Class 10 History Model Activity Task Part 5 | Banglar Shikkha | WBBSE | মহেন্দ্রলাল সরকার কেন স্মরণীয় | শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন এর ভূমিকা উল্লেখ করো
১."ক" স্তম্ভের সাথে "খ" স্তম্ভ মেলাও:
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
---|---|
১ ভাইসরয় | গ. লর্ড ক্যানিং |
২ চৈত্র মেলা | ঘ. নবগোপাল মিত্র |
৩ জমিদার সভা | ক. রাধাকান্ত দেব |
৪ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট | খ. তারকনাথ পালিত |
২.সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো।
২.১. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের অভিঘাতে ভারতের ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি ঘটেছিল। সত্য
২.২. ভারত সভা গড়ে উঠেছিল দেশের জনগণকে বৃহত্তর ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একজোট করার জন্য। সত্য
২.৩. ভারতের ছাপা প্রথম বাংলা বই ' এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ' -- সত্য
২.৪. ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা হয়-- সত্য
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
৩.১ মহেন্দ্রলাল সরকার কেন স্মরণীয়?
উত্তর: ভারতে সুশৃংখল প্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার । একজন ডাক্তার ও বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ভারতের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। তার কীর্তি হল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে জুলাই " ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স" (IACS) প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছিলেন এর প্রথম দিরেক্টর এখানকার গবেষণাপত্র প্রকাশ এর জন্য " ইন্ডিয়ার জার্নাল অফ ফিজিক্স" নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন ।এখানকার খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু ,মেঘনাথ সাহা, নোবেলজয়ী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন, চুনিলাল বসু প্রমুখ।৩.২ শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন এর ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ১০ জানুয়ারি রামপুর ত্রয়ী নামে পরিচিত মার্শম্যান ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরি রামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তারা প্রথম কাঠের তৈরি মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন করেন। এর ফলে বাংলায় ছাপাখানার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় ওয়ার্ল্ড ছিলেন ছাপাখানার কাজে বেশ দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। কেরির পরিচালনায় শ্রীরামপুর মিশন প্রেস হয়ে উঠেছিল এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাপাখানা। মিশনারীদের উদ্যোগ এই বাংলায় প্রথম সাময়িক পত্র " দিকদর্শন" এবং একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র " সমাচার দর্পণ" প্রকাশিত হয়।৪. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা চিন্তার কোন দিকটি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠাতার সবচেয়ে ফুটে উঠেছিল?
উত্তর : ভূমিকা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা সংক্রান্ত চিন্তা ভাবনা ছিল সুদূরপ্রসারী। নিকেতন আশ্রম বিদ্যালয় স্থাপনের তিনি তার চিন্তাভাবনার প্রয়োগ ঘটাতে প্রয়াসী হন।১. অবাধ স্বাধীনতা: তিনি মনে করতেন ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনের স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাধা পরাধীনতা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবাধ সাধীনতা, চলাফেরা ও খেলাধুলার অধিকারদান করেন।
২. প্রকৃতির সাথে নিবিড় যোগাযোগ: প্রকৃতির সঙ্গে থেকে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা যায় বলে তিনি মনে করতেন। বিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ রেখে মানসিক চর্চার নীতিকে এখানে গুরুত্ব দান করা হয়েছে।
৩. মুক্ত পরিবেশে শিক্ষা: বিদ্যালয়ের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে পুঁথিগত শিক্ষার বদলে মুক্ত আকাশের নিচে প্রকৃতির কোলে শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব বলে তিনি মনে করতেন।
৪ . আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষালাভ: তিনি মনে করতেন আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীর পূর্ণ যথাযত শিক্ষা লাভ সম্ভব । তাই শিক্ষার্থীদের চিত্তের পূর্ণ বিকাশের জন্য নৃত্য - গীতি , বাদ্য , খেলাধুলা , শিল্পকলা , কারুকার্য , নাট্যাভিনয়, গল্পবলা , বাগানের কাজ ইত্যাদি পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করেন।
৫. সমাজ উন্নয়ন ও সমাজসেবা মূলক শিক্ষা: সমাজ ও মানুষ সম্পর্কে সমবেদনা জাগিয়ে তোলার জন্য তিনি সমাজ উন্নয়ন মূলক ও সমাজ সেবা মূলক কাজের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করেন।
৬. মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা: তিনি মনে করতেন মাতৃভাষা তে যেমন শিশু মনের বিকাশ ঘটে অন্য ভাষাতে তা সম্ভব নয়। তাই মাতৃ ভাষায় শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কিন্তু ইংরেজি বা অন্য ভাষা কেও তিনি অবহেলা করেননি।