Class 9 Geography Model Activity Task Part 4 | Banglar Shikkha | আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করি না কে | চিত্রসহ নিম্নলিখিত বিষয়গুলি এর ভিত্তিতে পৃথিবীর গোলক আকৃতির প্রমাণ দাও
1.1. বিকল্প থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
1.1 সৌরজগতের বহিঃস্থ গ্রহ গুলির যে বৈশিষ্ট্যটি থাকে না সেটি হলো -
ক. এরা আকারে বড়
খ. এদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে আছে
গ. এটা কঠিন শিলায় গঠিত
ঘ. এরা সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত
Ans- গ. এটা কঠিন শিলায় গঠিত
1.2 সূর্যের উত্তরায়ন এর শেষ সীমা হলো-
ক. মকর ক্রান্তি রেখা
খ. কর্কটক্রান্তি রেখা
গ. কুমেরু বৃত্ত রেখা
ঘ. সুমেরুবৃত্ত রেখায়
Ans- খ. কর্কটক্রান্তি রেখা
1.3 মানবিক সম্পদের একটি উদাহরণ হল -
ক. সূর্যালোক
খ. প্রাকৃতিক গ্যাস
গ. দক্ষতা
ঘ. ভূতাপ শক্তি
Ans-গ. দক্ষতা
2. সঠিক হলে ঠিক আর অসত্য হলে ভুল লেখ।
2.1 নিরক্ষরেখায় অভিকর্ষের মান সর্বাধিক। ভুল
2.2 কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে আয়ন বায়ুর বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । ভুল
2.3 অচিরাচরিত শক্তির একটি উৎস জোয়ার ভাটা শক্তি। ঠিক
3. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
3.1 কোন একটি নিরপেক্ষ সামগ্রী সম্পদ হয়ে ওঠার শর্ত গুলি উল্লেখ করো।
পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত যেসব বস্তু বা পদার্থ সম্পদ নয় আবার সম্পদ উৎপাদনে কোন বাধা বিপত্তির সৃষ্টি করে না সেইসব সামগ্রীকে নিরপেক্ষ সামগ্রী বলে ।তবে আজ যা নিরপেক্ষ উপাদান তা আগামী দিনে সম্পদে পরিণত হতে পারে, তবে তার কিছু শর্ত আছে যেমন-কার্যকারিতা থাকবে- কোনো নিরপেক্ষ উপাদান যদি কার্যকারিতা থাকে এবং তা মানুষের কাজে লাগে সেটি সম্পদে পরিণত হতে পারে। যেমন খরস্রোতা নদীর জল আজ একটি নিরপেক্ষ সামগ্রী তবে এই জল কে কাজে লাগিয়ে যদি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তবে সেই জল সম্পদে পরিণত হবে।
উপযোগিতা থাকবে - কোনো নিরপেক্ষ সামগ্রী যদি হঠাৎ করে মানুষের উপযোগী হয়ে ওঠে তবে সেটি সম্পদে পরিণত হয়। যেমন এক খন্ড পতিত জমি কিন্তু নিরপেক্ষ সামগ্রী কিন্তু সে জমিতে জল শেষ এবং কর্ষণের মাধ্যমে যদি কৃষি কাজের উপযোগী করে তোলা যায় তবে সেই জমিটি সম্পদে পরিণত হয়।
অভাব মোচন এর ক্ষমতা থাকবে- কোনো নিরপেক্ষ উপাদান যদি মানুষের অভাব বা চাহিদা পূরণ করতে পারে তবে তাকে সম্পদ বলা যাবে ।যেমন নদীর মাছ নিরপেক্ষ উপাদান কিন্তু সেই মাছ ধরে যদি মানুষ বিক্রি করে বা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তা সম্পদে পরিণত হয়।
বিক্রয় যোগ্যতা থাকবে - নিরপেক্ষ সামগ্রী বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন তাহলে তা সম্পদে রূপান্তরিত হবে । যেমন জমির ফসল বিক্রয় করে চাষিরা অর্থ উপার্জন করে।
3.2 আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করি না কেন ?
আমরা যদি নিরক্ষরেখায় দাঁড়ায় তবে আমরা পৃথিবীর সাথে সাথে ঘণ্টায় প্রায় 1700 কিলোমিটার বেগে ঘুরতে থাকবো। আবার সুমেরু বা কুমেরু বিন্দুতে দাঁড়ালে কোনরকম না ঘুরেও 24 ঘন্টা পার করে দেবো। তবে ভূপৃষ্ঠে বসবাস করা সত্ত্বেও আমরা আবর্তন বেগ অনুভব করতে পারি না । এর কারন হল আমরা পৃথিবী পৃষ্ঠ যেখানে আছি তার পারিবারিক গাছপালা জীবজন্তু ঘরবাড়ি যাবতীয় জিনিসপত্র পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে এবং একইসঙ্গে আবর্তন করছে অর্থাৎ প্রতিটি বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান একই থাকছে বলে চোখে তার স্থান পরিবর্তন ঘটে না। ফলে আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করিনা।4. চিত্রসহ নিম্নলিখিত বিষয়গুলি এর ভিত্তিতে পৃথিবীর গোলক আকৃতির প্রমাণ দাও।
ক. দিগন্ত রেখা - ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে যাওয়া যায় দিগন্তরেখার পরিধি তত বেড়ে যায় । ছবিতে ক স্তম্ভটির অবস্থান থেকে খ অবস্থান গেলে দিগন্তরেখা পরিধি বৃদ্ধি পায় আবার বিমান থেকে দেখলে তা আরো অনেক বেড়ে যাবে পৃথিবীর গোলাকৃতি জন্যই এমনটা হয় এবং এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী গোলাকার।
খ. ধ্রুবতারা - পৃথিবীর উত্তর মেরুর অক্ষ বরাবর দৃশ্যমান তারা ধ্রুবতারা নামে পরিচিত । পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থেকে সারা বছরই ধ্রুবতারাকে আকাশের উত্তরে নির্দিষ্ট স্থানে দেখা যায়। যখন ম্যাপ কম্পাস কিছুই ছিলনা তখন ধ্রুবতারা কে দেখে মানুষ দিক নির্ণয় করতো তবে মজার ব্যাপার নিরক্ষরেখা থেকে যত উপরে যাওয়া যায় তারা টিকে প্রতিরাতে উপরের দিকে উঠতে দেখা যাবে এবং উত্তর মেরুতে এর উন্নতি কোণ থাকে 90° । পৃথিবী গোল বলেই এমনটা হয় যদি সমতল হতো তাহলে তারাটিকে সব জায়গায় থেকে একই স্থানে দেখা যেত ।