আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে
যুক্ত হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
1.বিভিন্ন স্তর ও বিযুক্ত রেখা সহ পৃথিবীর অভ্যন্তরের চিহ্নিত চিত্র অংকন করো ।
2.কোন জায়গায় ভূমিকম্প শুরু হলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিজের ভাষায় বুঝিয়ে লেখ।
কোন স্থানের ভূত্বক হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য কম্পিত হলে তাকে ভূমিকম্প বলে
।ভূ-অভ্যন্তরে স্থিতিস্থাপক বিঘ্নিত হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প একটি
প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া
সম্ভব নয়। ফলে অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। মানুষের
জীবনহানি যেমন হয় তেমনি প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি ও হয়ে থাকে ।পূর্বাভাস
দেওয়া সম্ভব হয়না বলে মানুষ বুঝতে পারে না কখন ভূমিকম্প হবে এই কারণে
ভূমিকম্পের সময় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানি কিছুটা কমানো
সম্ভব।
ভূমিকম্পের সময় যে সকল ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে সেগুলি হল :
- ভূমিকম্প শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি বা স্কুল থেকে বেরিয়ে কোন ফাঁকা জায়গায় যেতে হবে যদি খোলা জায়গায় বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বাড়ির মধ্যে দ্রুত কোন টেবিল অথবা আসবাবের তলায় ঢুকে পড়তে হবে।
- ভূমিকম্প চলাকালীন বহুতল বাড়ির ঝুলন্ত বারান্দা সিঁড়ি লিফট ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
- ভূমিকম্পের সময় বাড়ি থেকে বেরোবার আগে যদি সম্ভব হয় অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে ।
- ফাঁকা স্থানে দাঁড়ানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আশেপাশে কোন বিদ্যুতের খুঁটি বা ট্রান্সফর্মার যাতে না থাকে।
- পুকুর বা জলাশয় এ ভূমিকম্পের সময় থাকলে যত দ্রুত সম্ভব উঠে আসতে হবে।
3. যেকোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যবহার উদাহরণসহ লিপিবদ্ধ কর ।
শিলা তিন প্রকার ।যথা :
আগ্নেয় শিলা ,পাললিক শিলা এবং রূপান্তরিত শিলা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রকার শিলা আমরা ব্যবহার করে থাকি। নিম্নের
পাঁচটি ক্ষেত্রে এই তিন ধরনের শিলার ব্যবহার আলোচনা করা হলো।
ব্যাসল্ট শিলা (আগ্নেয় শিলা): রেললাইনে
পাথর দেওয়া হয় সেগুলো ব্যাসল্ট শিলা। এছাড়া বাড়ি ঘর নির্মাণ করতে ব্যাসল্ট
শিলা ব্যবহার করা হয়।
চুনাপাথর (পাললিক শিলা):সিমেন্ট তৈরিতে ও লৌহ ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয়।
বেলে পাথর (পাললিক শিলা): প্রতিরোধ ক্ষমতা
বেশি এবং বিভিন্ন রং এর হয় এই জন্য স্থাপত্য স্মৃতিসৌধ এই পাথরে নির্মাণ করা হয়
।লালকেল্লা, উদয়গিরি ও খণ্ডগিরি মন্দির, খাজুরাহো মন্দির, জয়সলমীর এর সোনার
কেল্লা বেলে পাথর নির্মিত ।
মার্বেল (রূপান্তরিত শিলা): চুনাপাথরের
রূপান্তরিত রূপ। এ পাথর দেখতে খুব সুন্দর মসৃণ ও চকচকে বিভিন্ন রংয়ের হয় এবং
নির্দিষ্ট করে খুব সুন্দর ভাবে কেটে নেওয়া যায় বলে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পে
এই শিলার প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়। আগ্রার তাজমহল মার্বেল পাথর নির্মিত।
স্লেট (রূপান্তরিত শিলা): কাদা পাথর
রূপান্তরিত হয় সৃষ্টি হয় ।পাতলা পাতের আকারে হওয়ায় স্লেট দিয়ে ঘরের টালি
তৈরি করা হয়। এছাড়া ব্ল্যাকবোর্ড তৈরি এবং লেখার কাজে স্লেট ব্যবহার করা হয়।
4.প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভারতের সম্পর্ক কেন ভালো রাখা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থিত একটি দেশ। ভারতের চারপাশে মোট নয়টি প্রতিবেশী দেশ
রয়েছে যথা - পাকিস্তান ,আফগানিস্তান, চীন ,নেপাল ,ভুটান, বাংলাদেশ ও মায়ানমার
শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ।
বাণিজ্য
বর্তমানে গ্লোবালাইজেশনের যুগে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল
হয়ে পড়েছে। কারণ কোন দেশ সমস্ত দ্রব্য একা তৈরি করতে পারে না। ফলে প্রয়োজনীয়
দ্রব্যের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হলে বাণিজ্যিক আদান প্রদানের মাধ্যমে এই
অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়।
সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
উপকূলবর্তী দেশগুলির অন্য দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা রয়েছে। ভারত তার
ব্যতিক্রম নয় এই সীমা কোনো তারকাটা দিয়ে পৃথক করা সম্ভব নয়। প্রতিবেশী দেশ
গুলির মধ্যে সম্পর্ক ভালো না হলে মৎস্য বা অন্যান্য সমুদ্র সম্পদ সংগ্রহের
ক্ষেত্রে দেশ গুলির মধ্যে বিভেদ দেখা দিতে পারে।
নদীর জল বন্টন
যে সকল নদী একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তার জল আন্তর্জাতিক নিয়ম
অনুযায়ী প্রত্যেকটি দেশে থাকে ।কারণ প্রত্যেকটি দেশ নদীর জল সেচের কাজে যেমন
ব্যবহার করে তেমনি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়।
ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশ গুলির মধ্যে একমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক
ভালো না থাকায় সিন্ধু নদীর জল বন্থিনে নিয়ে বিতর্ক আছে।
দুর্যোগ মোকাবেলা
কোন দেশে যদি দুর্যোগ বা বিপর্যয় হয় তাহলে সর্বপ্রথম সহযোগিতার হাত
বাড়িয়ে দেয় প্রতিবেশী দেশগুলো ।প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না
থাকলে দুর্যোগ মোকাবেলা সহজ নয় এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের মতো
দুর্যোগের আগাম তথ্য সরবরাহ করে দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায়।
অপরাধ দমন
কোন দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অপরাধীরা অনেক সময় প্রতিবেশী দেশগুলোতে
আশ্রয় নিয়ে অপরাধমূলক কাজকর্ম করতে থাকে ।প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
ভালো থাকলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেক কম হয়।
সবশেষে বলা যায় বিভিন্ন দেশ গুলো পরস্পর পৃথক হলেও দেশ গুলি মানুষের
দ্বারা গঠিত। সুতরাং সকলের সাথে বন্ধু সুলভ সম্পর্ক রাখা খুব প্রয়োজন।