Class 10 Geography Model Activity Task Part 5 | Banglar Shikkha | WBBSE | জোয়ার ভাটার সৃষ্টিতে কেন্দ্র বর্হিমুখী বলের প্রভাব উল্লেখ করো | ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করো
১.১) যে জলবায়ুতে ঋতু পরিবর্তন হয় না সেটি হল-
উঃ নিরক্ষীয় জলবায়ু।১.২) ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো
উঃ পৃথিবীর সাপেক্ষে চাঁদ ও সূর্যের সমকোণে অবস্থান- মরা কটাল
১.৩) অতিবিরল জনঘনত্বযুক্ত একটি রাজ্য হল-
উঃ সিকিম।২)স্তম্ভ মেলাও।
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
---|---|
বিশুদ্ধ কাঁচামাল | তুলো |
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত | ইয়াস |
পেরু স্রোত | আটাকামা মরুভূমি |
৩.সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
৩.১) জোয়ার ভাটার সৃষ্টিতে কেন্দ্র বর্হিমুখী বলের প্রভাব উল্লেখ করো।
পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে যে কেন্দ্রবিমুখ বলের সৃষ্টি হয় তা হলো কেন্দ্র বর্হিমুখী বল। এই বলের প্রভাবে সমুদ্রের জল বাইরের দিকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার প্রবণতা লাভ করে এবং এটি মহাকর্ষ বলের বীপরীতে কাজ করে। অতএব চাঁদের আকর্ষনে পৃথিবীর যে অংশে জোয়ার হয় ঠিক তার প্রতিপাদ অংশে চাঁদের মহাকর্ষ শক্তি অপেক্ষা কেন্দ্র বর্হিমুখী বল অধিক হওয়ায় সেখানেও সমুদ্রের জল ফুলে ওঠে। এটি হলো গৌণ বা পরোক্ষ জোয়ার। এই জোয়ারে জল কম ফুলে ওঠে।
৩.২) নিম্নলিখিত বিষয়ের ভিত্তিতে ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য নিরুপন করো।
(ক) বায়ুর চাপ
(খ) স্হায়িত্ব
(গ) আবহাওয়ার প্রকৃতি
(খ) স্হায়িত্ব
(গ) আবহাওয়ার প্রকৃতি
ভিত্তি
ঘুর্ণবাত
প্রতীপ ঘূর্ণবাত
বায়ুর চাপ
ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ বিরাজ করে।
প্রতী ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ ও বাইরে নিম্নচাপ বিরাজ করে।
স্হায়িত্ব
ঘূর্ণবাত স্বল্পস্থায়ী
প্রতীপ ঘূর্ণবাত দীর্ঘস্থায়ী।
আবহাওয়ার প্রকৃতি
ঘূর্ণবাতের সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং অতিপ্রবল ঝড়সহ বজ্র পাত ও বৃষ্টিপাত হয়।
এই সময়ে আকাশ মেঘমুক্ত এবং শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে।
৪) ভারতের কোন অঞ্চলে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয়। এই বাগিচা ফসল চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।
উঃ ভারতের কোন অঞ্চলে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয় কর্ণাটক (প্রথম), কেরল (দ্বিতীয়), ও তামিলনাডু (তৃতীয়) অঞ্চলে।
কফি চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ:
(a) জলবায়ু: কফি উষ্নতা ও আর্দ্র ক্রান্তীয় জলবায়ুর ফসল।
(i) উষ্নতা: উচ্চভূমিতে ১৪°- ২৬° সে. এবং নিম্নভূমিতে ২০°- ৩০° সে. উষ্নতা প্রয়োজন।
(ii) বৃষ্টিপাত: গড়ে ১০০-১৫০ সেমি।
(iii) আর্দ্রতা: উষ্ন ও আর্দ্র অবস্থা।
(b) ছায়া দানকারী বৃক্ষ: সরাসরি সূর্যকিরণ কফি গাছের ক্ষতি করে বলে, কফি খেতে কলা, ভুট্টা প্রভৃতি ছায়া প্রদানকারী গাছ লাগানো হয়।
(c) মাটি: মৃদু অম্লধর্মী পটাশ ও হিউমাস সমৃদ্ধ মাটি কফি চাষের আদর্শ। ভারতে লাল দোআঁশ ও লাভাজাত মাটিতে হয়।
(d) জমি: জলনিকাশের সুবিধাযুক্ত পাহাড়ের ঢালু জমি কফি চাষের পক্ষে আদর্শ।
(e) কুয়াশা: কফি গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।