Class 9 Bangla Model Activity Task Part 4 | ইলিয়াসের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর। ইলিয়াসের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।


Class 9 Bangla Model Activity Task Part 4 | ইলিয়াসের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর। ইলিয়াসের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।

Class 9 Bangla Model Activity Task Part 4 | ইলিয়াসের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর। ইলিয়াসের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।


1.ঠিক উত্তর টি বেছে নিয়ে লিখ।

1.1 ঈশান হলো -
ক.উত্তর পূর্বকোণ
খ. উত্তর-পশ্চিম কোন
গ.দক্ষিণ পূর্বকোণ
ঘ.পশ্চিম কোন
Ans- উত্তর পূর্বকোণ


1.2 'আজ আমার সংসার চলবে কিভাবে' - প্রশ্নটি করেছে
ক. সূচক
খ.জানুক
গ. ধীবর
ঘ.রাজ শ্যালক
Ans- ধীবর

1.3 'বন্ধুগণ হাসবেন না' - একথা বলেছে
ক ইলিয়াস
খ শাম সেমগী
গ মোহাম্মদ শাহ
ঘ মোহাম্মদ শার জৈনকক আত্মীয়
Ans- ইলিয়াস


1.4 'মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এটুকুই আমার নগদ লাভ।' বক্তার লাভ হয়েছিল -
ক পাঁচ টাকা
খ. দশ টাকা
গ. পনেরশো টাকা
ঘ. কুড়ি টাকা
Ans- দশ টাকা

1.5 'নোঙর ' কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত
ক. কুসুমের মাস
খ. সাদা মেঘ কালো পাহাড়
গ. পাতাল কন্যা
ঘ.ছায়ার আলপনা
Ans- সাদা মেঘ কালো পাহাড়



2.কমবেশি ১৫ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখ:

2.1 '……প্রজা চমকিত। ' প্রজা চমকিত কেন ?

উদ্ধৃত অংশটি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা 'কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি' পদ্যাংশ থেকে সংগৃহীত হয়েছে যেটি 'চন্ডীমঙ্গল ' কাব্য গ্রন্থের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত।

প্রজারা চমকিত কারণ কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয় ।ঝরের দাপটে মাঠের শস্য উপরে লন্ডভন্ড হয়ে যায় তা দেখে প্রজারা চমকিত হয়েছিল ।

2.2 ' ধীবর-বৃত্তান্ত ' নাট্যাংশে ধীবর এর বাড়ি কোথায় ?


মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক ' অভিজ্ঞান শকুন্তলম ' থেকে আলোচ্য 'ধীবর-বৃত্তান্ত ' নাটকটি সংগৃহীত হয়েছে।

ধীবর শক্রাবতার এ থাকে অর্থাৎ শক্রাবতারে তার বাড়ি।

2.3 ' ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ ' কারা এ কথা বলতো ?

উদ্ধৃত অংশটি লিও তলস্তয় লেখা ' ইলিয়াস ' গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলিয়াছে প্রতিবেশীরা।

2.4 ' মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা ' কখনো এমনটি ঘটে ছিল ?

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ' দাম ' গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। মাস্টারমশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছোটবেলার গল্প লেখার ফরমাশ এসেছিল।

2.5 ' বিরামহীন এই দাড়টানা ' কবি দাড়টানা কে বিরামহীন বলেছেন কেন ?

আলোচ্য অংশটি মিতভাষী কবি অজিত দত্তের লেখা 'সাদা মেঘ কালো পাহাড়' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ' নোঙ্গর ' কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে অদৃষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান তটের কিনারে নোঙরের কাছীতে বাধা পড়েছে নৌকাটি। দূর দেশে যাওয়ার ইচ্ছাই ব্যাকুল কবির মন মানতে চায় না ।অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে কবির ভাবনা অজানা লোক পৌঁছাতে চাই । তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দাঁড় টেনে চলেছেন।

3. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ্ কম বেশি 60 টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :

3.1 ' চণ্ডীর আদেশে পান বীর হনুমান ' তিনি হনুমানকে কি আদেশ দিয়েছেন ?

এই অংশটি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর ' চণ্ডীমঙ্গল ' তথা ' অভয়ামঙ্গল ' কাব্যের আখেটিক খন্ড কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

চন্ডী হলেন পৌরাণিক এক দেবী যিনি মর্তে নিজের পূজা প্রচারের জন্য কাল কেতুর সামনে শিকার পথে গোবিকা রূপে অবস্থান করেছিল । সমস্ত পশুরা দেবী চণ্ডীর শরণাপন্ন হয়েছিল তাই তিনি সমস্ত বন্য পশুদের প্রচ্ছন্ন করে এমন রূপ নিয়েছিল।

দেবী চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান লঙ্কার মত ধ্বংস সাধনে ব্রতী হয়ে উঠেছিল মাঠ অট্টালিকা ভেঙ্গে খন্ড খন্ড করে দিয়েছিল চারিদিকে পর্বতের সম ঢেউ তুলে ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ।দেবী চণ্ডী হনুমানকে এই আদেশ দিয়েছিলেন ।

3.2 'কিভাবে এই অংটি আমার কাছে এলো ' - তা বক্তা কে ? অংটি প্রসঙ্গে সে কি বলেছে ?

মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক ' অভিজ্ঞান শকুন্তলম ' থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশটি সংগৃহীত হয়েছে।

উপরিক্ত অংশের বক্তা হলেন ধীবর।

ধীবর একদিন একটি রুই মাছ ধরে ছিল যেটি খন্ড খন্ড করতে গিয়ে সে আংটি পেয়েছিল। আংটি প্রসঙ্গে সে কথা বলেছিল।

3.3 মোহাম্মদ শা কোন গল্পের চরিত্র ? তার প্রকৃত কেমন ?

লিও তলস্তয় লেখা ' ইলিয়াস ' গল্পের অন্যতম একটি চরিত্র হলেন মোহাম্মদ শা।
'ইলিয়াস ' গল্পে ইলিয়াসের একজন প্রতিবেশী ছিলেন মোঃ শাহ। তিনি অত্যন্ত দয়ালু ও ভাল লোক ছিলেন। তিনি ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন।

3.4 ' স্বর্গের দরজাতে ঠিক এই কথা লেখা রয়েছে' - কোন কথা ? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কি ?

উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ' দাম' গল্পের থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
পুরুষ মানুষ হয়ে অংক পারেনা এমন কল্পনাও করতে পারেন না মাস্টারমশাই । তিনি বলতেন প্লেটোর দোরগড়ায় কি লেখা ছিল জানিস। যে অংক জানেনা এখানে তার প্রবেশ নিষেধ। স্বর্গের দরজাতেও ঠিক এক ই কথা লেখা রয়েছে।

আলোচ্য গল্পের কথকের বিভিষিক মাস্টারমশাই ছিলেন নাছোড় স্বভাবের। যে কোন উপায়েই থেকে তিনি ছাত্রদের অংক শেখাতে চাইতেন। অঙ্কে আশ্চর্য পরিষ্কার ছিল তার মাথা। কয়েক ঘন্টা দেরি করে না পারা ছাত্রদের জটিল অংক তিনি নিমেষেই করে দিতেন।

3.5 ' আমার বাণিজ্য তরী বাঁধা পড়ে আছে' কোন বাণিজ্য তরী ? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন্ ?

আলোচ্য অংশ কবি অজিত দত্ত বাণিজ্যতরী বলতে সমাজ সংস্কারের সীমানাতে আবদ্ধ মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনের কথা বলেছেন।

কবি অজিত দত্ত ' কবিতায় মানব জীবনে গতিময়তাকে চলমান বাণিজ্যতরী এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেখানে স্থিতি ও গতি চাওয়া-পাওয়ার চিরন্তর দ্বন্দে ক্ষতবিক্ষত মানব হৃদয়। সমাজে চলতে গিয়ে নানান কর্তব্য দায়িত্ব মানুষকে বেঁধে রাখে যা তাকে তার পার্থিব গন্তব্যে পৌঁছাতে দেয় না । তাই কবি বাণিজ্যতরী বাঁধা পড়ে আছে এ কথার পরিপেক্ষিতে বোঝাতে চেয়েছেন মানব জীবনের কথা।


4.নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।(কম বেশি 150 শব্দ)

4.1 নিরবধি সাত দিন বৃষ্টি নিরন্তর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গ বাশির জীবনকে কিভাবে বিপন্ন করে তুলেছে তা আলোচনা করো।

আলোচ্য অংশটি কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা 'চন্ডীমঙ্গল ' তথা ' অভয়ামঙ্গল ' কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত ' কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি' কাব্যাংশটি থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।

সাতদিন নিরন্তর বৃষ্টিপাতের দারুণ প্রভাব পড়েছিল কলিঙ্গ বাসির জীবনে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর প্রভাবে সমস্ত কলিঙ্গদেশে মুষলধারে বর্ষণ হয়েছিল টানা সাতদিন। দিনরাত্তির তফাৎ মুছে গিয়েছিল ।সূর্যকিরণ হচ্ছিল না, গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছিল, ক্ষেতের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, ঘরবাড়ি জলে ভেসে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল , বাড়ির ছাদ ভেদ করে ভাদ্রের তালের মত বড় বড় শিল এসে পড়েছিল, পর্বতসমান ঢেউ এসে মটর তালিকা ভেঙ্গে তছনছ করে দিচ্ছিল, ঢেউয়ের ওপর ঘর গুলো যেন টলমল করছিল। এইভাবে কলিঙ্গ বাসি জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছিল ।

4.2. সেই আংটি দেখে মহারাজের কোন প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে। মন্তব্যটির প্রসঙ্গে নির্দেশ করে আংটি দেখে মহারাজের কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা বুঝিয়ে দাও।

মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক ' অভিজ্ঞান শকুন্তলম 'থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিতে অংশটি সংগৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গ- ধীবর একদিন একটি রুই মাছের পেট থেকে রাজার রত্ন নামাঙ্কিত বহু মূল্যের একটি আংটি পায় । তারপর সেই আংটি বিক্রি করতে গেলে নগর রক্ষক নিযুক্ত রাজ্যশালক ও দুই রক্ষী তাকে ধরে নিয়ে আসে বন্দি করে রাজার কাছে। রাজ্য শালক সমস্ত ঘটনা বলেন কিভাবে তারা ধীবর কে আংটি সহ ধরেছিল এবং এ কথা বলেন কিভাবে আংটিটি পেয়েছিল। আংটি দেখে রাজার একজন খুব কাছের প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।

মহারাজ এর প্রতিক্রিয়া - ধীবরের পাওয়া রাজ নামাঙ্কিত রত্নখদিত আংটি দেখে মহারাজার প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছিল। কারণ মহারাজা দুষ্মন্ত তপোবনে শকুন্তলাকে বিবাহ করে নিজের নামাঙ্কিত রত্ন মূল্যবান আংটি পরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দুর্বাসা মুনির অভিশাপ এর ফলে কোন চিহ্ন না থাকায় তিনি শকুন্তলাকে চিনতে পারেননি ।তখন তার সবকথা মনে পড়ে যাওয়াতে তিনি মুহূর্তের জন্য বিরল ভাবে চেয়ে রইলেন।

4.3 ' ইলিয়াস ' গল্প অনুসারে ইলিয়াসের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।

আলোচনাটি লিও তলস্তয় লেখা ' ইলিয়াস ' নামক গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত হয়েছে।

ভূমিকা - ইলিয়াস গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তথা নায়ক চরিত্র ইলিয়াস। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসের জীবনের ছবিটি সম্যকভাবে ধরা পড়েছে ।

পরিশ্রমী ও কর্মপ্রিয় - ইলিয়াস একই সঙ্গে পরিশ্রমী ও কর্মপ্রিয় ছিলেন । ইলিয়াস দিনরাত পরিশ্রম করে তার নিজের অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছিলেন তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। মালিক হওয়া সত্বেও তার মধ্যে কোনরকম অহংকার ছিল না। কিভাবে সম্পত্তি রক্ষা করা যায় এইসব চিন্তায় মগ্ন থাকতেন ইলিয়াস।

কর্তব্য পরায়ণ পিতা - ইলিয়াস কর্তব্য পরায়ন পিতা বটে কারণ তার সমস্ত পরিশ্রমের ফল তার সন্তানদের জন্যই। কিন্তু যখন সন্তানদের যন্ত্রণা আর মেনে নিতে পারেননি তখন তিনি তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না করে ভাগ করে দিয়েছিলেন সম্পত্তি।

অতিথি বৎসল মনোভাব- ইলিয়াস ধনী হওয়ার পর তার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে । তার সঙ্গে অনেক দূর থেকে অতিথিরা দেখা করতে আসতেনm ইলিয়াস ও তার স্ত্রী তাদের স্বাগত জানিয়ে ভোজ পানি প্রভৃতি দিয়ে সেবা করতেন।

আত্মসচেতনতাবোধ -সংসার জীবন অনেক কিছু পাওয়া হারানোর মধ্যে দিয়ে ইলিয়াসের আত্মসম্মানবোধ প্রসারিত হয়েছিল । তিনি বুঝেছিলেন বিষয় সম্পত্তি নয় মানুষের সেবায় মধ্য দিয়ে মুক্তি বা শান্তি পাওয়া যায়। তাই মালিককে প্রভুজ্ঞানে সেবা করেছেন।

উল্লিখিত গুনগুলির সমহারে ইলিয়াস চরিত্রটি অসাধারণ হয়ে উঠেছে ।

4.4 ' আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে ' বক্তা কে ? কেন তার এমনটা মনে হয়েছে ?

উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ' দাম ' গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
আলোচ্য অংশের বক্তা হলেন মাষ্টারমশাই।

' দাম ' গল্পের বৃদ্ধ মাস্টারমশাই এমন মন্তব্য করেছেন কারণ কথক সুকুমারের লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি তার খুব ভালো লেগেছে। তিনি সেটাকে গুছিয়ে রাখেন এবং সব সময় কাছে নিয়ে ঘোরেন। অনেক পরিচিত লোক কে তিনি সেটা দেখান। বহুদিন পর একটা কলেজে ভাষণ দিতে গিয়ে যখন কতকের সঙ্গে দেখা তার হয় তখন তিনি আবেগপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। কথক এর লেখা প্রসঙ্গে ভাষণ দিতে গিয়ে এমন কথা বলেছিলেন যা তাঁর মনে হয়েছিল ।

4.5 'নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে ' উদ্ধৃতিটির আলোকে 'নোঙর' কবিতায় কবির আক্ষেপ কিভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা নির্দেশ করো ।


আলোচ্য অংশটি কবি অজিত দত্তের লেখা 'নোঙর ' কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
'নোঙর ' কবিতার মধ্য দিয়ে কবি অজিত দত্ত মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন সমাজ-সংসারের মধ্যে বাধা পরে যায় তা বোঝাতে চেয়েছেন উপরিক্ত আলোচ্য অংশটির মধ্য দিয়ে। মধ্যবিত্ত মানুষের নিজের জীবনের ইচ্ছা বাধা পড়ে যায় সংসার আত্মীয়-পরিজনের মায়া বন্ধনে মানুষের জীবন বাঁধা। কবি সমস্ত বন্ধন পিছুটান পেরিয়ে স্বপ্ন কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতে চান। কবি গতানুগতিক জীবন থেকে অন্য কোনো অচেনা অজানা জায়গাতে পাড়ি দিতে চান কিন্তু দায়িত্ব-কর্তব্যের বাঁধনে কবির জীবন বাঁধা তাই উপরিক্ত উক্তিটির মাধ্যমে জীবনে না পাওয়া জিনিস গুলির প্রতি আক্ষেপ করেছেন ।

5.

5.1 শ্লোক> শোলক এক্ষেত্রে ঘটেছে
Ans- মধ্যস্বরাগম

5.2 'অ্যা ' হল একটি
অর্ধ বিব্রত স্বরধ্বনি

5.3 বিদেশি উপসর্গযোগে উৎপন্ন একটি শব্দ হলো আমজনতা


5.4 মৌলিক ও সাধিত ধাতুর একটি পার্থক্য লেখ

মৌলিক শব্দ সাধিত শব্দ
বিশ্লেষণ করা যায় না। যেমন পিতা বিশ্লেষণ করা যায় ।যেমন - পিতা ও মাতা
মৌলিক ধাতু একটি মাত্র দল বা অক্ষর নিয়ে গঠিত। যেমন- কর সাধিত ধাতু প্রত্যয় যোগ গঠিত ধাতু যাদের বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন করা- কর+আ

5.5 ধাত্ববয়ব প্রত্যয় এর একটি উদাহরণ দাও
Ans- চল (গমন করা) যোগ ( ই ) =চালি

5.6 অনুসর্গের অন্য দুটি নাম লেখ
Ans-পরসর্গ ,কর্মপ্রবদনীয়


6. ভাব সম্প্রসারণ করো

ধর্মের নামে মোহ এসে যারে ধরে অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে - ভাব সম্প্রসারণ করো


মূলভাব - মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিন্তু যখন ধর্ম মানুষের মধ্যে মিষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে যার জন্য নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব চিন্তার করার চেষ্টা করে।

সম্প্রসারিত ভাব- মানুষের মধ্যে আমাদের সমাজের ধর্ম একটি প্রত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ মানুষ সব সময় ধর্ম নিয়ে বেশি সচেতন সেই সেই ধর্মই হোক না কখনও কখনও এই ধর্ম মানুষের মধ্যে এমন ভাব বিস্তার করে যে সব সময় সব কিছুর মধ্যেও ধর্ম খোঁজে প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে নানান কুসংস্কার বিস্তার হয়ে আছে মানুষ ধর্মের মোহে এমনভাবে জর্জরিত হয়ে যায় যে সে অন্য কিছু বোঝার চেষ্টা করে না ধর্ম মতে সারা যার ফলে তার সেই ধর্মের অন্ধকার নিজ নিজ জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে ।

মন্তব্য - ধর্ম সম্পর্কে মানুষ অন্ধ বিশ্বাস না হয়ে সচেতন হতে হবে যাতে ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারোর জীবনকে অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয় ধর্ম মানে কিন্তু তা কখনোই অন্ধের মত না যাতে তোমার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব পড়ে !

Previous Post Next Post