স্পেনের গৃহযুদ্ধ ও তার গুরুত্ব আলোচনা করো। The Spanish Civil War and its importance

আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন ।লিংক নীচে দেওয়া আছে।

স্পেনের গৃহযুদ্ধ ও তার গুরুত্ব আলোচনা করো। The Spanish Civil War and its importance


গণতন্ত্র ও শান্তি দুই ই গভীর সংকটে জড়িত হয়। একনায়কতন্ত্রী ও সমর বাদিশক্তি গুলি দেশে দেশে গণতন্ত্র নিধনে অগ্রসর হয় আর অন্যদিকে শান্তি ও নিরপত্তার পক্ষে বিপদজনক হয়ে ওঠে। এরই প্রমাণ মেলে স্পেনের গৃহযুদ্ধ।

স্পেনের গৃহযুদ্ধের কারণ:


  • ১. স্পেনে রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও এই সরকার জনগণের আস্তাভাজন ছিল না ।

  • ২. স্পেনের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছিল ।

  • ৩. স্পেনের বিত্তশালী মানুষেরা স্পেনের নবগঠিত প্রজাতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদীদের সঙ্গে জোট বদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তেরি করে।

স্পেনের গৃহযুদ্ধের প্রসার:

স্পেনের গৃহযুদ্ধ জেনারেল ফ্রাঙ্কো রাজনৈতিক ও সামরিক কারণে ফ্যাসিবাদী ইতালি ও ন্যাৎসিবাদি জার্মানির কাছ থেকে প্রত্যক্ষ সাহায্য লাভ করে। অন্যদিকে সোভিয়েত রাশিয়া প্রজাতান্ত্রিক সরকারকে সাহায্য করেছিল।

ফ্রাঙ্কোর নেতৃত্ব সরকারের প্রতিষ্ঠিত: ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে লীগ অব নেশনস স্পেন থেকে সমস্ত বিদেশে সৈন্য অপসারণের জন্য প্রস্তাব নেয়। কিন্তু জার্মানি ও ইতালি দুজনের কেউই লীগের সজ ছিল না।

তাই তারা লিগের প্রস্তাব উপেক্ষা করে ফ্রাঙ্কেকে পুরোদমে সাহায্য করেছিল।অবশেষে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে মাঝামাঝি সময়ে ফ্রাঙ্কের সেনাবাহিনী জয়লাভে সমর্থ হয়। অবশেষে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদএর পতন হলেও প্রজাতন্ত্রের সরকারের ক্ষমতা ক্ষমতাচ্যুত হয়।

স্পেনের গৃহযুদ্ধের গুরুত্ব:

স্পেনের ভেতরের ও বাইরের রাজনীতি দুটি ক্ষেত্রে স্পেনের গৃহযুদ্ধ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

১. স্পেনের ফ্যাসিস্ট সরকার গঠন:ফ্রাঙ্কের অধিনায়কত্বে স্পেনে ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

২ গণতান্ত্রিক দেশ গুলির কূটনীতিক পরাজয়: স্পেনের গৃহযুদ্ধের ফলে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ গুলির রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরাজয় ঘটেছিল।

৩. জার্মানি ও ইতালির উপকার : জার্মানি ও ইতালি বিশেষত জার্মান নানা ভাবে উপকৃত হয়েছিল। এই গৃহযুদ্ধ অংশ নিয়ে হিটলার উপকৃত হয়েছিল,এই গৃহযুদ্ধ অংশ নিয়ে হিটলার তার বিমানবাহিনীর দক্ষতা ও বিভিন্ন মারণাস্ত্রের ক্ষমতা পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

৪. দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মহড়া: ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কুটনৈতিক দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে হিটলার বিস্তারনীতি অনুসরণ করতে সচেষ্ট হন। এই সব বিবেচনা করে এই গৃহযুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া বলে আখ্যা দেওয়া অযৌক্তিক নয়।


Previous Post Next Post