Class 10 Bengali Model Activity Task Part 6 | September Activity Task | WBBSE | লর্ডসের রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১.'জগদীশবাবু যে কি কান্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা ? ' জগদীশবাবু কে ? কাণ্ডটি কি ? ১+২
উধৃত অংশটি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ' বহুরূপী ' গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে । ' বহুরূপী ' গল্পে হরিদার থেকেই জানা যায় জগদীশবাবুর পরিচয়। জগদীশবাবু হলেন শহরের অন্যতম বিত্তবান ব্যক্তি তথা 'বড়ো মানুষ'।শহরের বিশিষ্ট ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবু সাত দিন ধরে তাঁর বাড়ীতে এক উঁচুদরের সন্ন্যাসীকে সেবায় তুষ্ট করে রেখেছিলেন। সন্ন্যাসী হিমালয়ে থাকেন ,বছরে একবার মাত্র আহার করেন এবং বয়স হাজার বছরেরও বেশি। এমন উঁচুদরের সন্ন্যাসী যাকে-তাকে পায়ের ধুলো দেন না তাই কৌশলে সোনার গোল লাগানো কাঠের খড়ম সন্ন্যাসীর পায়ের সামনে রেখে একমাত্র জগদীশবাবু সন্ন্যাসী পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন ।এই আশ্চর্য ঘটনাকেই প্রশ্নধৃত অংশে ' কান্ড ' বলা হয়েছে।
১.২. 'খুবই গরিব মানুষ হরিদা ।' হরিদার পরিচয় দাও। তার দারিদ্র্যের ছবি ' বহুরূপী ' গল্পে কিভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে ? ১+২
উধৃত অংশটি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ' বহুরূপী ' গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে ।গল্প থেকে জানা যায় হরিদা বহুরূপী , সংসারহীন ,একা দরিদ্র মানুষ।
গল্পে বহুরূপী হরিদার জীবিকার পাশাপাশি তার দরিদ্র কবলিত জীবনের এক নিদারুণ ছবি পাওয়া যায়।
- তার বসবাস শহরের সবচেয়ে সরু কোন অখ্যাত গলির ভিতর ছোট্ট একটি ঘরে ।
- তার উনানের হাড়িতে অনেক সময় শুধু জলে ফোটে ভাত জোটেনা।
- তার রোজগার ২ আনা,আট আনা কিংবা সর্বোচ্চ আট টাকা দশ আনা এই টুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
১.৩.' কি হেতু, মাত: গতি তব আজি
এ ভবনে ?'
- বক্তা কাকে ' মাত: ' সম্বোধন করেছেন ? তিনি এই প্রশ্নের কি উত্তর দিয়েছেন ? ১+২
উদ্ধৃত অংশটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ' অভিষেক ' কাব্যাংশে থেকে গৃহীত হয়েছে।
বক্তা বীরশ্রেষ্ঠ ইন্দ্রজিৎ ধাত্রীমা প্রভাসার ছদ্মবেশধারী দেবী লক্ষ্মীকে ' মাত:' বলে সম্বোধন করেছেন ।
ধাত্রীমা প্রভাসার ছদ্মবেশ ধরে দেবী লক্ষ্মী হঠাৎ ইন্দ্রজিতের প্রমোদ কাননে উপস্থিত হলে ইন্দ্রজিৎ তার কাছে জানতে চেয়েছেন এ আগমনের কারণ । প্রতুত্তরে ছদ্মবেশধারী দেবী লক্ষ্মী জানিয়েছেন যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহু নিহত।পিতা রাবণ স্বয়ং প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। এই নিদারুণ সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তার আগমন।
১.৪. ' এ মায়া,পিতা: , বুঝিতে না পারি ! '
বক্তা কে ? কোন মায়া তার বোধের আগম্য ? ১+২
উদ্ধৃত অংশটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ' অভিষেক ' কাব্যাংশে থেকে গৃহীত হয়েছে।
প্রশ্নধৃত অংশের বক্তা হলেন রাক্ষসকুল, চূড়ামণি বীরশ্রেষ্ঠ ইন্দ্রজিৎ।
গতদিনের সন্ধ্যাকালীন যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ ইন্দ্রজিৎ শ্রী রামচন্দ্রকে হত্যা করে এসেছিলেন। কিন্তু পরদিন তিনি জানতে পারেন রামচন্দ্রের হাতে প্রিয় ভাই বীরবাহু নিহত। এই নিদারুণ সংবাদ শোনামাত্রই ইন্দ্রজিৎ চূড়ান্ত হতচকিত হয়ে ওঠেন । রামচন্দ্রের জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনা তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয় । মৃত রামচন্দ্র কিভাবে কোন মায়া বলে জীবিত হয়ে উঠলেন এই প্রশ্ন তাঁর মনে ভিড় করে । রামচন্দ্রের জীবিত হয়ে ওঠার এই মায়াবী রহস্য তার বোধগম্য হয়ে ওঠে তাই সরল মনের ইন্দ্রজিৎ পিতার কাছে জানতে চান রামচন্দ্রের এই অবিশ্বাস্য ছলনার উৎস।
১.৫.'.... ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা ! '
- কার প্রতি এরূপ মন্তব্য ? বক্তা কোন পরিস্থিতে মন্তব্যটি করেছেন ? ১+২
উদ্ধৃত অংশটি প্রখ্যাত নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত 'bসিরাজউদ্দৌলা ' নাট্যাংশ থেকে সংগৃহীত হয়েছে।বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার দরবারে উপস্থিত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি এবং তার ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্দেশ্য মন্তব্যটি করেছেন।
বাংলার নবাব সিরাজদৌলা কে অগ্রাহ্য করে ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতায় দুর্গ স্থাপন করে । উদ্ধৃত কোম্পানিকে শিক্ষা দিতে সিরাজ কলকাতা আক্রমণ করে ইংরেজদের পরাজিত করেন। আলিনগরের সন্ধি স্থাপন করেন । সন্ধির শর্ত অনুসারে ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটস -কে নবাব দরবারে স্থান দেন। কিন্তু এর পরেও কোম্পানির বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র শুরু করে । নবাবের কর্মচারীদের কাজে লাগিয়ে সমগ্রবাংলা আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করে ।এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ক্ষুব্দ নবাব সিরাজ ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন।
১.৬. ' মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ , ওর দৃষ্টিতে আগুন,ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প ।'
- উধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্র বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। ৩
' সিরাজউদ্দৌলা ' নাট্যাংশ বেগম লুৎফার প্রশ্ন উদ্বৃত মন্তব্য কে সামনে রেখে ঘষেটি বেগমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য চিত্রিত হয়েছে।- ঘষেটি বেগম অত্যন্ত প্রতিহিংসাপরায়না। পালিত পুত্রের বদলে সিরাজ সিংহাসনে বসায় সে অখুশি। তাই সিরাজের বিরুদ্ধে তার হৃদয়ে রয়েছ হিংসার দাবানল।
- ঘসেটির মনোভাব দেশদ্রোহীর মতো অত্যন্ত কঠিন। সিরাজের সর্বনাশ এবং তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ ছাড়া আর কিছুই সে ভাবতে পারে না ।তাতে সমগ্র বাংলায় আগুন জ্বললেও সে খুশি।
- ঘষেটি বেগম হৃদয়হীনা।সন্তানতুল্য সিরাজের মৃত্যু কামনা তার একমাত্র উদ্দেশ্য ।নারী হয়েও কন্যারতুল্য লুৎফার প্রতিও তার কোন মায়া মমতা নেই।
১.৭. ' আলো তার ভরবে এবার ঘর ! '
- কোন আলোয় ঘর ভরে উঠবে ?
উদ্ধৃত অংশটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ' প্রলয়োল্লাস ' কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।পরাধীন ভারতবর্ষের অবস্থা ভয়ঙ্কর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র প্রলয় ঘটলে তবেই পুরাতন সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে নতুন দিনের সূচনা হবে। তাই কবি চেয়েছেন রুদ্রচন্ড শিবের শক্তি ধরে সমাজে প্রলয় নেমে আসুক। মহাদেবের মস্তকে অবস্থিত খন্ড চাঁদের আলোয় সমাজের অন্ধকার জরাজীর্ণতা মুছে আসুক আলোকিত নতুন দিন। চাদের আলোতে সকলের ঘর আলোকিত হয়ে উঠুক , জড়ামরা , মুমূর্ষুরা প্রাণ ফিরে পাক।
১.৮. '...আসছে ভয়ঙ্কর।'
- ভয়ঙ্করের আগমন পরিস্থিতিটি ' প্রলয়োল্লাস ' কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো। ৩
উদ্ধৃত অংশটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ' প্রলয়োল্লাস ' কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।পরাধীন ভারতবর্ষের প্রলয় এনে শুভদিন ফিরিয়ে আনার জন্য কবি আগত ভয়ঙ্কর এর আগমন এবং তার আগমন কালীন পরিস্থিতি চূড়ান্ত বর্ণনা করেছেন ।
- আগত ভয়ঙ্কর প্রলয়ের নেশায় পাগল হয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের মত নতুনের পতাকা উড়িয়ে আসছে । যার হুংকারে সিন্ধুপারে সিংহদ্বার বিধ্বংস।
- আগত ভয়ংকরের হাতে বজ্রশিখোর জ্বলন্ত মশাল । তার ঝামর চুলের আঘাতে গগন কম্পমান।
- আগত ভয়ংকরের চাহনিতে দ্বাদশ সূর্যের আগুন। তার অগ্নিবর্ণ জটায় বন্দি সমগ্র বিশ্ব জগতের কান্না। তার চোখের জলে সাত সমুদ্রের জলোচ্ছাসের শক্তি।
১.৯.'অপূর্ব কহিল বেলা হয়ে গেল, আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু।'
- বেলা কিভাবে গড়িয়ে গেল ? ৩
উদ্ধৃত অংশটি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পথের দাবী' গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে।ঘরে চুরি হয়ে যাওয়ায় অপূর্ব থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে দেখতে পায় পলিটিকাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক কে ধরার নামে গিরীশ মহাপাত্রের মত সরল মানুষকে আটক করে নির্বোধ পুলিশদের হাস্যকার কীর্তি। অপূর্ব দেখে গিরীশ মহাপাত্রের আশ্চর্য পোশাকের বাহার তা দেখে পুলিশের চূড়ান্ত রসিকতা। জিনিসপত্রের খানাতল্লাশি নামে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আশ্চর্য প্রশ্ন এবং পরিশেষে থানার বড়বাবুর রেগে যাওয়া ।গিরিশ মহাপাত্র কে নিয়ে এই সমস্ত তামাশা দেখতে গিয়ে অপূর্বের অনেক সময় নষ্ট হয়েছিল বেলা গড়িয়ে এসেছিল।
১.১০. 'কৈএ ঘটনা তো আমাকে বলেন নি ?'
- বক্তা কাকে একথা বলেছেন ? কোন ঘটনার কথা বক্তা আগে শুনেননি ? ১+২
উদ্ধৃত অংশটি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পথের দাবী' গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে।বক্তা রামদাস তলওয়াকার প্রশ্নউদ্ধৃত অংশটি অপূর্বকে বলেছে।
অপূর্ব রামদাস কে জানাই বিনা দোষে ফিরিঙ্গিরা একদা তাকে লাথি মেরে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে স্টেশনমাস্টার তাকে কুকুরের মত তাড়িয়ে দিয়েছিল । দেশের লোকেরা অপূর্বের প্রতি অন্যায় দেখেও দাঁড়িয়ে মজা দেখছিল। তাই নতুন করে আর দেশের কোনো মানুষের কাছে অপূর্ব তার প্রতি ঘটে যাওয়া এক লাঞ্ছনা যন্ত্রণার কথা বলতে পারেনি এমনকি বন্ধু রামদাসহ এ কথা জানত না।
২. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করা: ( প্রতিটির মান - ১)
ভোজ্যবস্তু
ব্যাসবাক্য - ভো নিমিত্ত বস্তু (নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস)
পোশাক - পরিচ্ছদ
ব্যাসবাক্য - পোশাক ও পরিচ্ছদ ( সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস )
সৃজন - বেদন
ব্যাসবাক্য - সৃজনের নিমিত্তে বেদন (নিমিত্ত তৎপুরুষ)
প্রলয়োল্লাস
ব্যাসবাক্য - প্রলয়ের নিমিত্তে উল্লাস ( নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস)
রথঘর্ঘর
ব্যাসবাক্য - রথের ঘর্ঘর ( সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)
জয়ধ্বনি
ব্যাসবাক্য- জয়সূচক ধ্বনি (মধ্যপদ লপি কর্মধারায় সমাস)
সিংহদ্বার
ব্যাসবাক্য - সিংহ চিহ্নিত দ্বার ( মধ্যপদলোপি কর্মধায়ার সমাস)
শিশু - চাঁদ
ব্যাসবাক্য - শিশু যে চাঁদ ( সাধারণ কর্মধারায় সমাস )
ব্যাসবাক্য - শিশুর ন্যায় চাঁদ ( উপমান কর্মধারায় )
প্রলয় - নেশা
ব্যাসবাক্য - প্রলয়ের নেশা ( সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস )
৩.কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা করো :
লর্ডসের রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের।
লর্ডসের রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের
২০১৪ সালের স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে সাত বছর পর ঐতিহ্যশালী লর্ডসের মাটিতে ইতিহাস গড়লো ভারতীয় ক্রিকেট দল ।বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে ভারত অর্জন করল সেরার শিরোপা হয়ে উঠলো। এই জয় হয়ে উঠলো ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব ।খেলাটি ছিল ভারত বনাম ইংল্যান্ড এর টেস্ট সিরিজ খেলা। অনুষ্ঠিত হয়েছিল লর্ডসের মাটিতে। খেলেটি চলেছিল ধারাবাহিক পাঁচটি ম্যাচ। ম্যাচের শেষ দিন অর্থাৎ পঞ্চম দিনে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচে তৈরি হয় হয়েছিল প্রবল উত্তেজনা। প্রথম ব্যাট করে ভারত ইংল্যান্ড এর সামনে ছুড়ে দিয়েছিল ৬০ ওভারে ২৭১ রানের টার্গেট । ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে সিরাজ, ইশান্ত শর্মা এবং সামির ঝরে বোলিংয়ের সামনে একে একে পরাস্ত হয় ।ইংল্যান্ডে দুই ওপেনার শূন্য রানে ফিরে যায়। অবশেষে ১২০ রান করে ইংল্যান্ড সব উইকেট হারিয়ে পরাজিত হয়। ভারত ১৫১ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে লর্ডসের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করে। এই ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় শেষ দিনের সামি এবং জাসপ্রিত ভোমরার ৮৯ রানের পার্টনারশিপ ।বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সিরাজ ৪ টি, ইশান শর্মা ২, জাসপ্রিত বামরা ৩ টি ও মোহাম্মদ সামি ১ টি উইকেট অর্জন করে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে ঐতিহাসিক জয় তুলে দেয়।