WB Madhyamik Geography Suggestion 2021 | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021



WB Madhyamik Geography Suggestion 2021 | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021

WB Madhyamik Geography Suggestion 2021 | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021 প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো । আপনারা যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল 2021 পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

WB Madhyamik Geography Suggestion 2021 | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021


১. পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কী ?

শীতকালে মাঝে মাঝে দু- চারদিন একটানা আকাশ মেঘলা থাকে ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়, একে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বলে।

বৈশিষ্ট্য:

  • i) ভূমধ্যসাগর থেকে পশ্চিমা বায়ু এসে  বৃষ্টিপাত ও পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত ঘটায়।
  • ii) এর প্রভাবে শীতের প্রকোপ আরো বেড়ে যায়।
  • iii) শীতকালে ফসল চাষ এই বৃষ্টি সাহায্য করে।

২.সবুজ বিপ্লব কি ?

উন্নত আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ে কৃষি উৎপাদনে যে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটে তাকে সবুজ বিপ্লব বলে। ১৯৫০ এর দশকে মেক্সিকোতে উচ্চ ফলনশীল গম বীজ উদ্ভাবন করে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেন ড.নরম্যান আরনের্স্ট বোরলগ। ভারতে ড. সন্নিনাথন কে সবুজ বিপ্লবের জনক বলা হয়।

৩.রবি ও খারিফ শস্য কাকে বলে ?

রবি শস্য:

 শীতকালে শুষ্ক শীতল আবহাওয়া জলসেচের সাহায্য যেসব শস্য চাষ করা হয়, তাদের রবিশস্য বলে। এখানে ' রবি ' শব্দটি আরবি শব্দ     'রাবিয়া  ' থেকে এসেছে, যার অর্থ বসন্ত ঋতু  অর্থাৎ বসন্ত ঋতুতে কাটা হয়, তাকে রবিশস্য বলে।

যেমন: গম, জব, ছোলা,  বোরো ধান প্রভৃতি।

খারিফ শস্য:

গ্রীস্মের শেষে বর্ষাকালে বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করে যেসব শস্য চাষ করা হয় এবং শীতের শুরুতে কাটা হয়, তাদের খারিফ শস্য বলে।

 যেমনঃ ধান, পাট, গম, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, ইত্যাদি। জনঘনত্ব

 ৪. অনুসারী শিল্প কী ?

কোন বৃহদায়তন শিল্প থেকে যেসব দ্রব্য উৎপাদিত হয় সেইসব শিল্পজাত দ্রব্যকে কাঁচামালরূপে ব্যবহার করে গড়ে ওঠা ছোট ছোট শিল্পকে অনুসারী শিল্প বলে।

 উদাহরণ: পেট্রোরসায়ন শিল্প থেকে উন্নত প্লাস্টিক বা pvc শিটকে ব্যবহার করে বহু প্রকার প্লাস্টিক (চেয়ার, টেবিল, বালতি, মগ প্রভৃতি) শিল্প গড়ে উঠেছে।

  ৫. জনঘনত্ব কি ?

কোন দেশ বা অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা এবং ওই দেশ বা অঞ্চলের মোট আয়তনের অনুপাত কে জনঘনত্ব বলে। অর্থাৎ কোন দেশের প্রতি বর্গ একক স্থানে যত জন মানুষ বসবাস করে, তাকে ওই দেশের জনঘনত্ব বলে।

বৈশিষ্ট্য:

  • i) জনঘনত্ব সর্বদা পূর্ণমানে প্রকাশ করা হয়। 
  • ii) কোন দেশের জনসংখ্যা বন্টনের তারতম্যর সূচক হল জনঘনত্ব।

৬. পিক্সেল (pixel) কী ?

উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম উপাদান যার একটি নির্দিষ্ট মান এবং ঠিকানা (অক্ষাংশ/দ্রাঘিমাংশ এবং সারি/ স্তম্ভ) থাকে, তাকে পিক্সল বলে। এক একটি পিক্সল ভূপৃষ্ঠের এক নির্দিষ্ট অংশের  প্রতিনিধিত্ব করে।

৭. নিষ্ক্রিয় সেন্সর কী ?

যে সেন্সরগুলি কোন বস্তু বা উপাদানের তথ্যসংগ্রহের জন্য সৌর শক্তির প্রতিফলনের উপর নির্ভর করে থাকে, সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় সেন্সর বলে। এগুলি রাত্রে বা অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না।

 উদাহরণ: ফটোগ্রাফিক ক্যামেরা, টিভি ক্যামেরা প্রভৃতি।

 ৮. ঘূর্ণবাতের  চক্ষু কাকে বলে ?

ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রস্থলে যে শান্ত, মেঘহীন আকাশের ক্ষুদ্র বৃত্তাকার সর্বাধিক উষ্ণ বলয় সৃষ্টি হয়, তাকে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলে।

 ৯. শৈবাল সাগর কি?

সমুদ্রের মাঝের স্রোতহীন শান্ত শৈবাল বা আগাছাপূর্ণ অংশকে শৈবাল সাগর বলে।

বৈশিষ্ট্য:

  • i) শৈবাল সাগরের জলের উষ্ণতা ও লবনতা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়।
  • ii) শৈবাল সাগরে জাহাজ চলাচলে অসুবিধা হয়।

১০. হিমপ্রাচীর কী ?

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে উত্তর দিক থেকে আগত সবুজ বর্ণের শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত এবং দক্ষিণ দিক থেকে আগত নীল বর্ণের উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত সীমারেখায় পরস্পর মিলিত হয়, তাকে হিমপ্রাচীর বলে।

বৈশিষ্ট্য:

  • i) সামুদ্রিক মগ্নচড়ার সৃষ্টি হয়।
  • ii) ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে।
  • iii)  শীতল স্রোতবাহিত হিমশৈল গুলি উষ্ণস্রোতের প্রভাবে গলে যায়।

১১.কৃষ্ণ মৃত্তিকার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ ?

  • i) টাইটানিয়াম অক্সাইড ও ক্যালসিয়াম অক্সাইড থাকে।
  • ii) জল ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি।
  • iii) এই মাটি খুব উর্বর হয়।

১২. জায়র কী ?

নিয়ত বায়ুপ্রবাহের (আয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু) জন্য ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় ও মেরুদেশীয় নিম্নচাপ বলয় এর চারপাশে সমুদ্রের জলরাশি এর মধ্যে যে চক্রাকার গতি দেখা যায় তাকে জায়র  বলে।

 বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি মহাসাগরের সমুদ্রের জলরাশি গতিপথ অনুসরণ করলেই এই গতির অস্তিত্ব চোখে পড়ে।

 ১৩. সি জি গি কী ?

 সূর্য পৃথিবী ও চাঁদের কেন্দ্রবিন্দু একই সরলরেখায় অবস্থান করলে তাকে সিজিগি বলে।

 ১৪. বানডাকা কি ?

মূলত ভরা কোটাল এর সময় সমুদ্রের জল নদী মোহনার মধ্য দিয়ে প্রবলবেগে প্রায় 5 থেকে 7 মিটার উঁচু হয়ে সশব্দে উজানের দিকে এগিয়ে চলে একে বানডাকা বলে।

সৃষ্টির কারণ:

  •  i) জোয়ারের তীব্রতা  অত্যাধিক বেশি (ভরা কোটাল) হলে বানডাকা সৃষ্টি হয়।
  •  ii)  নদীতে প্রবল স্রোত থাকলে।
  •  iii) নদীখাত অগভীর ও সংকীর্ণ হলে বানডাকা সৃষ্টি হয়।

 ১৫. সমোষ্ণরেখা কী ?

ভূপৃষ্ঠে যে-সকল স্থানের গড় উষ্ণতা প্রায় একই রকম হয়, সেই সকল সমমান যুক্ত স্থান গুলিকে মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে সমোষ্ণরেখা বলে।

বৈশিষ্ট্য:

  • i) প্রধানত জানুয়ারি ও জুলাই মাসের সমোষ্ণরেখা কে মানচিত্রে প্রদর্শন করা হয়।
  • ii) সমাক্ষরেখার সামন্তরালে অবস্থান করে।
  • iii) স্থলভাগ ও জলভাগের সংযোগস্থলে দিকে অবস্থান করে।

Previous Post Next Post