আমাদের সাথে জুড়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত
হন অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন।লিংক নীচে দেওয়া আছে।
নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর লেখ।
1. তড়িৎ এর প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে সমীকরণসহ এমন উদাহরণ দাও।
তড়িৎ এর প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে এমন একটি বিক্রিয়া হলো জলের তড়িৎ
বিশ্লেষণ। মৃদু অ্যাসিড মিশ্রিত জলে ব্যাটারির সাহায্যে তড়িৎ পাঠালে দুটি তড়িৎ
দ্বারে বুদবুদ আকারে গ্যাস নির্গত হয়। একটি গ্যাস অক্সিজেন এবং অপরটি
হাইড্রোজেন।
বিক্রিয়াটির সমীকরণ:
2. অনুঘটক বলতে কী বোঝায় উপযুক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো।
অনুঘটক:- যেসব রাসায়নিক পদার্থ কোন
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় স্বল্প পরিমাণে উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার বেগ কে বাড়ায়,
কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে নিজের ভর ও ধর্মের কোন পরিবর্তন হয়না, সেইসব পদার্থকে
অনুঘটক বলে।
পরীক্ষাগারে পটাশিয়াম ক্লোরেটকে প্রায় 650°C উষ্ণতায় উত্তপ্ত করলে এটি খুব
ধীরে ধীরে বিয়োজিত হয়ে পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও অল্প পরিমাণ অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন
করে। কিন্তু ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড মিশিয়ে মাত্র 230°C - 250°C উষ্ণতায়
উত্তপ্ত করলে দ্রুত অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়া শেষে ম্যাঙ্গানিজ
ডাইঅক্সাইডের ভর ও ধর্ম অপরিবর্তিত থাকে, শুধুমাত্র বিক্রিয়ার বেগ বৃদ্ধি করে।
অর্থাৎ অক্সিজেন প্রস্তুতির এই বিক্রিয়ায় ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড অনুঘটক রূপে
কাজ করে।
বিক্রিয়ার সমীকরণ:
3. রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটককে সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সরু তার জালির আকারে রাখা হয় কেন তা ব্যাখ্যা করো।
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কঠিন অনুঘটক কে গুড়ো বা চূর্ণ করে ব্যবহার করা
উচিত। কারণ, কঠিন অনুঘটক কে ভেঙে সূক্ষ্ম গুড়ো বা চূর্নে পরিণত করলে তার
পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পায়। ফলে বিক্রিয়ক অনু বা পরমাণু বা আয়ন গুলি বেশি
সংখ্যক অনুঘটকের অনুর সংস্পর্শে আসে। এর ফলে বেশি সংখ্যক অনু বা পরমাণু বা আয়ন
গুলি বিক্রিয়া করার সুযোগ পায় এবং বিক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।
উদাহরণ:H2O2 এর বিয়োজনে দ্রুত অক্সিজেন উৎপন্ন করতে অনুঘটক হিসেবে
ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড এর বড় ঢেলা ব্যবহার না করে ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইডের সূক্ষ্ম
গুড়ো বা চূর্ণ ব্যবহার করলে বিক্রিয়াটি দ্রুত ঘটে এবং খুব দ্রুত অক্সিজেন
উৎপন্ন হয়।
4. মানবদেহে উৎসেচকের গুরুত্ব উল্লেখ করো।
উৎসেচক বা এনজাইম খাবারের বিভিন্ন উপাদান যেমন- প্রোটিন, শর্করা, লিপিড
ইত্যাদি হজম করতে অপরিহার্য। এছাড়া খাদ্য থেকে শক্তি উৎপাদনে DNA , হরমোন, কোষ
পর্দার নানা উপাদান ও প্রোটিন তৈরিতে, কোষ মধ্যস্থ ক্ষতিকারক যৌগ নষ্ট করতে
উৎসেচক কাজে লাগে।
5. খাবার সোডা ও টারটারিক অ্যাসিডের কেলাস মেশালে কোনো বিক্রিয়া হয়না, কিন্তু জল দিলেই দ্রুত বিক্রিয়া ঘটে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: খাবার সোডা ও টারটারিক অ্যাসিডের মিশ্রণে জল যোগ করলে জল দ্রাবক হিসেবে
কাজ করে। দুটি কঠিনের গুড়োকে মেশালে তাদের অনু বা আয়নরা পরস্পর মেশানোর সুযোগ
পাইনা, দ্রাবকের অনুরা এসে বিক্রিয়কের মধ্যে থাকা অনু বা আয়ন দের আলাদা করে
ফেলে বিক্রিয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে দ্রাবক জলের উপস্থিতিতে খাবার সোডা ও
টারটারিক অ্যাসিড দ্রবীভূত হয় ও H+ আয়ন বুদবুদ আকারে নির্গত হয়। ফলে যৌগ দুটির
মধ্যে দ্রুত বিক্রিয়া ঘটে এবং Co2 গ্যাস নির্গত হয়। তাই জলের অনুপস্থিতিতে কোন
বিক্রিয়া হয় না এবং Co2 গ্যাস নির্গত হয় না।