আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
নীচের প্রশ্ন গুলির উত্তর লেখো :
১. নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে অযৌন ও যৌন জননের পার্থক্য উল্লেখ করো জনিতৃ জীবের সংখ্যা, গ্যামেট উৎপাদন, মাইটোসিস ও মিয়োসিস এর উপর নির্ভরতা। "কোনো কোনো প্রাণী কোরকোদগম প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে" - বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
বিষয় | অযৌন জনন | যৌন জনন |
---|---|---|
জনিতৃ জীবের সংখ্যা | অযৌন জননে জনিতৃ জীবের সংখ্যা হয় একটি। | যৌন জননে জনিতৃ জীবের সংখ্যা হয় দুটি। |
গ্যমেট উৎপাদন | এই ধরনের জননে গ্যামেট উৎপাদন হয় না। | এই ধরনের জননে পুং গ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেট উৎপাদন হয়। |
মাইটোসিস ও মীয়সিসের উপর নির্ভরতা | এই প্রকার জননে কেবল মাইটোসিস কোষ বিভাজন হয়। | এই প্রকার জননে গ্যামেট উৎপাদন কালে মিয়সিস এবং জাইগোট থেকে অপত্য জীব উৎপাদন কলে মাইটোসিস কোষ বিভাজন ঘটে। |
"কোনো কোনো প্রাণী কোরকোদগম প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে"- বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার:
আমরা জানি ইস্ট, হাইড্রা কোরকোদগম প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে।
ইস্টের কোরকোদগম :
এককোষী ছত্রাক ইস্ট এর অসমান বিভাজনের ফলে একটি ক্ষুদ্র করোক (bud) সৃষ্টি হয়। করোকটি মাতৃদেহে সংলগ্ন থাকে।পরে মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য ইস্ট গঠন করে।
হাইড্রা এর কোরকোদগম :
হাইড্রা এর দেহের বাইরের দিকে কোরক সৃষ্টি হয়। কোরক টি বৃদ্ধি হলে কোরকের মুখোছিদ্র ও তাকে বেষ্টন করে কর্ষিকা সৃষ্টি হয়।কোরক টি মতৃদেহে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য হাইড্রা সৃষ্টি করে।
২.সপুষ্পক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে নিষেক এবং নতুন উদ্ভিদের গঠন কিভাবে হয় টা একটি রেখাচিত্র এর সাহায্যে উপস্থাপন করো।ইতর পরাগযোগের দুটি অসুবিধা উল্লেখ করো।
পরাগরেণু >পরাগরেণু এর গর্ভমুন্ডতে স্থানান্তরন > গ্যামেট উৎপাদন > পুং ও স্ত্রী গ্যামেট এর মিলন ও নিষেক > জাইগোট > ভ্রূণ > ফল > বীজ >অঙ্কুর > শিশু উদ্ভিদ
ইতর পরাগযোগের দুটি অসুবিধা :
- i) পরাগযোগে বাহকের ওপর নির্ভরশীলতার জন্য অনেক সময় পরাগযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।অধিক সংখ্যক পরাগরেণু নষ্ট হয়।
- ii)বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের মধ্যে ইতর পরাগযোগের ফলে প্রজাতির বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়।জনিতৃ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রিত হয় না।
৩. মাইক্রোপ্রপাগেশন পদ্ধতিতে ' পৃথককৃত কোষ বা কলার ছোট টুকরো থেকে কিভাবে ' এমব্রেয়েড' তৈরি হয় টা ব্যাখ্যা করো।জনন গুরুত্ব উল্লেখ করো।
আমরা জানি যে ' মাইক্রো ' কথার অর্থ অতি ক্ষুদ্র। মাইক্রোপ্রপাগেশন শব্দটিতে মাইক্রো পৃথকৃত কোষ বা কলার ছোট টুকরোকে বোঝায়।এই ছোট টুকরো বা উপাদানটি কে বিশেষ কর্ষণ দ্রবণে বৃদ্ধি ঘটানো হয়।কর্ষণ দ্রবণটি পরিপোষক এবং আক্সিন ও সাইটোকাইনিন হরমোন দিয়ে তৈরি করা হয় । এই ধরনের পদ্ধতিকে কলা কর্ষণ বলা হয় ।এই কলা কর্ষণ পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বংশ বিস্তার ঘটানো হয় ।
পদ্ধতি ব্যাখ্যা : -
- ১. প্রথমে উপযুক্ত উদ্ভিদ অঙ্গ - কলা, কোষ,মুকুল যেকোনো নির্বাচন করতে হবে ।
- ২.এরপর ঐ পৃথক কৃত কোষ বা কলার ছোট টুকরো বা উপাদান টিকে কর্ষণ দ্রবণে বৃদ্ধি ঘটাতে হবে।সেই সঙ্গে ক্যালাস গঠন করতে হবে।
মুকুল বা কলা > ক্যাল্যাস > এমব্রয়েড > প্ল্যান্টলেট > পরিণত উদ্ভিদ
জননের গুরুত্ব :
- ১.জনন পদ্ধতির দ্বারা জীবকূল বংশ বিস্তারের মাধ্যমে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে।
- ২. জননের মাধ্যমে জীব নিজ প্রজাপতির সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
- ৩. জননের ফলে জীবের মৃত্যুজনিত সংখ্যা হ্রাস পূরণ করে পৃথিবীতে জীবজগতের ভারসাম্য বজায় রাখে।