Class 7 Geography Model Activity Task Part 5 | সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কিভাবে আমাদের দেশের জলবায়ু কে প্রভাবিত | মাটির শ্রেণীবিভাগ করো | WBBSE | Banglar Shikkha Portal | August Model Activity Task




Class 7 Geography Model Activity Task Part 5 | সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কিভাবে আমাদের দেশের জলবায়ু কে প্রভাবিত | মাটির শ্রেণীবিভাগ করো | WBBSE | Banglar Shikkha Portal | August Model Activity Task


Class 7 Geography Model Activity Task Part 5 | সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কিভাবে আমাদের দেশের জলবায়ু কে প্রভাবিত | মাটির শ্রেণীবিভাগ করো | WBBSE | Banglar Shikkha Portal | August Model Activity Task

১. বিকল্প গুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :


১.১.ভূভাগ ভাঁজ খেয়ে উপরের দিকে উঠে যে পর্বত সৃষ্টি করে তার উদাহরণ হলো -
ক) সাতপুরা
খ)ভোজ
গ)কিলিমাঞ্জারো
ঘ)হিমালয়
উত্তর : ঘ)হিমালয়

১.২.ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো -
ক)নদীর উচ্ছপ্রবাহ - ভূমির ঢাল কম
খ)নদীর উচ্ছপ্রবাহ - নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়
গ)নদীর নিম্নপ্রবাহ - ভূমির ঢাল বেশি
ঘ)নদীর নিম্নপ্রবহ - নদীর প্রধান কাজ বহন
উত্তর :খ)নদীর উচ্ছপ্রবাহ - নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়

১.৩. আফ্রিকা মহাদেশের মাঝ বরাবর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা টি হল -
ক) কর্কট ক্রান্তি রেখা
খ)মকর ক্রান্তি রেখা
গ)মুলমধ্য রেখা
ঘ)বিষুবরেখা
উত্তর : ঘ)বিষুবরেখা

২. বাক্যটি সত্য হলে ঠিক অসত্য হলে ভুল লেখ।

২.১. ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি এর একটি উদাহরণ হল ছোটনাগপুর মালভূমি। ঠিক

২.২. শীতল ও শুষ্ক জলবায়ুতে মাটি সৃষ্টি হতে বেশি সময় লাগে। ঠিক

২.৩. জুলাই মাসে উত্তর আফ্রিকায় যখন গৃষ্ম কাল দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন শীতকাল । ঠিক

৩.সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

৩.১. সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কিভাবে আমাদের দেশের জলবায়ু কে প্রভাবিত ?

হিমালয় পর্বত শ্রেণীর ভারতের জলবায়ুর উপর অসাধারণ প্রভাব রয়েছে :

উত্তরের তীব্র শীত প্রবাহ থেকে রক্ষা করে: হিমালয় পর্বতের অবস্থান ভারতীয় উপমহাদেশকে এশিয়ার হাড়কাঁপানো শীতের হাত থেকে রক্ষা করেছে। হিমালয় পর্বত না থাকলে ভারতেও রাশিয়া ও চীনের মতো তীব্র শীত দেখা যেত।

বৃষ্টিপাতের সাহায্য করা : সমুদ্র থেকে আগত জলীয়বাষ্প পূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিমে মৌসুমী বায়ু হিমালয় পর্বতের ঢালে বাধা পেয়ে উত্তর মধ্য ভারতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। মৌসুমী বায়ু প্রবাহের দ্বারা সংঘটিত বৃষ্টিপাতে হিমালয় পর্বতের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।

উচ্চ আক্ষাংশে শীতল জলবায়ু সৃষ্টি: ভারত এমনিতে উষ্ণ মৌসুমি জলবায়ুর দেশ হলেও উচ্চতার প্রভাবে হিমালয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে অনেকটা তুন্দ্রা অঞ্চলের মতো অতি শীতল জলবায়ু দেখা যায়।

৩.২. মাটির দানার আকারের উপর ভিত্তি করে মাটির শ্রেণীবিভাগ করো। প্রতিটি শ্রেণীর একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখো।

মাটির দানার আকারের ওপর ভিত্তি করে মাটিকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা -

ক) বেলে মাটি
খ) এঁটেল মাটি
গ) দোআঁশ মাটি

বেলে মাটি :

বেলে মাটিতে বালির ভাগ বেশি হওয়ায় জল ধরে রাখতে পারেনা । গাঙ্গেয় উপত্যাকার পশ্চিমাংশে বেলে মাটি দেখা যায়। এ মাটিতে তরমুজ , সুপারি , নারকেল প্রভৃতি ফসল চাষ হয়।

এটেল মাটি :

এই মাটিতে কাদার ভাগ বেশি থাকায় এঁটেল মাটি জল ধরে রাখতে পারে। গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে ও নিম্ন উপত্যাকায় এঁটেল মাটি পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাংশে এঁটেল মাটি আধিক্য দেখা যায়। এই মাটিতে ধান , পাট চাষ খুব ভালো হয়।

দোয়াশ মাটি :

দোয়াশ মাটিতে বালি ও কাদা প্রায় সম পরিমাণে থাকে। ভারতের পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ,বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের পলিমাটি অঞ্চলে মৃত্তিকা পাওয়া যায় । ফসলের পক্ষে আদর্শ মৃত্তিকা এই মাটিতে ধান, গম, পাট , ইক্ষু , চা ,কফি ও নানান শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়।

৪.আফ্রিকা মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞ্চল ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কিভাবে জল বায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তা ব্যাখ্যা করো।

আফ্রিকা মহাদেশের জলবায়ু সব জায়গায় সমান নয়। বিশেষ করে তাপমাত্রা আর বৃষ্টিপাতের উপর গাছপালা জন্মানো, বেড়ে ওঠা নির্ভর করে। তাপমাত্রা বৃষ্টির পরিমাণ বদলালে গাছ পালার ধরন বদলে যায়।আফ্রিকা মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞ্চল ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কিভাবে জল বায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তা ব্যাখ্যা করো হলো।


নিরক্ষীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ :

নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে সারাবছর গরম (২৭° সে) বৃষ্টির পরিমাণ ২০০ - ২৫০ সেমি.। সরাসরি সূর্যকিরণ আর সারা বছর বৃষ্টিতে শক্ত কাঠের ঘনজঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে ।মেহগনি , রোজউড , এবনি এই ঘন জঙ্গলে প্রধান গাছ ।পাতাঝরা নির্দিষ্ট ঋতু না থাকায় গাছগুলো সারাবছর সবুজ দেখায়।

নিরক্ষরেখার উত্তরে আর দক্ষিণে বৃষ্টি কমে যেতে থাকে। গৃষ্ম কাল এর দৈর্ঘ্য বাড়ে আর বৃষ্টি হয় বছরে ২৫০ সেমি মত। মরুভূমির দিকে বৃষ্টি কমে ২৫ সেমি মত হয়ে যায়। মোটামুটি গরম আর কম বৃষ্টির জন্য বড় গাছের সংখ্যা কম। তার বদলে লম্বা ঘাসের প্রান্তর চোখে পড়ে। দিগন্তবিস্তৃত ঘাস জমির মধ্যে আকসিয়া আর বাওবাব জাতীয় গাছ দেখা যায়।

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ :

আফ্রিকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায় শীতকালে বৃষ্টি হয়। সারা বছরে ৫০ থেকে ১০০ সেমি বৃষ্টিপাত হয়। গরমকাল বৃষ্টিহীন থাকে। পাতায় নরম মনের মত আস্তরন দেখা যায়। জলপাই , আখরোট প্রভৃতি জাতীয় গাছ জন্মায় ।গরমকালে জলের সন্ধানে গাছের মূল্য অনেক গভীরে যায় । কমলা , আঙ্গুর ফলের বাগান দেখা যায়।


Previous Post Next Post