WB Madhyamik Physical Science Suggestions 2021 | মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশান 2021
WB Madhyamik Physical Science Suggestion 2021 | মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন 2021 প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো । আপনারা যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান 2021 পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।প্রশ্নমান - ২
১.অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতিতে প্রয়োজনীয় দুটি সতর্কতা উল্লেখ করো ।
- অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতাঃ অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্য শুষ্ক হওয়া প্রয়োজন।
- ফ্লাস্কটিকে প্রথমে ধীরে ধীরে ও পরে তীব্রভাবে উত্তপ্ত করতে হবে।
২. প্রমাণ করো অ্যামোনিয়া তে হাইড্রোজেন আছে।
উত্তপ্ত সোডিয়াম ধাতুর উপর দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস চালনা করলে সোডামাইড ও একটি বর্ণহীন গন্ধহীন গ্যাস উৎপন্ন হয়। গ্যাসটির মধ্যে একটি জ্বলন্ত পাটকাঠি ধরলে কাঠিটি নিভে যায়। কিন্তু গ্যাসটি নীলাভ শিখায় জ্বলতে থাকে। এছাড়া গ্যাসটি প্যালাডিয়াম ধাতু দ্বারা অধিশোষিত হয়। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে গ্যাসটি হাইড্রোজেন এবং এই হাইড্রোজেন এসেছে অ্যামোনিয়া থেকে।2Na + 2NH3 > 2NaNH2 +H2
৩. অ্যামোনিয়া গ্যাস কে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড এর সংস্পর্শে আনলে কি ঘটে ? বিক্রিয়ার সমিত সমীকরণ দাও।
বর্ণহীন অ্যামোনিয়া গ্যাস কে অপর একটি বর্ণহীন অ্যামোনিয়া গ্যাস হাইড্রোজেন ক্লোরাইড এর সংস্পর্শে এলে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এর সাদা ধোঁয়া নির্গত হয়।NH3+HCl > NH4Cl
৪. নাইট্রোজেনের পরীক্ষাগার প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইট কে সরাসরি উত্তপ্ত করে নাইট্রোজেন প্রস্তুত করা হয় না কেন ?
কারন অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইট কে সরাসরি উত্তপ্ত করে নাইট্রোজেন পাওয়া গেলেও বিক্রিয়াটি অত্যন্ত তাপ উৎপাদক ও অতি দ্রুত সংঘঠিত হয়। ফলে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিক্রিয়াটি কে নিয়ন্ত্রিত হারে ঘটানোর জন্য দুটি ধাপে সংঘঠিত করা হয়।৫. তৈল চিত্রের সাদা রং পুরনো হলে কালো হয়ে যায় কেনো ?
তৈলচিত্র যে সাদা রং ব্যবহার করা হয় তাতে লেড (pb) এর যৌগ থাকে। তৈলচিত্রটিকে দীর্ঘদিন খোলা বাতাসে রেখে দিলে ওই লেড ঘটিত যৌগ বাতাসে উপস্থিত H2S এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে কালো বর্ণের লেড সালফাইড উৎপন্ন করে যা তৈলচিত্রের গায়ে কাল আস্তরন ফেলে।Pb+H2S →PbS↓ (কালো) + H2
৬. নাইট্রোজেন অবদ্ধিকরণ বলতে কী বোঝো।
বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন বিভিন্ন উপায়ে উদ্ভিদের ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন নাইট্রোজেন যৌগে পরিণত হয় । যেমন অ্যামোনিয়া ও অন্যান্য নাইট্রেট লবন। এই যৌগগুলি মাটিতে মিশে গেলে উদ্ভিদ তার শিকড়ের সাহায্যে তা গ্রহণ করে এবং নিজেদের বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব যৌগ প্রস্তুত করে নিজেদের দেহে সঞ্চয় করে রাখে একে নাইট্রোজেন আবদ্ধ কারণ বলে।৭. লাইকার অ্যামোনিয়া বোতল খোলার আগে ঠাণ্ডা করে নেওয়া হয় কেন।
লাইকার অ্যামোনিয়া আর বোতলে প্রায় 35 শতাংশ অ্যামোনিয়া গ্যাস উচ্চচাপে জলে দ্রবীভূত থাকে। এর আপেক্ষিক গুরুত্ব 0.88 । তাই বোতলের ছিপি খোলা মাত্র উচ্চচাপে জলে দ্রবীভূত গ্যাস ফোয়ারার মত ছিটকে বেরিয়ে আসে অ্যামোনিয়া গ্যাস চোখের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর তাই চোখে লাগলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে অ্যামোনিয়ার বোতল খোলার আগে ঠান্ডা করে নিলে জলে গ্যাসের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায় এবং দ্রবণ চাপ মুক্ত হয়। তখন ছিপি খুললে অ্যামোনিয়া দ্রবণ ছিটকে বেরিয়ে আসে না।৮. বৈদ্যুতিক বাল্বে N2 ব্যবহার করা হয় কেন ?
বৈদ্যুতিক বাল্বে বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বাল্বের টাংস্টেন ফিলামেন্ট অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে কেটে যেতে পারে সেই কারণে বাল্বের মধ্যে নিষ্ক্রিয় পরিবেশ সৃষ্টি করতে N2 গ্যাস ব্যবহৃত হয় বর্তমানে এই কাজে আর্গন গ্যাস ব্যবহার করা হয় ।৯.লাইকার অ্যামোনিয়া ও তরল অ্যামোনিয়া এর মধ্যে পার্থক্য লেখো ।
লাইকার অ্যামোনিয়া | তরল অ্যামোনিয়া |
---|---|
লাইকার অ্যামোনিয়া লাল লিটমাস কে নীল বর্ণে পরিণত করে। | তরল অ্যামোনিয়া লাল লিটমাস কে নীল বর্ণে পরিণত করতে পারে না। |
লাইকার অ্যামোনিয়া একটি দ্রবণ।এতে জল জারক ও NH3 গ্যাস দ্রাব্য | তরল অ্যামোনিয়াতে জল থাকে না।এটি বিশুদ্ধ পদার্থ। |
১০. ইউরিয়ার দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
- ইউরিয়া উৎকৃষ্ট নাইট্রোজেন ঘটিত সার রূপে ব্যবহৃত হয়।
- কালাজ্বর এর ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামিন এবং ঘুমের ওষুধ বারবিটিউরেট প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
১১. অ্যামনিয়াকে জলের নিম্ন অপসারণ দারা সংগ্রহ করা হয় কেনো ?
কারন অ্যামোনিয়া জলে অতিমাত্রায় দ্রাব্য।জলের নিম্ন অপসারণ দ্বারা অ্যামনিয়াকে সংগ্রহ করতে হলে জলের মধ্যে নির্গম নলের শেষ প্রান্তে ডোবাতে হবে।ফলে , ফ্লাস্কে উৎপন্ন অ্যামোনিয়া গ্যাস জলে দ্রবীভূত হলে ফ্লাস্কে শূন্যতার সৃষ্টি হবে এবং এই শূন্যতা পূরণের জন্য জল উত্তপ্ত ফ্লাষ্কে প্রবেশ করবে এবং ফ্লাস্কটি ফেটে যাবে।১২. তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
যেসব পদার্থ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে বিয়োজিত হয় এবং তড়িৎ পরিবহনের সময় রাসায়নিক ভাবে বিয়োজিত হয়ে নতুন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের সৃষ্টি করে ,তাকেই তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।উদাহরণ : HCL অ্যাসিড,NaOH,NaCl প্রভূতি।
১৩.তড়িৎ আবিশ্লেষ্য পদার্থ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
যেসব পদার্থ গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না তাকে তড়িৎ আবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।যেমন : চিনি, ইউরিয়া ইত্যাদি
১৪.তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের প্রকৃতি :
গলিত অবস্থায় বা দ্রবণে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য এর ক্ষেত্রে বিয়োজন সম্পূর্ণভাবে হয় বলে আয়ন সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা বেশি হয়। তুলনামূলকভাবে মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা কম হয়।তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের গাঢ়ত্ব:
তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের গাঢ়ত্ব যত কম হয় আয়ন সংখ্যা ও তত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে তড়িৎ পরিবাহিতা বৃদ্ধি পায়।উষ্ণতা :
উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে আয়ন গুলির গতিবেগ বৃদ্ধি পায়, ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন দ্রুত ক্যাথোড ও অ্যানোড এ পৌঁছাতে পারে। তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।১৫. তড়িৎ লেপন কি ? এর উদ্দেশ্য কি ?
তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে রাসায়নিকভাবে অধিক সক্রিয় কোন ধাতব বস্তু বা ধাতু শংকরের তৈরি কোন বস্তুর উপর কম সক্রিয় অন্য কোন ধাতুর প্রলেপ দেওয়া কে তড়িৎ লেপন বলে।তড়িৎ লেপন উদ্দেশ্য :
- ধাতব পদার্থ গুলিকে বাহ্যিক ক্রিয়া ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তড়িৎ লেপন করা হয়। যেমন লোহার বস্তুকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লোহার উপর লিকেল , টিন প্রভৃতি ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয় ।
- ধাতব পদার্থের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য তড়িৎ লেপন করা হয় ।যেমন পিতলের গয়নার উপর সোনার প্রলেপ দিয়ে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়।