Class 5 Bangla Model Activity Task Part 4 | WBBSE
১.১. 'আয়রে ছুটে ছোট্টরা' - ছোটদের কেন ছুটে আসতে হবে ?
ছোটদের ছুটে আসতে হবে কারণ গল্পবুড়ো তার ঝুলিতে করে অনেক রকম মন ভরানো গল্প নিয়ে এসেছে ।
১.২. '…আমাদের জওয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল ।' - জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল ?
জওয়ানদের ঘাঁটি ছিল লাডাকের একটি বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে।
১.৩. ' দারোগাবাবু এবং হাবু ' কবিতায় মেজদার পোষ্য কারা ?
'দারোগাবাবু ও হাবু ' কবিতার মেজদার পোষ্য ছিল আটটি কুকুর।
১.৪. ' উলগুলান ' কাদের লড়াই ?
' উলগুলান ' হল সাহেবের সাথে মুন্ডাদের লড়াই ।
১.৫.'পাখির কাছে ফুলের কাছে 'কবিতার কোথায় কবিসভা বসবে ?
'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতার লালদিঘিটার পাড়ে কবিসভা বসবে।
১.৬.'তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম ই ' বিমলার কেন মনে হচ্ছে যে তার দাম কমে গেছে ?
বিমলার মনে হয়েছে যে তার দাম কমে গেছে কারন দাদা ও অবনীকে বেশি করে খাবার দেয়া হয় কিন্তু সে মেয়ে বলে তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
১.৭. ' ও যেন দিনের বেলাকার রাত্তির…' কোন সময় টিকে লেখক ' দিনের বেলাকর রাত্তির ' বলেছেন ?
'ছোটবেলা ' রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুপুর বেলাকে দিনের বেলা কার রাত্তির বলেছেন।
২.নিজের ভাষায় উত্তর দাও।
২.১. ' গল্পবুড়ো ' কবিতায় রূপকথার কোন কোন প্রসঙ্গ উল্লিখিত হয়েছে ?
সুনির্মল বসুর লেখা ' গল্পবুড়ো ' কবিতায় দানব,যক্ষিরাজ, রাজপুত্র, এর কথা এবং পক্ষীরাজ, ময়নামতির গল্প ও কেষবতি নন্দীর গল্প উল্লিখিত আছে।
২.২. 'এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল। ' - জওয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কিভাবে ' বুনোহাঁস' গল্পে ফুটে উঠেছে ?
লীলা মজুমদারের লেখা ' ' গদ্যাংশ একটি বুনোহাঁস উত্তর থেকে দক্ষিনে গরমের দেশে পাড়ি দেওয়ার সময় জখম হয়ে সেটি লাডাখে জওয়ানদের তাঁবুর উপরে পড়ে। সারা শীতকাল বুনোহাঁস টি জওয়ানদের তাঁবুতে থেকে গেল। আস্তে আস্তে আহত বুনোহাঁসের ডানা সারল। হাসটি একটু একটু করে উঠতে চেষ্টা করত তাবুর ছাদ অবধি পৌঁছে আবার ধুপ করে পড়ে যেত এভাবে সারা শীতকাল কাটলো।
২.৩.'নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/ শুনুন বড়বাবু ' -থানায় বড়বাবুকে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল ?
'দারোগাবাবু ও হাবু ' কবিতায় হাবু বড়বাবুর কাছে নালিশ করেছে। হাবুরা একটা ঘরে চার ভাই মিলে থাকে। তার বড়দা সাতটা বিড়াল, মেজদা আটটা কুকুর ও সেজদার দশটা ছাগল পোষেন। সেই গন্ধে তার ঘরে থাকতে খুব কষ্ট হয় সে ঘরের দরজা জানালা খুলতে পারে না দুর্গন্ধে প্রাণ যায় যায় অবস্থা এইসব বলে হাবু প্রভুর কাছে নালিশ করেছিল।
২.৪.' এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া । ' উদ্ধৃতিটির আলোকে এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও।
হাটের দোকানির দোকানে ঝাটপাট দিয়ে এতোয়া একটি বস্তা চেয়ে নিয়ে আমবাগানে বাবুর গরু চরাতে চরাতে কুড়িয়ে নেয় আম ,শুকনো কাঠ । মেটে আলু খুঁড়ে বের করে মাটি থেকে, মজা পুকুরের পাড় থেকে তোলে শাক তারপর গরু নিয়ে সে ডুলুর নদী পেরিয়ে নদীর চরে ওঠে ।ঘন সবুজ ঘাস বনে গরু, মোষ ছেড়ে দিয়ে দৌড়ায় সুবর্ণরেখার চড়ায়, বাঁশ দিয়ে বোনা জাল সেখানে পাতে আর মনে মনে নিজেকে রাজা ভাবতে থাকে।
২.৫. ' ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর …' - তারপর কী কী ঘটল, তা 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতা অনুসারে লেখ।
কবি আল মহামুদ প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। একদিন রাতের আকাশে ডাবের মত চাঁদ উঠছে দেখে তিনি ছিটকিনিটা আস্তে করে খুলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মনে হচ্ছিল ঝিম-ধরা শহরটা যেন থর থর করে কাঁপছে । মিনারটাকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে। পাথরঘাটার গির্জাকে লাল পাথরের ঢেউ বলে তার ভ্রম হয়েছে। দরগাতলা পেরোতে তিনি শোনেন একটা উটকো পাহাড় থেকে ডাকছে। লালদীঘিটার কাছে দেখেন জোনাকিদের দরবার বসেছে। দীঘির কালো জল, ফুল, পাখি সবাই কবিকে বলে কবিতা শোনাতে। তখন কবি তাঁর পকেট থেকে ছড়ার বই বের করে নিজের মনের কথা তাদের কাছে খুলে বলেন।
২.৬. ' বিমলার অভিমান' কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমান এর কারণ বিশ্লেষণ করো।
বিমলা বাড়ির ছোট মেয়ে। তাকে দিয়ে সারাদিন অনেক কাজ করিয়ে নেয়া হয়। যেমন ফুলতলা ,পূজা করা ,বাচ্চাদের সামলানো, ছাগলে চরানো,নুন আনা, পানের জন্য চুনা আনা ইত্যাদি । আর খাওয়ার সময় দাদা আর অবনীকে তার চেয়ে বেশি ক্ষীর দেওয়ায় বিমলার অভিমান হয়।
২.৭.' ছাদটা ছিল আমার কেতাবে - পড়া মরুভূমি…' - 'ছেলেবেলা ' রচনা অংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কিভাবে স্মরণ করেছেন?
' ছোটবেলা' রচনা অংশে বাইরের খোলা ছাদটি ছিল রবীন্দ্রনাথের কাছে ছুটির দেশ। লেখক এর নানা রকম দিন নানাভাবে বয়ে চলতো ।পিতার অনুপস্থিতিতেই ছাদে যাওয়াটা ছিল তার কাছে সাত সমুদ্দুর পারে যাওয়ার আনন্দের মতো ।ওই ছাদ থেকে কলকাতার মাথার উপর দিয়ে পা ফেলে ফেলে তাঁর মন চলে যেন আকাশের শেষ সীমানায় ।।মাঝে মাঝে দেখা যেত নানা বাড়ির নানা রকম ছাদ ও গাছের ঝাঁকড়া মাথা। সবকিছু মিলিয়ে ছাদটা যেন ছিল তাঁর কেতাবে পড়া মরুভূমি।