Class 8 Geography Model Activity Task Part 4 | Banglar Shikkha | WBBSE | ভূ-অভ্যন্তরের কোন স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছিল | অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো


Class 8 Geography Model Activity Task Part 4 | Banglar Shikkha | WBBSE | ভূ-অভ্যন্তরের কোন স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছিল | অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো

Class 8 Geography Model Activity Task Part 4 | Banglar Shikkha | WBBSE | ভূ-অভ্যন্তরের কোন স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছিল | অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো


১।

১.১) ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো।

উঃ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার-পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি।

১.২) রকি ও আন্দিজ পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছে-

উঃ মহাদেশীয়-মহাসাগরীয় অভিসারী পাতসীমানা বরাবর ।

১.৩) উত্তর ভারতের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে-

উঃ নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে।

২। একটি বা দুটি শব্দ উত্তর দাও।

২.১) কোন যন্ত্রের সাহায্য ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করা হয় ?

উঃ সিসমোগ্রাফ

২.২) কোন প্রকার শিলার স্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায় ?

উঃ পাললিক শিলা।

২.৩) ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশ মশলা উৎপাদনে বিখ্যাত ?

উঃ শ্রীলঙ্কা।

৩। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

৩.১) ভূ-অভ্যন্তরের কোন স্তরে কীভাবে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছিল ?

উঃ বহিঃকেন্দ্রমন্ডলে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছে।কারণ চাপ, তার, ঘনত্বর অধিকোর জন্য পৃথিবীর বহিঃকেন্দ্রমন্ডলে অর্ধ কঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারিদিকে আবর্তন করে চলেছে। সান্দ্র অবস্থায় এই স্তরের প্রধান উপাদান লোহা, ও চুম্বুক দ্বারা আকর্ষিত হয়। তাই তীব্র গতিতে ঘুরতে ঘুরতে অর্ধ গলিত লোহা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করে চলেছে। আর এই থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র।

৩.২) অভিসারী পাতসীমানাকে কেন বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

উঃ যখন পাতগুলি পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় তাকে অভিসারী পাতসীমানা বলে।
মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাত পরস্পরের দিকে চললে ভারী মহাসাগরীয় পাত হালকা মহাদেশীয় পাতের নীচে নিমজ্জিত হয়। ফলে তৈরী হয় গভীর সমুদ্রখাত। যেমন- মারিয়ানা খাত। এই নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ গলতে থাকে এবং বাইরে এসে অনেক সময় আগ্নেয়দ্বীপ সৃষ্টি করে। ভূ-ত্বকের এই স্তর অস্থির থাকায় প্রায় ভূ-আলোরন ও ভূমিকম্প দেখা যায় তাই এই পাতকে বা পাতসীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলে।

৪) উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণীবিভাগ করো।

উঃ সঙ্গা: উতপ্ত তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণ করে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময় ভূ-ত্বক ও ভূ-অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিভিন্ন উপাদান জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়শিলা বলে।
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, গ্রানাইট।

উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয়শিলা দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

(i) নিঃসারী আগ্নেয় শিলা।
(ii) উদভেদী আগ্নেয় শিলা।

(i) নিঃসারী আগ্নেয় শিলা:-

ভূ-গর্ভের উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে লাভা রূপে প্রবাহিত হওয়ার সময় শীতল ও কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে তাকে বলে নিঃসারী আগ্নেয় শিলা। উদাহরণ- ব্যাসল্ট।

(ii) উদভেদী আগ্নেয় শিলা:-

ভূ-গর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূ-পৃষ্টে পৌছাতে না পেরে ভূ-গর্ভের ভতরেই শীতল ও কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয় তাকে বলে উদভেদী আগ্নেয় শিলা। উদাহরণ- গ্রানাইট।

উদভেদী আগ্নেয় শিলাকে দু-ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-


(i) পাতলিক
(ii) উপপাতলিক

(i) পাতলিক:-

উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূ-পৃষ্টের অনেকটা নীচে ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলা গঠন করে তাকে বলে পাতলিক শিলা। উদাহরণ- গ্রানাইট।

(ii) উপপাতলিক:-

উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভূ-পৃষ্টে না পৌঁছে ভূ-ত্বকের দুর্বল অংশে ও ফাটলে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে উপপাতলিক শিলা বলে। উদাহরণ- ডোলেরাইট।
Previous Post Next Post