কল-কারখানা ভিত্তিক এই ব্যবস্থা "ফ্যাক্টরি প্রথা" নামে পরিচিত।

2. ক ও খ স্তম্ভের সাথে মেলাও।

ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
i. মেটারনিক ব্যবস্থা d. ইউরোপে পুরাতন তন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠা
ii. বিসমার্ক c. রক্ত ও লৌহ নীতি
iii.জার দ্বিতীয় আলেকজেন্ডার a. ভূমি দাসদের মুক্তিদান
iv. মার্কস ও এঞ্জেল e.কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো
v. প্রুভো নৈরাজ্যবাদ


3.ক. বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।

3. খ. ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো কেনো চিন ও আফ্রিকাকে ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছিল? 

চীনের ব্যবচ্ছেদ:- 

জনৈক ঐতিহাসিক হেরল্ড ভিন্যাক এর ভাষায় তরমুজ কে যেমন লোকে খণ্ড খণ্ড করে খায় সেইভাবে ইউরোপের ঔপনিবেশিক শক্তি গুলি চিনা তরমুজ কে খন্ড খন্ড করে আহার করতে উদ্যত হয়।

ব্রিটেন:- প্রথম ইঙ্গ-চীন যুদ্ধে (১৮৩৯-৪২) চীনকে ব্রিটেন পরাজিত করে। নানকিং এর সন্ধি দ্বারা হংকং বন্দর, ক্যান্টন বন্দর সহ পাঁচটি বন্দর ব্রিটেন হস্তগত করে।

জার্মানি:- জার্মানি চীনের কিয়াওচাও বন্দর দখলের পর শানটুং প্রদেশ তার অধিকার কায়েম করে।

রাশিয়া:- রাশিয়া পোর্ট আর্থার বন্দর ও লিয়াও টুং উপদ্বীপ দখল করে। এছাড়া রাশিয়া চীনে বক্সার বিদ্রোহের সুযোগ গ্রহণ করে মাঞ্চুরিয়া দখল করে নেয়।


আফ্রিকা ব্যবচ্ছেদ:- 

উনবিংশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত ইউরোপের কাছে আফ্রিকা ছিল অন্ধকারময় মহাদেশ। আফ্রিকা সম্বন্ধে জানার পরেই ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আফ্রিকা সম্বন্ধে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ইউরোপ আফ্রিকার দেশগুলিতে নিজ অধিকার কায়েম করতে শুরু করে।

দ্বিতীয় লিওপোল্ড:- আফ্রিকায় উপনিবেশ বিস্তারের ক্ষেত্রে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ফ্রান্স কঙ্গো নদীর উত্তরে এবং জার্মানি টোগোল্যান্ড, ক্যামেরুন প্রভৃতি অঞ্চলে উপনিবেশ বিস্তার করে।

বার্লিন সম্মেলন:- ১৮৮৪-৮৫ সালে বার্লিনে এক সম্মেলনে আফ্রিকায় ইউরোপীয় শক্তি গুলি উপনিবেশ স্থাপনে সবুজ সংকেত লাভ করে।১৮৮৫ সালে বার্লিন কংগ্রেসে আফ্রিকাকে ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার পাকাপাকি ব্যবস্থা করে।

Previous Post Next Post