Class 10 Geography Model Activity Task Part 4 | পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয় | হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিএ বর্ণনা দাও
১। বিকল্প গুলি থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
১.১) অপরোহন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলো-
উঃ (গ) গিরিখাত।
১.২) হিমবাহ ও পর্বতগাএের মদ্ধো সৃষ্ট সঙ্কীর্ণ ফাক হল-
উঃ (খ) বার্গস্রন্ড।
১.৩) ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো-
উঃ পুদুচেরী-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
২। শূন্যস্থান পূরণ করো।
২.১) বায়ুর অবনমন বা অপসারণ প্রক্রিয়ায় বালি ও পলিকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয়।
২.২) কাশ্মীর উপত্যকা পীরপাঞ্জাল ও উচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত।
২.৩) উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
৩।সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
৩.১) পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয় ?
উঃ পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টির কারণ:
পর্বতের পাদদেশে ভূমির ঢালের হটাৎ পরিবর্তনের ফলে নদীর বহনক্ষমতা কমে যায় এবং সমস্ত ক্ষয়-জাত পদার্থ যেমন- নদীবাহিত পলিরাশি, নুড়ি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে পলল শঙ্কু গঠন করে।
অনেকগুলি পলল শঙ্কু জুড়ে গিয়ে বিস্তার লাভ করলে এটি অর্ধগোলাকার হাতপাখার মত দেখতে হয়।
উদাহরণ- পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে তারাই অঞ্চলে অনেক পলল ব্যজনী দেখা যায়।
![]() |
৩.২) ধাপ চাষ, ফালি চাষ ও সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে কীভাবে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব ?
উঃ ধাপ চাষ, ফালি চাষ ও সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ করার উপায়সমূহ নিচে আলোচনা করা হল-
(i) পার্বত্য অঞ্চলে ধাপ চাষ:
পার্বত্য অঞ্চলের ঢালু জমিতে ধাপ গঠন করলে জসপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ভাবে সমগ্র জমিকে ধাপ চাষে কাজে লাগালে ও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলে মাটি ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়।(ii) ফালি চাষ:
ভূমির ঢালের আড়াআড়ি ভাবে ফালি তৈরি করে শস্য রোপণ করলে তা ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ করে।
(iii) সমন্নতি রেখা বরাবর কৃষিকাজ:
সমন্নতিরেখা বরাবর জমিগুলিতে আল বা বাঁধ দিয়ে কৃষিজমি তৈরি করে চাষবাস করলে প্রবহমান জলের গতি বাঁধাপ্রাপ্ত হয় এবং মৃতিকাক্ষয়ের পরিমাণ হ্রাস পায়।
গ্রাবরেখা: হিমবাহ অগ্রসর হওয়ার সময় এর সাথে সাথে যেসব পাথরখন্ড, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি বাহিত হয় হিমবাহ গলতে আরম্ভ করলে সেগুলি হিমবাহের প্রবাহপথের আশেপাশে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হতে থাকে। এই অসংবদ্ধ মিশ্র পদার্থের সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বা মোরেন বলে।
৪) হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিএ বর্ণনা দাও।
গ্রাবরেখা: হিমবাহ অগ্রসর হওয়ার সময় এর সাথে সাথে যেসব পাথরখন্ড, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি বাহিত হয় হিমবাহ গলতে আরম্ভ করলে সেগুলি হিমবাহের প্রবাহপথের আশেপাশে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হতে থাকে। এই অসংবদ্ধ মিশ্র পদার্থের সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বা মোরেন বলে।
গ্রাবরেখাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়-
(i) গ্রাবরেখা হিমবাহের দু-পাশে সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
(i) গ্রাবরেখা হিমবাহের দু-পাশে সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
(ii) হিমবাহ বাহিত পদার্থসমূহ সামনের দিকে সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।
(iii) দুটি হিমবাহ দু-দিক থেকে এসে একস্থানে মিলিত হলে উভয়ের মাঝখানে বাহিত পদার্থ জমা হয়ে যে সরু গ্রাবরেখা তৈরি হয় তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।
(iv) হিমবাহের নীচে অর্থাৎ ভূমিতে ক্ষয়জাত বা বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে গ্রাব-রেখা তৈরি হয় তাকে ভূমি গ্রাবরেখা বলে। উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের দক্ষিণাংশে এবং কানাডায় যথেষ্ট সংখ্যক গ্রাবরেখা দেখা যায়।
(iii) দুটি হিমবাহ দু-দিক থেকে এসে একস্থানে মিলিত হলে উভয়ের মাঝখানে বাহিত পদার্থ জমা হয়ে যে সরু গ্রাবরেখা তৈরি হয় তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।
(iv) হিমবাহের নীচে অর্থাৎ ভূমিতে ক্ষয়জাত বা বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে গ্রাব-রেখা তৈরি হয় তাকে ভূমি গ্রাবরেখা বলে। উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের দক্ষিণাংশে এবং কানাডায় যথেষ্ট সংখ্যক গ্রাবরেখা দেখা যায়।