Class 10 History Model Activity Task Part 4 | ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয় | বারাসাত বিদ্রোহ কী | প্রাচ্য পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো


Class 10 History Model Activity Task Part 4 | ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয় | বারাসাত বিদ্রোহ কী | প্রাচ্য পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো

Class 10 History Model Activity Task Part 4 | ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয় |  বারাসাত বিদ্রোহ কী | প্রাচ্য পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো


১. ' ক' স্তম্ভের সাথে 'খ ' স্তম্ভ মেলাও।
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
ক.নিম্ন বর্গের ইতিহাস iii. রণজিৎ গুহু
খ.লক্ষ্মী ভান্ডার i. সরলাদেবী চৌধুরানী
গ.আক্যাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন ii. ডিরোজিও


২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো।

২.১) 'সংবাদ প্রভাকর' পএিকার সপ্মাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
উঃ মিথ্যা।

২.২) 'সর্বধর্ম সমন্ধয়'- এর আদর্শ প্রচার করেছিলেন রামকৃষ্ন পরমহংসদেব।
উঃ সত্য।

২.৩) সুই মুন্ডা ছিলেন কোল বিদ্রোহের নেতা।
উঃ সত্য।


৩.দুটি বা তিনটি বাক্যে নিচের প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও।

৩.১) ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ।

ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা:

(i) ইন্টারনেট সহায়তায় অতি সহজে এবং ঘরে বসে দুনিয়ার যাবতীয় তথ্য নিমেষে সংগ্রহ করা যায়।
(ii) ইন্টারনেট কোনো অজানা প্রশ্ন লিখেও, সরাসরি সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে।

৩.২) ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয় ?


ডেভিড হেয়ার অনেক কারণেই স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হল-

(i) ডেভিড হেয়ার ছিলেন 'হিন্দু কলেজ' প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম।
(ii) তিনি 'কলকাতা মেডিকেল কলেজ' প্রতিষ্ঠা ও তার উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
(iii) এছাড়া তিনি 'ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি' 'পটলডাঙা অ্যাকাডেমি' (হেয়ার স্কুল) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৩.৩) বারাসাত বিদ্রোহ কী ?

বারাসাত বিদ্রোহ: বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রানপুরুষ তিতুমির ওরফে মির নিযার আলি বারাসাত মহকুমার জমিদার, নীলকর ও ইংরেজ বিরোধী যে বিদ্রোহের সূচনা করেন তা 'বারাসাত বিদ্রোহ' নামে পরিচিত। ১৮৩০ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত এই বিদ্রোহ হয়। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ দমননীতির কারণে এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।

৪) সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও।

প্রাচ্য-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।


প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক: ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্টে এদেশের শিক্ষাখাতে প্রতি বছর বরাদ্দ করা একলক্ষ টাকা প্রাচ্য না পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে খরচ করা হবে সে সম্পর্কে ১৮২০-র দশকে এক তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যা প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত।

(i) বিতর্কের বিষয়: ওই সময়ে যারা প্রাচ্য ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাচর্চার কথা বলেন তাঁরা প্রাচ্যবাদী এবং যারা ইংরেজির মাধ্যমে শিক্ষাচর্চার কথা বলতেন তাঁরা পাশ্চাত্যবাদী নামে পরিচিত হন। এইচ টি প্রিন্সেপ, কোলব্রুক প্রমুখ্য পাচ্যবাদীর মত ছিলো-দেশীয় ভাষার মাধ্যমো শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। অন্যদিকে লর্ড মেকলে, চার্লস গ্রান্ট প্রমুখ পাশ্চাত্যবাদীর উদ্দেশ্য ছিল মূলত ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। ভারতীয়দের মধ্যে রাজা রামমোহন রায় ছিলেন পাশ্চাত্যবাদী, পক্ষান্তরে রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখ ছিলেন প্রাচ্যবাদী। রাজা রামমোহন রায় কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন এবং পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি করেন।

(ii) বিতর্কের অবসান: ভারতে ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে প্রাচ্যবাদী-পাশ্চাত্যবাদী বিতর্কে শেষ পর্যন্ত পাশ্চাত্যবাদীদের মতই সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক মেকলে মিনিট-এর ভিত্তিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার প্রসারকে 'সরকারী নীতি' বলে ঘোষণা করেন।

মূল্যায়ন: ভারতের বাংলা প্রদেশে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক শুরু হলেও বোম্বাই প্রদেশ-সহ অন্যান্য প্রদেশে অনুরূপ বিতর্ক হয়নি। এই স্থানগুলিতে পাশ্চাত্য শিক্ষারীতিই গৃহিত হয়েছিল। যাইহোক, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্কের অবসানের ফলে ভারতে দ্রুত পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটতে থাকে।টতে থাকে।

Previous Post Next Post