WB Madhyamik Geography Suggestion 2021 | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021
WB Madhyamik Geography Suggestion 2021 | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2021 প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো । আপনারা যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল 2021 পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
১.পাখির পায়ের মতো ব দ্বীপ কিভাবে গঠিত হয়?
সংজ্ঞা: পাখির পায়ের মতো আকৃতিবিশিষ্ট বদ্বীপকে পক্ষীপদ বদ্বীপ বলে।
উৎপত্তি : এক্ষেত্রে অধিক ঢালের কারণে, নদীর গতিবেগ বেশি হলে নদী তার শাখানদীর মাধ্যমে সূক্ষ্ম উপাদানসমূহ বহন করে সমুদ্রের বহুদূর অবধি নিয়ে যায় এবং সমুদ্রজলের ঘনত্বর তুলনায় নদীর জলের ঘনত্ব কম থাকায় নদী।প্রবাহের দুদিকে পলি সঞ্চিত হয়ে পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ গড়ে ওঠে।
বৈশিষ্ট্য:
- i. এই বদ্বীপ সূক্ষ্ম পলি, বালি দ্বারা গঠিত।
- ii. মূল নদী অনেকগুলি শাখায় বিভক্ত হয়ে সমুদ্রের দিকে প্রসারিত হয়।
উদাহরণ: মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ, কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ।
২.'ডিমের ঝুড়ি' ভূমিরূপ কাকে বলে?
সংজ্ঞা: ' ড্রামলিন ' শব্দের আক্ষরিক অর্থ 'টিবি'(Mound)। হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে বিভিন্ন আকৃতির ক্ষয়জাত পদার্থগুলি সঞ্চিত হয়ে উল্টানো নৌকা বা চামচের আকৃতি টিবি গড়ে ওঠে। একে ড্রামলিন বলে।
শ্রেণীবিভাগ: ড্রামলিন প্রধানত দু-প্রকার। যথা -
- (i) গ্রাবসঞ্চিত ড্রামলিন(Morain Drumlin): এগুলি অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম পদার্থ (গ্রাব) দ্বারা গঠিত ড্রামলিন।
- (ii) শিলা ড্রামলিন (Rock Drumlin): এই ড্রামলিনগুলির সম্মুখভাগে শিলা সঞ্চিত হয় এবং পিছনের দিকে গ্রাব সঞ্চিত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
- i. ড্রামলিন গুলির অক্ষ (Axis) হিমবাহের প্রবাহের দিকে সমন্তরালভাবে অবস্থান করে।
- ii. ড্রামলিনের উচ্চতা সাধারণত 15-30 মিটার হয়ে থাকে।
৩.ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বিষয় | ঘূর্ণবাত | প্রতীপ ঘূর্ণবাত |
---|---|---|
অবস্থান | এটি ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে সৃষ্টি হয়। | এটি নাতিশীতোষ্ণ ও হিমমন্ডল এ সৃষ্টি হয়। |
বায়ুর চাপ | এর কেন্দ্র নিম্নচাপ অবস্থান করে। | এর কেন্দ্রে উচ্চচাপ অবস্থান করে। |
প্রকৃতি | এটি কেন্দ্রমুখী ঊর্ধ্বগামী বায়ুপ্রবাহ। | এটিক বহির্মুখী অর্ধ্বগামী বায়ুপ্রবাহ। |
বায়ুর গতি | এটি উত্তর গোলার্ধ বামদিকে দক্ষিণ গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। | এটি উত্তর গোলার্ধ ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধ বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। |
বায়ুর গতিবেগ | তীব্র গতি সম্পন্ন ৪০-৪০০ কিমি। | এটি ধীর গতিসম্পন্ন ৩০-৫০কিমি। |
আয়তন | অল্প এলাকার সীমাবদ্ধ। | এটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হয়। |
৪.জেট বায়ুর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
বৈশিষ্ট্য :
- i) জেট বায়ু ট্রপোস্ফিয়ার এর অপর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
- ii) এর গতিবেগ ঘন্টায় ২৫০-৩৫০ কিমি তবে কখনো কখনো এর গতিবেগ ৪০০কিমি ছাড়িয়ে যায়।
- iii) জেট বায়ু প্রবাহের নির্দৃষ্ট জীবনচক্র থাকে একে ইনডেক্স সাইকেল বলে।
- iv) জেট বায়ুর প্রবাহে মৌসুমী বায়ুর গতিবেগ এর তারতম্য ঘটে।
৫.এলনিনো কী ?
এল নিনো স্পেনীয় শব্দ যার অর্থ দুর্দান্ত বালক বা 'যীশু খ্রীষ্ট ' দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর পেরু ও চিলি উপকূল এর অদুরে যে সামরিক উষ্ণ সমুদ্র স্রোত প্রবাহিত হয় তাকে এল নিনো বলে।
বৈশিষ্ট্য:
- i) এল নিনো একটি সামরিক প্রচন্ড উষ্ণ দক্ষিণমূখী সমুদ্র স্রোত।
- ii) এটি বিশ্ব জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায়।
৭.ধ্রিয়ান কাকে বলে ?
অধিকাংশ বালিয়াড়ি তার সৃষ্টিস্থানে স্থির থাকে না। বায়ুপ্রবাহর দ্বারা বালিয়াড়ির প্রতিবাদ দিকের বালিকণা উড়ে গিয়ে অনুবাদ দিকে পতিত হয়। এইভাবে বালিয়াড়ি ক্রমশ বায়ুপ্রবাহের অনুকুলের সম্মুখের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একে চলমান বালিয়াড়ি বা ধ্রিয়ান বলে।
৮.আক্লুশন কি?
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের পঞ্চম পর্যায়এ শীতল সীমান্ত দ্রুত অগ্রসর হয়ে উষ্ণ সীমান্তের প্রবেশ করে এবং উভয় সীমান্ত মিলে একটি সীমান্তে পরিনত হয়। এই সীমান্তকে অক্লুডেড ফ্রান্ট বা অন্তধৃতি সীমান্ত বলে। এই অক্লুডেড সীমান্ত সৃষ্টির সময় উষ্ণ আদ্র বায়ুপুঞ্জের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে চক্রাকারে শীতল বায়ুপুঞ্জের মধ্যে অবস্থান, করে। এই অবস্থানকে আক্লুশন বলে।
৯.ভরা কোটাল ও এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।
বিষয় | ভরা কোটাল | মরা কোটাল |
---|---|---|
সংজ্ঞা | আমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিনে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে বলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষনের এর প্রভাবে জোয়ারের জল অনেক ফুলে ফেঁপে ওঠে, একে তেজ কটাল বলে। | শুল্ক ও কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য পরস্পরের সমকোণে অবস্থান করে পরস্পরের আকর্ষনের বিরোধিতা করে, ফলে জলস্ফীতি কিছুটা কম হয়, একে মরা কোটাল বলে। |
সময় | অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে ভরা কটাল বা তেজ কটাল হয়। | কৃষ্ণ ও শুল্কপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মরা কোটাল হয়। |
অবস্থান | পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে। | চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর সাপেক্ষে সমকোণে অবস্থান করে। |
মহাকর্ষ শক্তি | পূর্ণিমা অপেক্ষা আমাবস্যায় ভরা কোটালের মাত্রা অনেক বেশি হয়। | চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তি পরস্পরের বিপরীতে ক্রিয়াশীল হওয়ায় মরা কোটাল সৃষ্টি হয় |
জোয়ারের মাত্রা | পূর্ণিমা অপেক্ষা আমাবস্যায় ভরা কটালের মাত্রা অনেক বেশি হয়। | মরা কোটাল কৃষ্ণ ও শুল্কপক্ষ- এ মৃদু ও একইরকম হয়। |
ক্ষয়ক্ষতি | ভরা কোটালে প্রবল জোয়ারের কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। | মরা কোটালে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। |
১০.ইউট্রোফিকেশন কী?
গ্রিক শব্দ 'Eutrophy ' থেকে ' Eutrophocation ' শব্দটি এসেছে, যার অর্থ জৈব পদার্থ সঞ্চায় দ্বারা জলাশয় ভরাটকরন। সাধারণত সাবান জল, কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার থেকে নাইট্রেট, ফসফেট ও সালফেট জাতীয় পদার্থ জলে মিশে হদ, জলাশয় বা পুকুরের জলে পতিত হলে সেখানে শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ফলে জলাশয়ে অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য এগুলি মোরে পচে যায় এবং জলাশয় তলদেশ জমা হয়ে ক্রমশ জলাশয় কে ভরাট করতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে ইউট্রোফিকেশন বলে
১১.কয়াল কি ?
সংজ্ঞা: কেরল রাজ্য মালাবার উপকূলের উপগুহ্রদগুলিকে 'কয়াল 'বলে।
উৎপত্তি: ভূআন্দোলনের কারণে মালাবার উপকূলের উত্থান ও নিমজ্জনের ফলস্বরূপ কোয়েলের উৎপত্তি ঘটে।
বৈশিষ্ট্য :
- i)এটি লবণাক্ত জলের হ্রদ।
- ii) এগুলি স্থলভাগ দ্বারা আবদ্ধ এবং একদিকে সমুদ্র উন্মুক্ত।
- iii. কেরলের জলপথ পরিবহনে এগুলির গুরুত্ব অপরিসীম।
উদাহরণ: ভেমবানাদনাদ (ভারতের বৃহত্তম) অষ্টমুদি পুনামি, কায়ামকুলাম
১২. দুন বলতে কী বোঝো ?
শিবালিক এবং হিমাচল হিমালয়ের মাঝে সৃষ্টি নিম্ন উপত্যকাকে দুন বলে।
বৈশিষ্ট্য:
- i) এর গড় উচ্চতা১,৫০০-৪,০০০ মিটার।
- ii) এখানকার উল্লেখযোগ্য পর্বত গুলি হল মিশমি, পাটকই, মনিপুর, নাগা, কোহিমা, লুসাই প্রভৃতি।
- iii) পূর্বাচলের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মিশমি পর্বতের
- দাফারুম (৪৫৭৯ মি)